পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা ইতিমধ্যে সদানন্দ বিভূতিকে ডাকিতে লোক পাঠাইয়া দিয়াছো-মহেশের খবর জানিবে। বিভূতিকে আশ্রমে দেখিয়া সদানন্দ সত্যই খুলী হইয়াছিল। বিভূতি মুখ তুলিয়া তার দিকে চাইতে সে একটু হাসিল। বিভূতি হাসিল না, হাসিবার মত মনের অবস্থা তার তখন নয়, শুধু মাথা একটু কাত করিয়া হাসির জবাব দিল । লোকটিকে বলিল, “বলগে, একটু কাজ সেরে আসছি।” পূর্ণেন্দু নামে একটি যুবককে বিভূতি অপরাধী পাঁচজনের কাছে পাঠাইয়া দিল। পূর্ণেন্দু গিয়া বলিল, ‘মহেশবাবুর ছেলে বিভূতিবাবু আপনাদের একটু বাইরে ডাকছেন-বিশেষ দরকার।’ BBBD DB BBD DDDSDuBBDDBD ७कgछ ? cकन ७ांकgछ ।' দরকার আছে, আসুন ।” “আমাদের ডাকছে ? আমাদের কাদের ?” পূর্ণেন্দু একে একে আঙ্গুল দিয়া পাঁচজনকে দেখাইয়া দিল, “আপনাকে-আপনাকে-আপনাকে --আপনাকে-আপনাকে ৷” পাঁচজনেই ভড়কাইয়া গেল। আসর ছাড়িয়া কি যাওয়া যায় ? দরকার থাকিলে বিভূতি थांक ना ? 'চৌধুরী মশায় কেমন আছেন জানো ?” পূর্ণেন্দু বলিল, “ভাল নয়।” শুনিয়া পাঁচজনে আরও ভড়কাইয়া গেল। এবং আরও স্পষ্টভাবেই জানাইয়া দিল যে, কীৰ্ত্তন যখন চলিতেছে, আসর ছাড়িয়া যাওয়া কোনমতেই সঙ্গত হইবে না। আশে পাশের দু'একজন এতক্ষণে গোলমালের জন্য অসহিষ্ণু হইয়া বিরক্তি প্ৰকাশ করিতে আরম্ভ করিয়াছিল। পূর্ণেন্দু উঠিয়া গেল । তারপর ঘটিল অতি খাপছাড়া নাটকীয় ব্যাপার। লোকজনকে ঠেলিয়া সরাইয়া বিভূতি আর তার সঙ্গীরা অপরাধী পাঁচজনের কাছে আগাইয়া গেল । চার পাঁচজনে মিলিয়া এক একজনকে ধরিয়া হঁ্যাচক টান মারিয়া দাড় করাইয়া দিল। পাঁচজনের মুখ তখন পাংশু হইয়া গয়াছে। কীৰ্ত্তন বন্ধ হইয়া গেল, সকলে অবাক হইয়া ব্যাপার দেখিতে লাগিল । বিভূতি সোজা হইয়া দাড়াইয়া সকলকে পম্বোধন করিয়া বলিল, “এই পাঁচটি গুণ্ড মিলে কাল সকালে আমার ব্যাপকে বিনা দোষে মেরে SS প্ৰায় খুন করে ফেলেছে। আজ সকাল পৰ্যন্ত বাবা অজ্ঞান হয়ে ছিলেন। আপনাদের সকলের गांभन यांवि धंद्र मंख्रिद्म त्रिक्षांन ब्रशि, cष्cब्र দেখুন। বলিয়া একদিন সদানন্দের মুখে যেরকম ঘুষি লাগাইয়াছিল, কালীপদর মুখে সেইরকম একটা ঘুষি বসাইয়া দিল। তারপর সকলে মিলিয়া পাঁচজনকে মারিতে আরম্ভ করিল। আরম্ভ করিল বটে, কিন্তু মারটা তেমন জমিল না। ভয়ে যারা আধমরা হইয়া গিয়াছে, চোখ বুজিয়া গোঙ্গাইতে আরম্ভ করিয়াছে, হাত তুলিয়া একটা আঘাত ফিরাইয়া দিবার চেষ্টা পৰ্য্যন্ত যাদের নাই, একতরফা তাদের কঁহাতক পিটানো যায় ? এমনি মারিতে হাত উঠিতেছে না দেখিয়া, বিভূতি একজনের একটা ছড়ি কুড়াইয়া নিল, তারপর সেই ছড়ি দিয়া পাঁচজনকে মারিতে আরম্ভ করিল। এতক্ষণে চারিদিকে হৈ চৈ আরম্ভ হইয়া গিয়াছে । মারের ভয়ে আশেপাশের সকলে তফাতে সন্ধিয়া গিয়াছে এবং সেখানে নিরাপদে দাড়াইয়া চিল্লাইতেছে। সদানন্দই বোধ হয় সকলের আগে তাদের কাছে আগাইয়া আসিল । সদানন্দকে আগাইতে দেখিয়া তখন অগ্রসর হইল আশ্রমের অধিবাসীরা । সদানন্দ বিভূতিকে ধরায় বিভূতি তাকে ধাক্কা দিয়া ঠেলিয়া সরাইয়া দিল। তখন সকলের দিকে চাহিয়া বজ্ৰকণ্ঠে সদানন্দ বলিতে লাগিল, 'eiaf 34 WNfel Ca 4C1 eqkfaya Vegasgi Vegasglifa করছে, আমায় অপমান করছে, তোমরা চুপ করে দাড়িয়ে তাই দেখছ? আমাকে মারাল, এ অপমান LDBBLLB BK DDB S S BD DL YYK DDT Aq2Cs <<=–” উত্তেজনা অনেকের মধ্যেই সঞ্চারিত হইয়াছিল, তার উপর সদানন্দের অনুপ্রেরণা। একটা গৰ্জনের মত আওয়াজ উঠিয়া এলোমেলো গোলমালটা একেবারে ঢাকিয়া দিল। শচারেক লোক আগাইয়া গেল বিভূতি আর তার সঙ্গীদের দিকে। বিভূতির দলে যে বিশেষ ভারি নয়, সেটা টের পাইয়া সকলের মধ্যেই অনেকটা সাহসের সঞ্চার হইয়াছিল। বাকী পাঁচ শ’ ছ’শ লোকের মধ্যে তিন চার শ’ গ্রীলোক আৰ্ত্তনাদ করিতে লাগিল, বাকী সকলে দাড়াইয়া দাড়াইয়া দেখিতে ध्नांशिश्न भछ । মাঝে মাঝে শোনা যাইতে লাগিল ; "মার শালদের।” এই মহামন্ত্র উচ্চারণ না করিয়া