পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि diहांसनौ রাজেনকে যশোদা বলে, “না, এরা ঠিক ভদ্রলোক নয়।” “দেখলে তো ? এমন ভাড়াটে এনে দিয়েছি, দু’দিনে পছন্দ হয়ে গেল । কি তোমার ভাল লাগে না লাগে, সব জানা আছে চাদের-মা !? যশোদা হাসিয়া বলে, ‘মনের মানুষ তুমি, তুমি জানবে না তো কে জানবো ?” কাছে বসিয়া কুমুদিনী মুখ বাকায়। ধনঞ্জয় অসহায় দৃষ্টিতে যশোদার মুখের দিকে চাহিয়া থাকে। সুব্রতার সুঠাম দেহ আর সুন্দর মুখখানা দেখিয়া একটা কথা যশোদার বার বার মনে পড়িয়া যায়। বাড়ীর লোকের পছন্দ করা কুরূপ মেয়েটির বদলে তাকে বিবাহ করিয়া অজিত যে গোলমাল সৃষ্টি করিয়াছে যশোদাকে প্ৰথম দিন তাই ব্যাখ্যা করিয়া শোনানোর সময় অজিতকে হাসিতে দেখিয়া সুব্ৰতা সবিনয়ে ঘোষণা করিয়াছিল, সে সুন্দরী বটে। কিন্তু তার মত গণ্ডী-গণ্ড সুন্দরী মেয়ে রাস্তাঘাটে গড়াগড়ি যাইতেছে। সুব্রতার কথা আর ভঙ্গিকে তখন যশোদার মনে হইয়াছিল, একেলে মেয়ের পাকামির প্যাচ, ঘষামাজা ন্যাকামি । তারপর যশোদা জানিতে পারিয়াছে মেয়েদের পক্ষে এ বিশ্বাস পোষণ যতই বিস্ময়কর হোক, কথাটায় সুব্ৰতা সত্য-সত্যই বিশ্বাস করে । তার মত রূপবতী মেয়ের পক্ষে নিজের রূপ সম্বন্ধে এমন একটা ধারণা আন্তরিকতার সহিত পোষণ করা যে সম্ভব, এ অভিজ্ঞতা যশোদার ছিল না । রাম-লক্ষণের মন ভুলানোর প্রতিযোগিতায় সীতা-উৰ্ম্মিলার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে এ বিশ্বাস যে সুপণখা ছিল, সে তো সে স্ত্ৰীজাতীয়া জীব বলিয়াই । স্নেহ করার সঙ্গে সুব্রতাকে যশোদা তাই একটু শ্রদ্ধাও করিতে শিখিয়াছে। s সুব্রতার চরিত্রের আরেকটা দিকও ক্রমে ক্রমে যশোদার কাছে স্পষ্ট হইয়া উঠিল। মেয়েটা খুব মিশুক । যশোদা আর কুমুদিনীর সঙ্গে ভােব জমিয়াছিল একদিনে, পাড়ার কয়েকটি বাড়ীর মেয়েদের সঙ্গেও সে ভাবি জমাইয়া ফেলিল কয়েকদিনের মধ্যে। wo