পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि १श्ॉबनी করেনি পুলিশের সঙ্গে, এমন জব্দ করেনি পুলিশকে । কদিন আগে দুপুরবেলা পুরুষশূন্য গায়ে পুলিশ এলে ঝাটা বঁটি হাতে মেয়ের দল দিয়ে ময়নার মা তাদের তাড়া করে পার করে দিয়েছিল। গায়ের সীমানা ! সে যে এমন রসিকতাও জানে, কে তা ভাবতে পেরেছিল ? গায়ের মেয়ের আসে দলে দলে, অনিশ্চিত আশঙ্কা ও সম্ভাবনায় ভরা এমন যে ভয়ঙ্কর সময় চলেছে এখন, তার মধ্যেও তারা আজ ভাবনা চিন্তা ভুলে হাসিখুসিতে উচ্ছল । মোক্ষদার মা বলে একগাল হেসে গালে হাত দিয়ে, "মাগো মা ময়নার মা, তোর মন্তি এত ?” ক্ষেন্তি বলে ময়নাকে, “কিলো ময়না, জামাই কি কইলো ? দিছে কি ?” লাজে ময়না। হাসে । বেলা পড়ে এলে, কাল যে সময় ভুবন মণ্ডল গায়ে পা দিয়েছিল প্ৰায় সেই সময়, আবির্ভাব ঘটে জগমোহনের। বয়স তার ছাব্বিশ সাতাশ, বেঁটে খাটাে যোয়ান চেহারা, দাড়ি কামানো, চুল আচড়ানো । গায়ে ঘরকাচা সার্ট, কঁধে মোটা সুতির সাদা চাদর। গায়ে ঢুকে গটগট করে সে চলতে থাকে হারাণের বাড়ির দিকে, এপােশ ওপাশ না তাকিয়ে, গম্ভীর মুখে। রসিক ডাকে দাওয়া থেকে ‘জগমোহন নাকি ? কখন আইলা ?” নন্দ বলে, “আরো শোন, শোন, তামুক খাইয়া যাও।” জগমোহন ফিরেও তাকায় না । রসিক ভড়কে গিয়ে নন্দকে শুধোয়, “কি কাণ্ড বুঝলা নি ?” “কেমনে কমু?’ অবাক হয়ে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে দুজনে। পথে মথুরের ঘর। তার সঙ্গে একটু ঘনিষ্ঠতা আছে জগমোহনের। নাম ধরে হাক দিতে ভেতর থেকে সাড়া আসে না, বাইরের লোক জবাব দেয়। ঘরের কাছেই পথের ওপাশে একটা তালের গুড়িতে দুজন মানুষ বসে ছিল নিৰ্লিপ্তভাবে, একজনের হাতে খোটা শুদ্ধ গরু-বাধা দড়ি । তাদের একজন বলে, “বাড়িতে নাই। তুমি কেডা, হাৱামজাদাটারে খোজ कांना ? re