পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यांकि यहांबत्रौ “মার কথা শুনিবিশিলা “বলে দাদু।” আমি বলিতে আরম্ভ করি । গুহার আবছা আলোয় শিলার জন্মকথা । কিন্তু যতবারই বলি আসল বক্তব্যটা গোপন থাকিয়া যায়, শেষ করি একটা মিথ্যা বলিয়া । অযত্বে অচিকিৎসায় ঠাণ্ডায় না-দেখা মার শোচনীয় মৃত্যুকাহিনী শুনিয়া শিলার চোখ দিয়া জল পড়ে । নিশ্বাস ফেলিয়া ভাবি, বদমাইশ তো কোনোদিন ছিলাম না, পারিব করিবার অক্ষমতায় আত্মপ্ৰসাদ জন্মে, যথালাভ মনে করিয়া তাহাতেই খুশি থাকিতে চেষ্টা করি । কিন্তু পারিলাম না। শিলাকে চুম্বন করিবার মতো অবস্থাটা কিছুকালের মধ্যেই সৃষ্টি হইয়া গেল। কেমন করিয়া গেল তাহা এত বেশি সূক্ষ্ম যে ভাষায় মোটা ইঙ্গিতে সংক্ষেপে প্ৰকাশ করিবার দুঃখে কলম ছুড়িয়া ফেলিতে ইচ্ছা হইতেছে। শিলার বয়স আর পনেরো নাই, ষোলো হইয়াছে। কিছুকাল হইতেই দেখিতেছি সে গম্ভীর হইয়া উঠিয়াছে, কিন্তু কী এক না-জানা ভয়ে চোখ দুটি চঞ্চল। মুখ যেন বর্ষণহীন শ্রাবণের আকাশ, ক্ৰমাগতই কালে কালো মেঘ ভাসিয়া যাইতেছে। সকালবেলা আমি টাকা-পয়সার হিসাব নিয়া ব্যস্ত থাকি, মুখ তুলিতেই দেখি একটা অদ্ভুত বিষন্ন মুখভঙ্গি করিয়া সে আমার দিকে একদৃষ্টি চাহিয়া আছে। আমাকে চাহিতে দেখিলে সরিয়া যায়। আমার হিসাব যায় গুলাইয়া, ডাকি, ‘শিলা শোন।” আমি ডাকিলেই শিলা দুড়দাড় ছুটিয়া আসিত, এখন এমন মন্থর গতিতে আসে। যেন পদে পদে পা বাধিয়া যাইতেছে। খানিক তফাতে থাকিয়াই বলে, “কি দাদু ?? कigछ चांग्र।' শিলা কাছে আসে না, আসিতে থাকে। নাগালের মধ্যে আসিলেই খপ করিয়া তার হাত ধরিয়া পাশে বসাইয়া দিই। বলি, “তুই বড়ো লক্ষ্মী মেয়ে, শিলা ?” শিলা জোর করিয়া একটু হাসে। বলি, “আমাকে তুই ভালবাসিস, শিলা ?” পরম আশ্বস্ত হইয়া সে তৎক্ষণাৎ বলে, “বাসি দাদু। ঘামচি মেরে দেব বুঝি ?” সুতরাং ঐখানেই থামিতে হয়, যদিও সে থামার অর্থই নেপথ্যে অগ্রসর হওয়া । ¢ግ&