পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जहब्रएछन्नौ যশোদার গম্ভীর মুখ দেখিয়া অজিত আর সুব্রতা ভাবে, তাদের চুড়ি বিক্রীর কথাটাই সে ভাবিতেছে। দু’জনেই যশোদার দিকে তাকায় আর চোখ নামাইয়া নেয়, তারপর প্রায় একসঙ্গেই পরস্পরের দিকে মুখ ফিরানোর ফলে যেই চোখোচৌখি হয়, দু’জনের মুখেই মৃদু হাসি ফুটয় ওঠে। যশোদার প্রকাণ্ড শরীসটা আজও তাদের চোখে অভ্যস্ত হইয়া যায় নাই, এখনো বিস্ময় আর কৌতুক জাগে । হাসি দেখিয়া যশোদা বলে, “বড় ছেলেমানুষ তোমরা ।” দু’জনে ভাবে, এ বুঝি যশোদার শরীর দেখিয়া হাসার জন্য তিরস্কার। লজ্জায় অজিতের চোখ মিটমিট করে, সুব্রতার গাল দু’টা লাল হইয়া যায়। যশোদা বলে, “দুটো চুড়ি বেচাবে কি বেচাবে না, তাই নিয়ে ঝগড়াঝাটি, কঁাদাকাটা কেন ? তেমন দরকার হ’লে গয়না বেচিতে কোন দোষ নেই।--বেচাই বরং উচিত । মেয়েমানুষের গয়না তো শুধু সখের সামগ্রী নয়, বিপদে আপদে কাজে লাগবে বলেই গয়না গড়ানো, ও হ’ল একধরণের সঞ্চয় । তাই বলে’ যখন-তখন সামান্য কারণে বেচিতে নেই। চায়ের জিনিষপত্র কেনার জন্যে কি আর গয়না বেচা চলে ? তবে মনে করা সুবুৱ-’সুব্রতার একটা অসুখ বিসুখ হওয়ার কথাটা যশোদার জিভের ডগায় আসিয়া পড়িয়াছিল, সামলাইয়া নিয়া সে বলে, “ছেলেপিলে হবে বলে’ টাকার দরকার, তখন তো আর বৌ-এর গয়না বেচব না বললে চলবে না । আমার কাছে ধার নাও ক’টা টাকা, পরে শোধ করে? দিও।” সুব্রতার মুখের লালিমা, আরও বেশী গাঢ় হইয়া আসিয়াছিল, সে চুপ করিয়া থাকে । অজিত বলে, “টাকা ধার করতে কেমন যেন লাগে ।।’ যশোদা সুব্রতার মুখখান দেখিতে দেখিতে বলে, “সে তো ভালই। তবে দিদি বলে’ যখন ডাকো অামায়, নিশ্চয় শোধ করে” দেবে জানো মনে মনে, তখন ক’টা দিনের জন্য আমার কাছে নিতে দোষ নেই।” অজিত কাজে চলিয়া যায়। সুব্রত রান্নাঘরে আসিয়া যশোদাকে টুকিটাকি কাজে সাহায্য করিবার সুযোগ খোজে আর বার বার কি যেন একটা কথা বলিতে গিয়া চুপ করিয়া যায়। রান্না প্ৰায় সবই হইয়া গিয়াছে। সকাল రిణా