পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

හේතු) কয়েকটি শাখায় সার্চ করে উৎসাহী কর্মীকে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। প্ৰগতিশীল প্রতিষ্ঠান গণনাট্য সংঘ এবং সোভিয়েট সুহৃদ সংঘও পুলিসের কৃপালাভ থেকে বঞ্চিত হয়নি। এই আক্রমণের প্রতিরোধে সংঘের উদ্যোগে ‘সংস্কৃতি স্বাধীনতা পরিষদ’ স্থাপিত হয়। বুদ্ধিজীবীদের সামনে সংস্কৃতির এই নতুন সংকটের স্বরূপ তুলে ধরা ও জোরালো প্ৰতিবাদ সৃষ্টি করার কাজে ‘সংস্কৃতি স্বাধীনতা পরিষদে’র ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । যুদ্ধাবসানের পর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অবস্থার দ্রুত রূপান্তর হয়েছে। আজ সোভিয়েটের বিরুদ্ধে আমেরিকার নেতৃত্বাধীনে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলি সংঘবদ্ধ হয়ে নূতন বিশ্বযুদ্ধের প্রকাশ্য প্রচারের রূপ নিয়েছে। এই সোভিয়েট বিরোধিতা রাজনীতির ক্ষেত্রে অতিক্রম করে সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও ফ্যাসিস্ট দমননীতিতে পরিণত হতে আরম্ভ করেছে। তাই, যেটুকু মোহ ও জড়তা অবশিষ্ট ছিল আজ তা ঝেড়ে ফেলবার জরুরী প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সন্দেহ নেই আমরা তা পারবো। প্রগতির অভিযান সকল বাধা ঠেলে সরিয়ে এগিয়ে যাবে । বাংলায় ভারতীয় প্ৰগতি লেখক ও শিল্পী সংঘের একটি হিন্দী ও একটি উদুশাখা আছে। এই শাখা দুটির সঙ্গে এতদিন আমাদের প্রায় কোন যোগাযোগই ছিল না, অল্পদিন হয় এদের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। তাই এই প্ৰতিষ্ঠান দুটির নাম উল্লেখ করেই ক্ষান্ত হতে হচ্ছে। বহু প্ৰগতিশীল প্ৰতিষ্ঠান, পত্রিকা ও ব্যক্তির কাছ থেকে প্ৰগতি লেখক ও শিল্পীসংঘ নানাভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা লাভ করেছে। আমরা সহযাত্রী, আমাদের মধ্যে ঋণ স্বীকার ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ব্যবধানটুকুও আমরা রাখতে bाशे न। [ २२-8-8 ]