মাণিক গ্ৰন্থাবলী বোধ্য কথা নিয়েই আলোচনা থাকবে, উচুস্তরের জ্ঞান বিজ্ঞানের কথা থাকবে না, তা বলছি না। কিন্তু একই লেখার খানিকটা সাধারণ পাঠকের বোধগম্য করতে চেয়ে বাকিটা দুৰ্বোধ্য রেখে পাঠকের মনে বিপৰ্যয় সৃষ্টি করা অসঙ্গত মনে হয় । কঠিন বিষয়ে লেখায় একটি নিয়ম অবশ্য পালনীয় : যে শ্রেণীর পাঠকের জন্য লেখা রচনাটি যেন সেই এক শ্রেণীর পাঠকেরই উপযোগী হয়। একটি লেখাকে অজ্ঞ ও জ্ঞানী সকলেরই পাঠযোগ্য করতে চাওয়ার মানে হয় না। ; একই বিষয়ে দুটি লেখা প্ৰকাশ করাও বরং তার চেয়ে শ্রেয়। তা যদি সম্ভব नैं হয়, লেখার আগা গোড়া অধিকাংশ পাঠকের জ্ঞান বুদ্ধির অভিজ্ঞতার পক্ষে গ্ৰহণযোগ্য করা না যায়, তবে প্ৰবন্ধটি মুষ্টিমেয় সেই ক’জনের জন্যই লেখা হোক-গ্ৰহণ করার ক্ষমতা যাদের আছে। সাময়িক পত্রে এরকম দু’একটি লেখা থাকা দোষের কিছু নয়। সাধারণ পাঠকের গ্রহণযোগ্য আরও রচনা তো আছে। দুটি একটি দুর্বোধ্য লেখা সাধারণ পাঠকের উপকার ছাড়া অপকার করে না । লেখাটি বুঝবার জন্য কারো কারো মনে ও-বিষয়ে পড়াশোনা করে নিজেকে তৈরি করে নেবার আকাজক্ষা জন্মে। কিন্তু কিছু বোঝা আর কিছু না-বোঝা তার পক্ষে প্ৰায়ই ক্ষতিকর । কিন্তু বোঝাটাই অথহীন। কোন জ্ঞাতব্য বিষয়েই খানিকট টুকরা ভেঙে নিয়ে মানুষ আত্মসাৎ করতে পারে না। কিছু বোঝার মানে তার ভুল ধারণার সৃষ্টি হওয়া যে সে সব বুঝেছে। নিজের ধারণা ও কল্পনা দিয়ে সে তারপর সমগ্ৰ ভ্ৰান্তি গড়ে তুলবে। "সঙ্কর রক্ত কি সত্যই প্ৰতিভার সৃষ্টি করে ?” লেখাটিতে সামঞ্জস্যের এই অভাব । ং ‘সঙ্গীতে যৌনতা’র বিষয় বস্তু আরও বেশি সুন্ম ও গভীর হলেও লেখাটিতে অনেকটা সামঞ্জস্য আছে-যতখানি বিদ্যা বুদ্ধি সম্পন্ন পাঠককে সামনে ধরে লেখক লিখতে শুধু করেছেন শেষ পর্যন্ত মোটামুটি তাকেই সামনে খাড়া রেখেছেন। “আধুনিক প্রেমের কবিতা’র সম্বন্ধে এ কথা বলতে পারলাম না। “পুরুষ কি নারীতে তৃপ্ত ?” প্ৰবন্ধটিতে বহু বিতর্কের উপাদান থাকলেও পাঠকের মনে নতুন उचछि अरन्द्रि जङ्ग्रडा कgव्र व्ा । নতুন জীবনের পথ নতুন। সাহিত্য ও সমাজশ্ৰীতির আদর্শ যত জোরালো হবে পথ ততই প্রশস্ত ও দীর্ঘ হবে। t8 R
