পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S<(S 66আঙ্গিকের বিশেষত্ব’ । অচ্যুতবাবু অত্যন্ত স্পষ্টভাবে অনুযোগও দিয়েছেন যে, গোপালবাবু তার বই-এ একটিমাত্ৰ কৃষক চরিত্ৰও আনতে সাহস পাননি । অথচ অচ্যুতবাবুর কাছে। এ সত্য স্পষ্ট নয় যে, বুদ্ধিজীবী সত্তার জন্যই গোপালবাবুকে জীবনের এমন অংশগুলি বেছে নিতে হয় যাতে তিনি র্তার ডায়ালেকটিক চিন্তাধারাকে কাহিনীর পর কাহিনী সাজিয়ে প্ৰকাশ করতে পারেন । আঙ্গিকের ভূমিকা সম্পর্কে বিভ্রান্তির জন্যই বর্তমান প্ৰগতি সাহিত্য সম্পর্কে আচু্যতবাবু “আশান্বিত’ হবার কারণে খুজে পাচ্ছেন না। প্ৰবন্ধের গোড়াতেই তিনি প্ৰগতিশীল শিল্পের স্থল সংজ্ঞা নির্দেশ করতে গিয়ে সমাজ-জীবনের বাস্তবতার উল্লেখ করেছেন, কিন্তু সাহিত্যের বাস্তবতা বিচার করতে নেমে ওই বান্তবতাকে পিছনে ঠেলে দিয়েছেন । সাহিত্যের বাস্তবতার বিচার অর্থাৎ সমাজ-জীবনের বাস্তবতায় যে জীবন-সত্য সাহিত্যে তা কিভাবে কতটুকু রূপায়িত হচ্ছে বা হচ্ছে না। তার বিচার যে সর্বদা সমাজ-জীবনের বাস্তবতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখে করা দরকার এটা খেয়াল না রাখায় আচু্যতবাবুর বিচার বিশ্লেষণ অবৈজ্ঞানিক হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার সঠিক জীবন-দর্শনের গুরুত্ব সম্পর্কে আচু্যতবাবু মোটেই অচেতন নন । বর্তমান বাংলা প্ৰগতি সাহিত্যের স্বরূপ এবং লেখকদের সমস্যা যেমন নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন তেমনি সুন্দর ও সঠিকভাবে এই সমস্যার সমাধানও বাৎলিয়েছেন ঃ আরও বেশি করে জীবনকে জানা, আরও একান্তভাবে নিবিড়ভাবে জীবনের সান্নিধ্যে যাওয়া ও তার গতি-প্ৰকৃতির অন্তর্নিহিত তাৎপৰ্য উপলব্ধি করা । আঙ্গিকের জন্যও তিনি পুর্বসূরীদের সাহিত্য পড়তে বসে সঠিকভাবেই মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সে আঙ্গিকে আজকের লেখকের কাজ হবে না । আচুৰ্য্যতবাবু লিখেছেন, “আসল কথা হলো, প্রগতিশীল লেখকদের আজকে এমন একটা সমস্যার সামনে পড়তে হয়েছে যা কোন কালের কোন লেখকের উপলব্ধি করতে হরনি। লেখকের চিরদিনই তথ্যের থেকে তত্ত্বের দিকে যান ; আজকের লেখকদের পরিক্রমণের পথ হলো তত্ত্বের থেকে তথ্যের দিকে । ফলে তথ্যের মধ্যে তত্ত্বকে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সীমায় আবিষ্কার করতে না পারার জন্যে লেখকেরা একবার স্থলভাবে প্রচারধর্মী হয়ে পড়ছেন, আর একবার সুক্ষ্মভাবে আঙ্গিক-সর্বস্ব হয়ে পড়ছেন । এর একমাত্র সমাধান হলো আরও বেশী করে tša ves