পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि यहांदनी যারা কৌতুক বোধ করে, মৰ্ম্মান্তিক বেদনায় কঁাদিবার সময়ও একজনকে খাপছাড়া মুখের ভঙ্গি করিতে দেখিয়া যাদের হাসি পায়, কেবল তারাই এ রকম হাসি হাসিতে পারে। এরকম লোককে কিন্তু এক বিষয়ে নিশ্চিন্ত মনে বিশ্বাস করা যায় । এদের আর যাই থাক, কিছুমাত্র স্বার্থপরতা থাকে না । পরের জন্য বেশী মন না কঁাদুক, নিজের ভাবনাটা এরা একেবারেই ভাবে না । সেদিন খাওয়ার সময় সুব্রতা বলিল, “আমরাও আজ এক জাগায় যাচ্ছি দিদি।” অজিত তাকে আজ সিনেমায় নিয়া যাইবে । খবরটা দেওয়ার সময় সুব্ৰতা মুচকি মুচকি হাসে। যশোদাও হাসে। “আমায় নিয়ে যাবে না ?” “তুমি না কোথায় যাচ্ছি। আজকে ?” “ও, তাই আজ তোমরা সিনেমায় যাচ্ছে, আমায় ফাকি দেবার সুযোগ পেয়ে ।” বলিয়া প্ৰচণ্ড শব্দে যশোদা হাসিতে থাকে। এই সামান্য পরিহাসে এত জোরে হাসিবার কি ছিল সেই জানে, হাসিটা বিধুবাবুর মত হইতেছে খেয়াল করিয়া হঠাৎ সে থামিয়া যায় । তারপর সুব্রতা যে খবরটা দেয় সেটা একটু মারাত্মক। একজনের গাড়ীতে তারা সিনেমায় যাইবে, এদিকেই কোথায় সত্যপ্রিয় বলিয়া একজন মস্ত বড়োলোক থাকে, তার ছেলের গাড়ীতে। কবে যেন অজিত তার সঙ্গে কোন স্কুলে পড়িয়াছিল, হঠাৎ ক’দিন আগে দেখা হইয়া গিয়াছে। তারপর তাদের পরামর্শ হইয়াছে পরস্পরের বৌকে নিয়া আজ তারা একসঙ্গে সিনেমায় যাইবে, আলাপ পরিচয়ও হইবে, একটু আনন্দও করা হইবে। পাকা গিন্নীর মত মুখ করিয়া সুব্রতা বলিতে থাকে, “আমার কি আর সিনেমাটিনেমায় যাওয়ার সখ আছে দিদি ? কি করব, বন্ধু বড় ধরেছে। ও কি বলছিল জানো দিদি ? বন্ধুর বাপ নাকি বোঁকে নিয়ে ছেলের কোথাও যাওয়া দু'চােখে দেখতে পারে না, ভীষণ চটে যায়। সেকেলে ভূত আর কি। বাপ নাকি কোথায় গিয়েছে। ক’দিনের জন্য, ছেলেও বোঁকে নিয়ে খুব বেড়িয়ে বেড়াচ্ছে।” মহীতোষকে যশোদা জানে, ছেলেটারবুদ্ধি একটু কঁচা। সকলে তাকে ' ' ' '. ኃ ላ፲ 1- ې ؛* f | ነ { ", * *ን ጻ'የ