efRSf তারক জবাব দিল না । মা মরিয়া হয়ে বললেন, “চাকরী না করিস, বিয়ে কর । একটা বৌ এনে দে আমায় । পুরুষ মানুষ, দিন তোর একরকম কেটে যাবে, বৌ নিয়ে ঘর করার সাধটা আমার মেটা বাবা । আরেকজন তো বিয়ে করে বছর না কাটতে বেী নিয়ে চলে গেল কোন মুলুকে । পোড়া আদেষ্টে ছেলের বৌ নিয়ে ঘর করা কি আমার নেই রে তারু !’ মা ভুকুরে কেঁদে উঠলেন। তারক ভেবে চিন্তে বলল, “আচ্ছা সে হবে।’খন । যাক না দু’দিন ।” বাপ-মা’র যেন চমক ভাঙ্গল । ছেলের তবে বিয়ে করবার মন হয়েছে। তাই এমন নোঙ্গারহীন নৌকার মত সে ভেসে বেড়ায়, উদাসীন হয়ে থাকে! চাকরী বাকী কোন কিছু করার দিকে তাই তার মন নেই। বড় ছেলের ওপর দু’জনের রাগের অন্ত থাকে না । তারই পরামর্শে ভুলে তারকের তারা এতদিন বিয়ে দেন নি, তারক কবে নিজে উপার্জন করবে তারই অপেক্ষায় দিন কাটিয়েছেন । উপার্জনক্ষম না হলে ছেলের বিয়ে দেওয়া তার মতে উচিৎ নয়। বড়ছেলের মুণ্ডু উচিত নয়। সংসারে যেন সবাই উপার্জনক্ষম হয়ে বিয়ে করছে। বিয়ের পর সংসারে যেন কেউ উপার্জন করে না । বিয়ের পরেই বরং উপার্জনে মন বসে ছেলেদের । বাপ মেয়ে খুজতে থাকেন, ছেলে রামবাবুর বাড়ির আসরে পৃথিবীর সমস্যা নিয়ে তর্ক করে, চায়ের দোকানে আডিডা দেয়। বন্ধুদের সংগে, এ গ্রামে ও গ্রামে মিটিং করে বেড়ায় । রামবাবু বলেন, ‘এবার রিলিফ ওয়ার্কে বেশী জোর দিতে হবে। তুমি একটু লাগে তারক ৷” তারক বলে, “কি লাভ হবে ? “যে ক’জনকে বঁাচানো যায় । তাছাড়া, এ অবস্থায় রিলিফ ওয়ার্ক না করলে লোকেই বা বলবে কি ?” “আমি ওতে নেই। ভাল করে দুৰ্ভিক্ষ হোক। লোক মরুক।” রামবাবু সন্দিগ্ধভাবে বলেন, “তুমি যা ভাবিছ তা কি হবে ?’ তারক আশ্চৰ্য হয়ে বলে, হবে না ? আপন জন মরছে, নিজে মন্বতে বসেছে, মানুষ মরিয়া হবে না ! কি যে বলেন ।” রামবাবু তবু সন্দিগ্ধভাবে মাথা নাড়েন, “তা বোধ হয় হবে না। তারক।” 3S
