পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহৱতলী সত্যপ্রিয়ের মনে হয় মাঝে মাঝে দু’একজন তাকে ফাদে ফেলিয়া যেভাবে টাকা আদায় করিবার চেষ্টা করে, যামিনীর টাকার দাবীটা যেন কতকটা সেই ধরণের। আপিসে নামমাত্র কাজের জন্য হাতখরচ বাবদ যামিনীকে মাসে দু’শ টাকা দেওয়া হয়। খরচ তার কি যে দুশো টাকাতেও কুলায় না ? গম্ভীর হইয়া সত্যপ্রিয় একটু ভাবে, তারপর চেক বই বাহির করিয়া পাঁচশো টাকার একটা চেক লিখিয়া দেয়। সারাটা দিন তার কেবলি মনে হইতে থাকে, চঞ্চলভাবে ছুটিাছুটি করিতে করিতে হঠাৎ যেন দেয়ালে মাথা ঠুকিয় সে শান্ত হইয়া গিয়াছে। একটা অদ্ভুত ७ीङ5iख्द्र व्यंiछिद्र भालुख्ाद ! যামিনী দিল্লী রওনা হইয়া যায়। আর অতদূরে অসুস্থ স্বামীকে কাজ করিতে পাঠানোর জন্য বাপের ওপর রাগ করিয়া যোগমায়া বাড়ীর সকলের সঙ্গে কথা বন্ধ করিয়া দেয়। শুনিয়া সত্যপ্ৰিয় নিশ্বাস ফেলিয়া ভাবে, সকলে কি অকৃতজ্ঞ ! যার ভালর জন্য যা করি তাতেই তার রাগ হয় । মাস দুই পরে পিসতুতো বোন একদিন সত্যপ্রিয়কে একটা খবর দেয়। শুনিয়া প্রথমটা সত্যপ্ৰিয় কথাটা বিশ্বাস করিতেই চায় না । “কা’র ছেলে হবে ?? “মায়ার। এই চার মাস।” সংবাদটা এমন খাপছাড়া মনে হয় যে সত্যপ্রিয় তবু বোকার মত আবার জিজ্ঞাসা করে, “ভুল হয়নি তো তোমাদেৱ ?? দিল্লীর সাব-ম্যানেজার তিন মাসের ছুটি নিয়াছিল। যামিনী তিনমাস কাজ করিবার জন্য সেখানে গিয়াছে। দু’চারদিনের মধ্যেই তাকে সেখানে স্থায়ী করার নির্দেশপত্ৰ পাঠানাের কথাটা সত্যপ্রিয় ভাবিতেছিল। এবার একেবারে চুপ করিয়া যায়। সহজে সত্যপ্ৰিয় লজ্জা পায় না, হঠাৎ যেন মেয়ের কাছে মুখ দেখাইতে তার লজ্জা করিতে থাকে । কেবল মেয়ের কাছে নয়, আরো অনেকের কাছে । জানিয়া বুঝিয়া ইচ্ছা করিয়া সত্যপ্রিয় অনেক ব্যাপারে বাহাদুৰী করিয়াছে, এমন অনেক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিয়াছে যেদিকে তার তাকানোই উচিত ছিল না, কিন্তু কাৱো কাছে কোনদিন এতটুকু সঙ্কোচ বোধ করে নাই। মনে মনে বরং নিজের সৰ্ব্বব্যাপী প্ৰভুত্বে গৰ্ব্বই অনুভব করিয়াছে। কিন্তু মেয়ে আর জামাইয়ের জীবনকে 3) VO