পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰ গতি সাহিত্য ১৯৪৫ সালের মার্চ মাসে সংঘের তৃতীয় বাৰ্ষিক সম্মেলন হয়। দীর্ঘ চার বছর পরে বর্তমান চতুর্থ বার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। দুটি সম্মেলনের মধ্যে এই দীর্ঘ ব্যবধান ঘটার প্রধান কারণ আমাদের অর্থাৎ সংঘের পরিচালকদের দুর্বলতা। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পক্ষে এরূপ সম্মেলনের গুরুত্ব আমরা সঠিক অনুভব করতে পারিনি, এবং এই অক্ষমতা এসেছে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির আদর্শগত অনচ্ছতা থেকে । একথা অস্বীকার করা যায় না যে, বাস্তব অবস্থা সম্মেলন আহবান করার অতিশয় প্রতিকুল ছিল। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাহাঙ্গামার প্রচণ্ড আঘাতে ও বঙ্গবিভাগের ফলে আমাদের সংগঠন একরকম ভেঙে যায়। শাখাগুলির সঙ্গে কেন্দ্ৰেৱ সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। বহু শাখার অস্তিত্ব লোপ পায় । কেন্দ্রের কার্যকলাপও বহুদিন বন্ধ রাখতে হয়। এ আঘাত সামলে উঠতে না। উঠতে শুরু হয়ে যায় প্ৰতিক্রিয়ার হিংস্র আক্রমণ । BBD DB S D BBDBDBBB SS S DDDDS S SDDS S BDBBD DK DBBBDL বলা যায়, এই সব বাধা ও অসুবিধা অতিক্রম করে অনেক আগেই আন্দোলনের আয়োজন করা অসম্ভব ছিল না । দাঙ্গাহাঙ্গামার জন্য কেবল ১১৪৬ সালে সম্মেলন সম্ভব ছিল না, পরের বছর সম্মেলন আহ্বান করা যেতো। প্রকৃতপক্ষে, ১৯৪৭ সালে সম্মেলন ডাকা সম্পর্কে আলোচনা ও প্ৰাথমিক পরিকল্পনা স্থির হয়-সংঘের সর্বভারতীয় কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বুলেটিনে বাংলা শাখার রিপোটে এই পরিকল্পনার উল্লেখ আছে। প্ৰতিক্রিয়ার সরকারী ও বেসরকারী আক্রমণও এতদিন সম্মেলন না ডাকার অনিবাৰ্য কারণ হিসাবে গ্ৰহণ করা যায় না। প্ৰতিক্রিয়ার বেসরকারী আর্তনাদ এখন তীক্ষুতর, এবং সরকারী দমননীতি তীব্রতর হয়েছে এবং আমরা এই সম্মেলনের আয়োজনও করেছি । সুতরাং সম্মেলন এই ১৯৪৯-এ পিছিয়ে আনার প্রধান দায়িত্ব সংঘের পরিচালকমণ্ডলীর। বলা বাহুল্য, যুগ্মসম্পাদক দু’জন এ বিষয় সকলের চেয়ে বেশি দায়ী। আজ এ বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, আমাদের অন্যান্য ভুলভ্রাস্তিৱ Sv)