পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Tif家5 5 TFil 5 Fil e সম্পাদক বার বার তাগাদ দিয়েছেন, আমি বার বার সময় চেয়ে নিয়েছি। কারণ, একজন সৎ ও চিন্তাশীল ব্যক্তির ‘অনাগতের প্রতীক্ষায়’’’-এর ( নতুন সাহিত্য, চৈত্র ১৩৫১) মতো প্ৰবন্ধকে হঠাৎ গ্রহণ বা বর্জন করার মতো বিদ্যাবুদ্ধি আমার আছে কিনা জানা ছিল না। । “নতুন সাহিত্য’ সম্পাদকের অনুরোধটাও মারাত্মক-তিনি সরাসরি আমাকে কথাশিল্পীর অবশ্য পালনীয় একটি মূলনীতি লঙ্ঘন করার আহবান জানিয়েছেন। অচ্যুতবাবুৱ সমালোচনামূলক প্রবন্ধটি সম্পর্কে কোন পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণার দাবি তিনি জানাননি—ঐ প্রবন্ধে আমার সাহিত্য সম্পর্কে যে সমালোচনা আছে শুধু সে বিষয়ে আমার মতামত চেয়েছেন। আচু্যতবাবুর বক্তব্য আমি কি ভাবে নিয়েছি এটুকু বলাই যথেষ্ট । বন্ধুবর গোপাল হালদার তার জবাবের শুরুতেই এ প্রথা চালু করে সম্পাদকের বিপদে পড়া সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছেন । সম্পাদকের বিপদ । অভিমানে খোচা লাগায় লেখকরা চটে যাবেন, এটাই কি আসল কথা ? নিজের সাহিত্যের শিল্পমূল্যের বিচারটা মনঃপূত না হলেই চটে যাবেন। এরকম শিশুর মতো অভিমানী লেখককে শুধু ধমক দিয়ে চটানো কেন, মেরে ধরে কঁদোলেই বা কি আসে যায় ? দুটো মিষ্টি কথার লজেন্স দিলেই তো আবার তার মুখে হাসি ফুটবে। নিজের লেখার সমালোচনা নিয়ে বাদপ্রতিবাদে নামান্ব প্রথা চালু করার বিপদ বরং লেখকদেরই, নীতিভঙ্গের বিপদ । নিজের বই সম্পর্কে কোন সমালোচনার জবাবে লেখকের কিছু বলা সাংঘাতিক अनिद्मभ । নিন্দ বা প্ৰশংসা, অন্যায় আক্রমণ বা পিঠচাপড়ানো-এ সম্পর্কে তো বটেই, বই-এর কাহিনী, আঙ্গিক, শিল্পমূল্য ইত্যাদির বিচার-বিশ্লেষণ, সমালোচনা সঠিক বা বেঠিক হয়েছে সে বিষয়েও লেখক মুখ বুজে থাকতে বাধ্য। একটি গল্প বা উপন্যাস EJo