পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांत्रिक aiहाबली সহজ ও শান্ত আনন্দের গভীর অনুভূতিতে। একেই কি বলে ভালবাসা ? মনের মিল ? যশোদা ভাবে । হিংসার মত কি যেন একটা মৃদু প্ৰতিক্রিয়া জাগে যশোদার মনে, ক্ষীণ একটা অস্বস্তিবোধের পীড়ন চলিতে থাকে । সুব্ৰতা তার ঘর সাজায়, সকালে আর সন্ধ্যায়। অজিত তাকে সাহায্য করে। তিন টাকা ভাড়ায় যশোদা বড় ঘরখানাই তাদের দিয়াছে ; একটি তোরঙ্গ আর দুটি সু্যটকেশে ঘরটা যেন খালিখালি দেখায়। সুব্রতা দেয়ালে টাঙায় ছবি আর ফটো, জানালায় দেয় পর্দা, অজিতকে দিয়া আলনা আনায় আর বেশী-বেশী জাম-কাপড় আকারণে বাহির করিয়া সাজাইয়া রাখে, যশোদার দেওয়া চৌকির পায়া চারটিতে রঙীন কাপড়ের ঢাকনি দেয়, টুকিটাকি আরো কত কি যে সে করে । আর সেই সঙ্গে করে অজিতের সঙ্গে নানা বিষয়ে পরামর্শ-যশোদার সামনেই । মাঝে মাঝে যশোদারও মতামত জিজ্ঞাসা করে । মাস নয়, বছর নয়, সমস্ত ভবিষ্যতকে সে যেন এই একটি ঘরে আটক করিয়াছে। এই ঘরেই তারা যেন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত । কোথায় টেবিল পাতিবে, কোনদিকে আলমারি রাখিবে, ক’খানা আর কি ধরণের চেয়ার কিনিবে, এসব কল্পনার আর শেষ থাকে না । যে রেটে সে কল্পনায় আসবাব কিনিতে থাকে, তাতে এক বছর পরে এ-ঘরে তিল ধারণের স্থান থাকিবে কি করিয়া যশোদা ভাবিয়া পায় না । কয়েকদিন রাধিয়া খাওয়ায় যশোদাই। তারপর একদিন দুপুরে সুব্রতা বলে, “আমি কোথায় রাধব দিদি ?” “আমার রান্না রুচিছে না ?” ‘ওমা, সে কি কথা ! সত্য বলছি দিদি, এমন রান্না জীবনে খাইনি কখনো। আজ যে কুমড়োর ছক্কা খাওয়ালে, ঠিক অমৃতের মত লাগলো। কুমড়োর ছক্কার যে আবার এমন স্বাদ হয়, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। তবে কি জান দিদি, আমরা হলাম ভাড়াটে, চিরকাল তো আর তোমার ঘাড়ে था७ब्रां ठे5िड श्व ना ।' “আমার ঘাড়ে খাবে কেন বোন ? তোমরা খরচা দিও, রান্না এক যাগাতেই Nov