পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী মোটা-মোটা চুড়ি ছ’গাছা করে” কেউ একহাতে পরে না, দু’গাছা চুড়ি বেচে দিয়ে এস। তা, কিছুতেই বেচাবে না। কি হয় বাড়তি চুড়ি বেচলে ?” “চায়ের জিনিষপত্র কেনার জন্য বৌ-এর গয়না বেচাবে !!'-অজিত বলে । ‘কেন, বৌ কি পাৱ ?? -সুব্রতা বলে। কঠিন সমস্যা সন্দেহ নাই। বৌ-এর গয়না বেচার সমস্যা যশোদার আগের ভাড়াটেদের মধ্যেও অনেকবার দেখা দিয়াছে, কিন্তু সমস্যাটা তখন দাড়াইত ঠিক উল্টা। গয়না বেচিতে স্বামীরাই ছিল উৎসুক, বৌয়েরা ছিল বিরোধী। DBDDDL DDS SDBLBBD DDS BDBBBDSDBKS কাটাকাটি ছিল যেন গালাগালি আর অভিশাপ, মারামারি ভূমিকার মত। দু’একটি স্বামী যে বোঁকে চড়চাপড়টা বসাইয়া দিত না, তাও নয়। অতীতে স্বামী-স্ত্রীর যত কলহে সে মধ্যস্থতা করিয়াছে তার সঙ্গে এই নব দম্পতীর কলহের পার্থক্যটা এত বেশী স্পষ্ট হইয়া যশোদার কাছে ধরা পড়ে যে, এদের মিল ঘটানোর লাগসই উপায় সে ভাবিয়া পায় না । মিলনের চেয়ে মধুর যে বিরোধ, তার কি প্ৰতিবিধান আছে ? একরকম জোর করিয়া রান্নাঘরে ধরিয়া নিয়া গিয়া দু’জনকে সে চা আর হালুয়া খাওয়ায়। মন কঁাদিতে থাকে নন্দ আর সুবর্ণের জন্য। হয়তো এমনিভাবে কোথায় কার বাড়ীতে একটি ঘর ভাড়া নিয়া তারা আছে, পয়সার টানাটানির জন্যই হয়তো তাদের প্রথম ঝগড়া বাধিয়াছে এমনিভাবে। প্রথম বয়সের উত্তেজনায় দুঃখকে বরণ করায় সুখ দু’দিনে ঘুচিয়া গিয়া দুৰ্দশার দুজনের সীমা থাকিবে না, এই কথাই সৰ্ব্বদা সে ভাবে, কিন্তু আসলে হয়তো এদের মতই দুর্লভ আনন্দে দিনগুলি তাদেরও ভরিয়া আছে! ভাবিতে গিয়া সংশয় জাগে যশোদার । সুবৰ্ণ তো সুব্রতার মত নয়। সুব্রতার গিৰিপণ আছে পাকামি নাই, লজ্জাহীনতা আছে বেহায়াপনা নাই, বুদ্ধি আছে কুটিলতা নাই, চপল হাসি মন ভুলানোর অস্ত্র নয়। সুব্রতার । সুব্রতার মত সুবর্ণ কি কাউকে আপন করিতে পারে, সুব্রতার মত মনের মিল কি সুবর্ণের সঙ্গেও কারো হয় ? অজিতের চা খাওয়া দেখিতে দেখিতে যশোদার মনে হয়, কে জানে নন্দও তো অজিতের মত নয়। এদের দু’জনের মত নয় বলিয়াই হয়তো ওদের মধ্যে এদের মত মিল হইয়াছে। Syrir