সহরতলী
- সে সুবর্ণ।”
- भic5ों ! qजब कि |- কুমুদিনীর মুখ দেখিয়া মনে হয় সে বুঝি শুধু আশ্চৰ্য্য হয় নাই, ভয়ও পাইয়াছে। পরদিন সকালে রাজেনকে ডাকিয়া যশোদা বলিল, “একটা কাজ করে দেবে ?
এরকম ভুমিকা করা যশোদার স্বভাব নয়। রাজেন একটু অস্বন্তি বোধ করিতে आव्लि ! ‘कि कांऊ ?? “নন্দর ঠিকানাটা জেনে আসবে ?? “নন্দর ঠিকানা জেনে করবে কি চাঁদের-মা ?” যশোদা হাসিল ।—“বেশ মানুষ বটে তুমি, বেশ কথা সুধোচ্ছে। ” রাজেন ইতস্ততঃ করিয়া বলিল, “মানে, কি জান চাদের-মা, আসবার হ’লে নন্দ নিজেই আসত আগে । বায়স্কোপে পাট করলে নাকি ঢের পয়সা পাওয়া যায় শুনেছি, ওর তো পয়সার অভাব নেই-" “পয়সার কথা নয়, নিজে থেকে ফিরে আসতে হয়তো সাহস পাচ্ছে না ।” তখন নন্দর ঠিকানা সংগ্ৰহ করিয়া আনিবার কথা দিয়া রাজেন চলিয়া গেল, যশোদা গেল। সত্যপ্ৰিয়ের বাড়ী । হঠাৎ তার মনে হইয়াছে, অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে ঝোকের মাথায় বাড়ী ছাড়িয়া গেলে যে অনেক সময় সাধ থাকিলেও ফিরিয়া আসিতে ভরসা পায় না, একথাটা সত্যপ্রিয়কে বুঝাইয়া বলা দরকার। যামিনী স্বাধীনভাবে নিজের পায়ে ভর দিয়ে দাড়াক, বৌকে নিয়া নিজের ভিন্ন ংসার পাতুক, যশোদার তাতে কোন আপত্তি ছিল না। মানুষের মধ্যে এরকম তেজই সে পছন্দ করে। কেরল যোগমায়ার সন্তান-সম্ভাবনার জন্য এসময়টা তাকে নিয়া এরকম টানা-হঁ্যাচড়া করা সঙ্গত নয় বলিয়া প্রথমটা সে অসন্তুষ্ট হইয়াছিল। এতকাল যে অনায়াসে শ্বশুরের অল্প ধবংস করিয়াছে আর কয়েকটা মাস সে ধৈৰ্য্য ধরিয়া থাকিতে পারিল না ? বীরত্ব বা মনুষ্যত্ব তো পাগলামী নয়। বেহিসাবী তেজ দেখানো গোয়ার্ভূমির সামিল। প্রথমে যামিনী বুক ফুলাইয়া বলিত, কুড়ে ঘৱে না খাইয়া দিন কাটাইবে তবু আর জীবনে কখনও শ্বশুরের অন্ন ধ্বংস করিতে যাইবে না। কিন্তু এখন মুখেও আর 88%
