পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহয়তলী খাটানোর উপায় নাই। যামিনীর হাতখরচের টাকাটা কোন ছুতায় বন্ধ করিয়া দিলে কি কিছু লাভ হইবে ? মেয়ের মনে বরং তাতে কষ্ট হইবে। আরও বেশী । DD D DBDBDSLD LDBBD DDD SS S SB BDDB DBB BDBBDB BBDDB DBD G BBDD করিয়া ? একদিন যামিনীর একটু জর হইয়াছে, সামান্য সন্দিাজর, ব্যস্ত হওয়ার কিছুই ছিল না। কিন্তু সত্যপ্রিয় যেন ব্যাকুল হইয়া পড়িল। ব্যাকুল হওয়াটাই সত্যপ্ৰিয়ের পক্ষে খাপছাড়া ব্যাপার, এমন সামান্য ব্যাপারে তাকে ব্যাকুল হইতে দেখিয়া যামিনীও ভয় পাইয়া গেল যে, অসুখটা বুঝি তার ভয়ানক কিছুই হইয়াছে। নিজে মোটরে করিয়া সত্যপ্ৰিয় যামিনীকে ডাক্তারের কাছে নিয়া গেল । ফোনটা তুলিয়া নিয়া একটা করিয়া হুকুম দিলে যার বাড়ীতে ডাক্তারের ভিড় জমিয়া যাওয়ার কথা, জামাইকে দেখানোর জন্য সে নিজে ডাক্তারের বাড়ী যাইবে, এ ব্যাপারটা সকলের বড়ই অসাধারণ মনে হইল। ভাবিয়া-চিন্তিয়া সকলে ঠিক করিল, হয়তে যামিনীর এমন কোন অসুখ হইয়াছে যা পরীক্ষা করিতে বিশেষ কোন যন্ত্রপাতি লাগে, যে-সব যন্ত্রপাতি নিয়া ডাক্তারের বাড়ীতে আসিবার উপায় নাই। কিন্তু সত্যপ্ৰিয় নিজে গেল কেন ? যদি বা গেল, কাউকে সঙ্গে নিল না কেন ? এভাবে সে তো কখনো কোথাও যায় না ! ডাক্তারের বাড়ী দেখিয়া যামিনী অবাক । মারাত্মক রোগ হইয়াছে তার, মস্ত এক ডাক্তারের বাড়ীতে তাকে নিয়া যাওয়া হইতেছে, এই ভাবনায় মুখখানা যামিনীর সদিজিরের টসটসে ভাবের মধ্যেও শুকনো দেখাইতেছিল। কিন্তু বড় ডাক্তার কি গলির মধ্যে এমন একটা ছোট রঙ-চটা বাড়ীতে থাকে, এমন চেহারা হয় তার বসিবার ঘরের ? পুৱানো একটা ওষুধের আলমারি, কয়েকখানা কাঠের চেয়ার আর একটা ময়লা কাপড়-ঢাকা কাঠের টেবিল, তাতে পাঁচ ছ’খানা ডাক্তারি বই। ঘরের মাঝখানে সবুজ রঙ-করা চটের পাটসন দেওয়া, তার ওপাশে বোধ হয় রোগীকে পরীক্ষা করা হয় । ডাক্তার সম্ভবতঃ প্ৰতীক্ষা করিতেছিল, সত্যপ্রিয়কে দেখিয়া খুব বেশী বিস্মিত হইল না । কেবল মহাসমারোহে অভ্যর্থনা করিয়া বলিল, “আসুন, আসুন, বসুন ।” একজন মাত্র রোগী বসিয়াছিল, পঁচিশ ছাব্বিশ বছর বয়সের একটি যুবক। চেহারাটি শীর্ণকায়, চোখের নীচে কালিপড়া, মুখখানা তেলতোলা । তাকে 8 p.