পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰাগৈতিহাসিক ভিখু বলে, “আরো থো, খুন, অমন সব হালাই করতিছে। উয়ার মত দশটা মাইনষেরে আমি একা ঘায়েল কইরা দিবার পর্তম, তা জােনন্স ?” ভিখারিণী বলে-“পারস তো যা না, উয়ার সাথে লাগ না গিয়া । আমার কাছে दिक्ल ?? “উয়াকে তুই ছাড়ান দে । আমার কাছে চ” ।” “ইরে সোণ ! তামুক খাবা ? ঘা দেইখা পিছাইছিলি, তোর লগে আর খাতির কিরে হালার পুত ? উয়ার ছাড়ম ক্যান ? উয়ার মত কামাস তুই ? ঘর আছে তোর ? ভাগবি তো ভাগ, নইলে গাল দিমু কইলুম।” ভিখু তখনকার মত প্ৰস্থান করে। কিন্তু হাল ছাড়ে না । ভিখারিণীকে এক দেখিলেই কাছে আসিয়া দাড়ায়। ভাবি জমাইবার চেষ্টা করিয়া বলে, “তোর নামটো কির্য ?? এমনি তাহারা পরিচয়হীন যে এতকাল পরস্পরের নাম জিজ্ঞাসা করিবার প্রয়োজনও বোধ করে নাই । ভিখারিণী কালো দাতের ফাকে হাসে । ‘ফের লাগতে আইছস ? হােই ও বুড়ীর কাছে যা ।” ভিখু তাহার কাছে উবু হইয়া বসে। পয়সার বদলে অনেকে চাল ভিক্ষা দেয় বলিয়া আজকাল সে কঁাধে একটা বুলি ঝুলাইয়া বেড়ায়। ঝুলির ভিতর হইতে একটা প্ৰকাণ্ড মৰ্ত্তমান কলা বাহির করিয়া তিখারিণীর সামনে রাখিয়া বলে, “খা । তোর লেগে চুরি কইরা আনছি।” ভিখারিণী তৎক্ষণাৎ খোসা ছাড়াইয়া প্রেমিকের দান আত্মসাৎ করে। খুলী হইয়া বলে, “নাম শুনবার চাস ? পাচী কয় মোরে-পাচী। তুই কলা দিছস, बiभ कद्देलाभ, 9वांद्म डांश !' ভিখু উঠিবার নাম করে না। অতবড় একটা কলা দিয়া শুধু নাম শুনিয়া খুলী হওয়ার মত সৌখীিন সে নয়। যতক্ষণ পারে ধুলার উপর উবু হইয়া বসিয়া পাঁচীর সঙ্গে সে আলাপ করে । ওদের স্তৱে নামিয়া না গেলে সে আলাপকে কেহ আলাপ বলিয়া চিনিতে পরিবে না। মনে হইবে পরস্পরকে তাহাৱা ষেন গাল দিতেছে। পাচীর সঙ্গীটির নাম বসির। তাহার সঙ্গেও সে একদিন আলাপ জমাইবার চেষ্টা করিল। t