পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ejik ছিল এবং কিভাবে আমি রবীন্দ্র গুপ্তের মত গ্ৰহণ করেছি একটু বলা দরকার।” [ পরিচয়, পৌষ, পৃঃ ৩৬] সিতাংশুবাবুকে পায় কে। নতুন মত গ্রহণের আগে আমার পুরনো মত কি ছিল তার বিবরণ থেকে উদ্ধতি তুলে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন, আমি কেমন নতুন একটা মত মেনে নিয়েও তার বিরোধী কথা লিখছি। ! আরও আছে, প্রথম প্যারাতেই আছে। প্যারার শুরুতেই সিতাংশুবাবু লিখেছেন যে, আমি “প্ৰকাশ রায়ের বক্তব্য রবীন্দ্ৰ গুপ্তের লেখা’ পড়ার পর মেনে নিয়েছি। এটা আংশিক সত্য অবলম্বন করে একটা মিথ্যাকে দাড় করাবার চেষ্টা । আমার প্রবন্ধে কি কোনরূপ অস্পষ্টতা আছে যে, শুধু ঐতিহ্য সম্পর্কে প্ৰকাশ রায়ের মতটা রবীন্দ্ৰ গুপ্তের মতের ভিত্তিতে মেনে নিয়েছিলাম ? প্ৰবন্ধের গোড়াতেই নম্বর দিয়ে লিস্ট দাখিল করেছি, প্ৰকাশ রায়ের কোন কোন বক্তব্য সম্পর্কে আমার কি বক্তব্য ছিল— এবং নম্বর ( ২নং বক্তব্য ) উল্লেখ করে স্পষ্টই বলেছি যে, রবীন্দ্ৰ গুপ্তের লেখা পড়ে কেবল ঐতিহ্য সম্পর্কে আমার মত বদলেছি। প্ৰকাশ রায়ের লেখাকে রবীন্দ্ৰ গুপ্ত মোটামুটিভাবে সমর্থন করেন-আমি তা করিনি। প্রকাশ রায়ের খণ্ডিত দৃষ্টি, বামপন্থী বিচূতি না দেখা, যান্ত্রিকতা, প্রভৃতির যে সমালোচনা আমার প্রবন্ধে আছে, সেটা কি তার বক্তব্যকে মেনে নেওয়ার প্রমাণ ? সিতাংশুবাবু অভিযোগ করেছেন : “এই সম্পর্কে মানিকবাবু গত প্ৰগতি সাহিত্যসম্মেলনের ইস্তাহার রচনা নিয়েও কতগুলি কথা বলেছেন, যেগুলি সেই সম্মেলনের ইস্তাহার পুনলিখন কমিটির সভ্য হিসাবে তার বলা ঠিক হয়েছে কিনা তাকে ভেবে দেখতে বলি ।।’’ ( পরিচয়, ফান্তন, পৃঃ ৪৯ ) অর্থাৎ সিতাংশুবাবু বলতে চান, কমিটির সভায় কিছু না বলে পরে আমার প্রবন্ধে ইস্তাহারটির নিন্দ করা ঠিক হয়নি। কমিটির সভ্য হিসাবে পুনর্লিখিত ইস্তাহার সম্পর্কে আমার দায়িত্ব ভুলে গিয়েছি। নিজেকে বঁচিয়ে অন্যদের নিন্দা করা আমার অন্যায় হয়েছে । এও আরেকটা প্ৰমাণ যে, সিতাংশুবাবু আমার প্রবন্ধটি ভালো করে না পড়েই সমালোচনা করেছেন। ইস্তাহারটি সম্পর্কে কাকে বা কাদের কটাক্ষ করা হয়েছে আমার প্রবন্ধে ? কোথায় অস্বীকার করেছি। আমার দায়িত্ব ? ইস্তাহারটি মনের মতো না হলেও সেটি প্রহণযোগ্য বলার জন্য, ভালো একটি ইস্তাহার লেখার