পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৪২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भाविक अहाबली যোগমায়া এখনো স্বামীর ঘৱ করিতে যায় নাই, সে অভিজ্ঞতাও তার নাই। সে শুধু শুনিয়াছে, স্বামীর ঘর করিতে যাওয়াটা মেয়েদের মহা গৌরব ও সৌভাগ্যের কথা । Cir. Cr(VO, CTCS “খুব দেবেন।” আসল কথা, যোগমায়ারও সখ্য চাপিয়াছিল, একটু বেড়াইয়া আসিবে, জীবনে একটু নতুনত্ব আনিবে । রাজপ্রাসাদের মত এতবড় বাগান-ঘেরা বাড়ী ঘরভরা গাদা গাদা আপনজন আর আত্মীয়স্বজন, এত সব দামী আসবাব আর দাসদাসী, নানা উপলক্ষে প্ৰায়ই লোকজনকে খাওয়ানোর হৈ চৈ, কৰ্ত্তার মেয়ে বলিয়া সকলের উপর এতখানি কর্তৃত্ব, তবু যেন যোগমায়ার সব একঘেয়ে লাগে । বিবাহের অনেক আগে হইতেই একঘেয়ে লাগে, বাড়ীর বাহিরে খেলা করিতে যাওয়া সত্যপ্ৰিয় যখন রদ করিয়া দিয়াছিল । বিবাহ হইলে ভাল লাগিবে। ভাবিয়াছিল, যামিনীর সঙ্গে রাত কাটাইতে ভাল লাগেও বটে, কিন্তু তাতে কি মানুষের মন ওঠে, বাস্তবতার সঙ্গে সংশ্ৰব-বিহীন অল্পবয়সী একটি মেয়ের মন ? যোগমায়ার রাগও হইয়াছিল। যামিনীকে দেশে পাঠানোর জন্য নয়, চার টাকা পথ-খরচ দিয়া যামিনীকে তাড়াইয়া দেওয়া হইয়াছে এই গুজবটা রাটিয়াছে বলিয়া । তার স্বামীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করে তার বাবা, সকলের কাছে তার স্বামীকে এমনভাবে অপমান করে । স্বামীর সঙ্গে ভাঙা ঘরে সে উপবাস করিবে ( কিছুদিন করিবে, সত্যপ্রিয় ব্যস্ত হইয়া ফিরাইয়া আনিতে গেলেই ফিরিয়া আসিবে।) তবু আর সে এমন বাপের বাড়ীতে থাকিবে না । সুতরাং সত্যপ্ৰিয়ের বাড়ীতে একদিন সত্যই হৈ চৈ পড়িয়া গেল । মেয়েদের মধ্যে ফিসফাস গুজগাজের শেষ রহিল না। সকলেই বুঝিতে পারিল যে যামিনী রাগ করিয়া যোগমায়াকে নিয়া যাইতেছে, তবু যোগমায়া বাড়ীর যেখানে যায়। সেখানেই যেন তাকে ঘিরিয়া জিজ্ঞাসু মেয়েদের সভা বসিতে লাগিল । কেবল সত্যপ্ৰিয়ের অনুমতি চাহিতে যাওয়ার সময় কেউ তার সঙ্গে গেল না । যামিনী দুপুৱাবেলা তার অনুপস্থিতির সময় আসা-যাওয়া করিতেছে শুনিয়া সত্যপ্ৰিয় মনে মনে একটু হাসিয়াছিল। আর দু’একদিনের মধ্যেই যামিনী আসিয়া {}\9o