পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্রন্থাবলী প্ৰথমে অলকা বলে, “কি শেখানো যায় ? গান ?” তখন খুকু বলে, “গলা কি করে সাধতে হয় শেখালে হতনা ?” অলকা বলে, “গলা তো সাধবেই, একটা সোজাসুজি গান দিয়ে আৱিস্ত कद्मgल 6वांक्ष श् ख्ब्ल दश् ।' খুকু বলে, “একেবারে গান দিয়ে আরম্ভ করলে—” পরামর্শের সুবিধার জন্য নিজেদের অজ্ঞাতসারেই তারা পরস্পরের একটু कांटछ नब्रिग्रा अigज । ছয় সাতটি নানা পর্দায় গলার বেমিল, বেসুরে, হঠাৎ-জাগা হঠাৎ-থামা আওয়াজে ঘরটা গমগম করিতে থাকিলে যশোদা বনলতা আর অনুরূপার মুখের দিকে তাকায়। এই দু’টি জননীর মধ্যে ভাব জমানোর যে তুচ্ছ খেয়াল হইতে এই সুৱচৰ্চার উৎপত্তি হইয়াছে, যশোদা তা ভোলে নাই। সুর চর্চা অবশ্য যশোদা আর থামিতে দিবে না, আরও ব্যাপক ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ভাবে চর্চা করাইবে, কিন্তু ওদের দু’জনের ভাব হওয়াটা তো দরকার ? হঠাৎ যশোদা উঠিয়া যায়, ঘরের এক প্ৰান্ত হইতে হাত ধরিয়া অনুরূপাকে অন্যপ্ৰান্তে বনলতার কাছে টানিয়া আনে, বনলতার পাশে তাকে বসাইয়া দু’জনের হাতে হাত মিলাইয়া দিয়া আবেগ কম্পিত গলায় বলে, “আপনাদের দু’টি মেয়েই রত্ন । ওদের জন্যই আমার সাধ মিটাল। ওরা যদি আমার মেয়ে হত !” বনলতা প্ৰায় কাদিয়া ফেলে -“কত ওস্তাদ রেখে কত চেষ্টায় মেয়েকে আমি গান শিখিয়েছি।” অনুরূপ বলে, “আপনার মেয়ে সত্যি শেখার মত করেই শিখেছে।” বনলতা কঁাদিয়া ফেলে - ওর গলাটা যদি তোমার মেয়ের মত মিষ্টি হ’ত डांई ? তিন মাসের মধ্যে পথের ওদিকে এবাড়ীর মুখোমুখি যশোদার অন্য বাড়ীতে একটি রীতিমত সঙ্গীত বিদ্যালয় স্থাপিত হইয়া গেল। বাড়ীর সামনে ছোট একটি কাঠের ফলকে নামটা লিখিয়া টাঙ্গাইয়া দেওয়াও হইল। বাড়ীটি যশোদা কোনদিন আর ভাড়া দিবে না ঠিক করিয়াছিল। তবে ভাড়া দেওয়া আর কাজে লাগানোর মধ্যে তফাৎ আছে ।