পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারাণের নাতজামাই জগমোহন পরিচয় দিতেই দুজনে তারা অন্তরঙ্গ হয়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে । “অ ! তুমিও আইছ ব্যাটারে দুই ঘা দিতে ?” তা ভয় নেই জগমোহনের, তারা আশ্বাস দেয়, হাতের সুখ তার ফসকাবে না। কাল সন্ধ্যায় গেছে গা থেকে, এখনো ফেরেনি মথুৱা, কখন ফিরে আসে ঠিকও নেই, তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না জগমােহনকে ! মথুৱ ফিরলে তাকে যখন বেঁধে নিয়ে যাওয়া হবে বিচারের জন্য, সে খবর পাবে। সবাই মিলে ছিড়ে কুটি কুটি করে ফেলার আগে তাকেই নয় সুযোগ দেওয়া হবে মথুরের নাক কানটা কেটে নেবার, সে ময়নার মার জামাই, তার দাবি जदांद्म या5ों । ‘শাউড়ি পাইছিল দাদা একখান ।” “নিজের হইলে বুঝতা।” জগমোহন জবাব দেয় ঝাঝের সঙ্গে, চলতে আরম্ভ করে। শুনে দুজনে তারা মুখ চাওয়াচাওয়ি করে অবাক হয়ে । আচমকা জামাই এল, মুখে তার ঘন মেঘ। দেখেই ময়নার মা বিপদ গনে। ব্যস্তসমস্ত না হয়ে হাসিমুখে ধীরে শান্তভাবে অভ্যর্থনা জানায়, তার যেন আশা ছিল, জানা ছিল, এ সময় এমনি ভাবে জামাই আসবে, এটা অঘটন নয়। বলে, “আসি বাবা অ্যাস । ও ময়না, পিাড়া দে ।। ভাল নি আছে বোবাকে ? বিয়াই বিয়ান পোলামাইয়া ?” ‘আছে।” । আরেকটুকু ভড়কে যায় ময়নার মা। কত গোসা না জমে জামায়ের কাটা ছােটা এই কথার জবাবে। ময়নার দিকে তার না-তাকাবার ভঙ্গিটাও ভাল ঠেকে না । পড়ন্ত রোদে লাউমাচার সাদা ফুলের শোভা ছাড়া আর কিছুই যেন চোখ চেয়ে দেখবে না। শ্বশুরবাড়ির পণ করেছে জগমোহন ? লক্ষণ খারাপ । ঘর থেকে কঁপি কঁপা গলায় হারাণ হাকে, “আসে নাই ? হারামজাদা আসে। নাই ? হায় ভগবান!” ‘নাতিরে খোজে, ময়নার মা জগমোহনকে জানায়, “বিয়ান থেইকা দ্যাখে না, উতলা হইছে।’ ময়নার মা প্ৰত্যাশ করে যে নাতিকে হারাণ সকাল থেকে কেন দ্যাখে। না, কি হয়েছে হারাণের নাতির, ময়নার ভায়ের, জানতে চাইবে জগমোহন çeviç