পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SOO DD D DD DBDB BBDD BDBBB sits a

  • জনতা যখন আক্রমণ করে, তখন দেরী হয় শুধু আরম্ভ করিতে, একজন যতক্ষণ আসল ব্যাপারটা হাতেনাতে সুরু করিয়া না দেয়, ততক্ষণ চলিতে থাকে। শুধু হৈ চৈ আম্ফালন। তবে এরকম অবস্থায় আরম্ভ হইতেও যে খুব বেশী দেরী হয় তা নয়,-দু'এক মিনিটের মধ্যেই কারোর না। কারোর উত্তেজনা চরমে উঠিয়া যায়। ব্যাপার যে কি রকম গুরুতর হইয়া দাড়াইয়াছে, বিভূতি আর তার সঙ্গীরা ভাল করিয়াই টের পাইয়াছিল। সকলে মিলিয়া আরম্ভ করিলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাদের ছিাড়িয়া টুকরা টুকরা করিয়া ফেলিবে । কিন্তু এখন আর উপায় কি ? পালানোর চেষ্টা করিলে কয়েকজন বঁাচিয়া যাইতে পারে, কিন্তু পালানোর চেষ্টা তো আর করা চলে না। তার চেয়ে উন্মত্ত জনতার হাতে মরাই एङाव् ।

পালানোর চেষ্টা করা চলে না কেন ? বিভূতির BDD DBBB D DBB BDBBBD S DDDBB DDD প্ৰশংসা সম্বন্ধে মহেশ চৌধুরীর দুর্বলতা দেখিয়া সেদিন সকালে বিভূতির লজ্জা আর দুঃখ হইয়াছিল, এখন সে চোখের পলকে বুঝিতে পারে, অনুগত যুবক-সমাজের নিন্দ-প্ৰশংসার ভাবনাই তাকে নিশ্চিত মৃত্যুর সামনে আড়ষ্ট করিয়া দিয়াছে। যাদের এত বড় বড় কথা শুনাইয়াছে, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার জন্য বুক ফুলাইয়া যাদের সঙ্গে করিয়া এখানে নিয়া আসিয়াছে, এখন বিপদ দেখিয়া তাদের ফেলিয়া পালানোর কথা ভাবিতেই হাত পা অবশ হইয়া আসিতেছে। অথচ এ ভাবে মরণকে বরণ করা নিছক বোকামি। রেল লাইনে ট্রেণের সামনে দাড়াইয়া সাহস দেখানোর মত। সদানন্দও নিমেষের মধ্যে ব্যাপারটা অনুমান করিতে পারিয়াছিল। দু'হাত মেলিয়া বিভূতিকে আড়াল করিয়া দাড়াইয়া সকলকে ঠেকানোর কল্পনাটা মনের মধ্যে আসিয়াই অন্য একটা কল্পনার তলে মিলাইয়া গেল। চোখের সামনে এমন একটা ভীষণ কাণ্ড ঘটিতে যাইতেছে, অথচ এই অবস্থাতেও সদানন্দের মনে পড়িয়া গেল যে, এ জগতে BBBB BEZK DDB DD BDSDD DDD বিভূতি। বিভূতির যদি কিছু হয়, মাধবীলতার তবে কেউ আর কীৰ্ত্ত থাকিবে না। চিন্তাটা মনে আসিতে সদানন্দ একটু সরিয়া দাড়াইল। भांनिक-6iश्वडौ এমন সময় ঘটিল আরেকটা কাণ্ড । হাতে আর মাথায় ব্যাণ্ডেজ বাধা মহেশ চৌধুরী খোড়াইতে খোড়াইতে পাগলের মত আসিয়া হাজির হইল। খানিকটা তফাৎ হইতেই সে প্ৰাণপণে চেচাইতে লাগিল, “ওরে, রাখি, রাখি, । ওরে বিভূতি, ፵f�.. !' সকলে স্তব্ধ হইয়া গেল। কতকটা বিস্ময়ে, কতকটা কৌতুহলে, কতকটা সহানুভূতিতে। বিভূতি প্ৰথমে সকলকে শুনাইয়া যা বলিয়াছিল, মহেশ চৌধুরীকে দেখিয়া সেই কথাগুলি সকলের মনে পড়িয়া গিয়াঁছে। উনিশ কয়েক মুহূৰ্ত্তের ন্তব্ধতা। তারপর আবার भांब्रांभांत्रि यांद्रष्ठ श्मा colण। qसांद्र चांद्र७ জোরে। আসরে মহেশ চৌধুরীরও অনেক ভক্ত উপস্থিত ছিল, তাদের রক্ত গরম হইয়া উঠিয়াছে। ব্যাপার দেখিয়া মনে হইতে লাগিল, মহেশ চৌধুরী আৰ্ত্তনাদের সুরে বিভূতিকে হাঙ্গামা থামাইতে অনুরোধ করে নাই, বিভূতিকে রক্ষা করার জন্য তার অনুগতদের কাছে আবেদন জানাইয়াছে। বাপের আর্তনাদ বিভূতির কাণে পৌছায় নাই। গোলমালের জন্য নয়, সে তখন প্ৰায় সদানন্দের পায়ের কাছেই উদ্ভট ভঙ্গীতে পড়িয়া আছে, বা হাতটা কব্জি ছাড়াও আরেক যায়গায় তাজ হইয়া শরীরের নীচে চাপা পড়িয়া গিয়াছে আর ডান হাতটা টান হইয়া নিবেদনের ভঙ্গীতে আগাইয়া গিয়াছে সদানন্দের পায়ের দিকে। শরীরটা রক্তমাখা, তবে কোন কোন অজের নড়নচড়ন দেখিয়া বুঝা যায় তখনও মরে নাই। আরও অনেকে জখম হইয়াছে, সকলে তারা বিভূতির সঙ্গীও নয়, সদানন্দের মান রক্ষার জন্য তার যে সব উৎসাহী ভক্তেরা আগাইয়া আসিয়াছিল, তাদের মধ্যেও কয়েকজন অন্য উৎসাহী ভক্তের হাতে মার খাইয়াছে। মারামারির সময় হাতের কাছে যাকে পাওয়া যায় তাকেই দুঘা দিতে এমন হাত নিসপিস করে । শুধু হাতের মারি নয়, গ্রামের লোকের পথ চলিতে লাঠির বড় দরকার হয়। মারামারির দ্বিতীয় খণ্ডটা পরিণত হইয়া গেল রীতিমত দাঙ্গায়, কেউ ঠেকাইতে পারিল না। অনেকে আগেই পালাইতে আরম্ভ করিয়াছিল,