অজিৎসা ব্যাপার। এতদূর গড়াইবে না। আশায় বুক বাধিয়া যারা অপেক্ষা করিতেছিল, এবার তারাও ছিটকাইয়া সরিয়া গেল। কেউ সটান পা বাড়াইয়া দিল বাড়ীর দিকে, কেউ দূরে দাড়াইয়া দেখিতে লাগিল মজা। কেউ মাটির ঢেলা হাঁট পাটকেল, হাতের কাছে যা পাইল, দূর হইতে তাই ছুড়িয়া মারিতে লাগিল যুদ্ধক্ষেত্রে-একটু আগেও যেটা ছিল শ্ৰীকৃষ্ণের জন্মলীলা-কীৰ্ত্তনের আসর খানিক তফাতে একটা চ্যােলা কাঠের স্তুপ ছিল, আট দশজন লোক হঠাৎ কোথা হইতে ছুটিয়া আসিয়া দুহাতে চ্যােলা কাঠ ছুড়িতে আরম্ভ করিয়া দিলা-ঠিক যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে নয়, একপাশে, সেখানে তখনও সমবেত স্ত্রীলোকদের অৰ্দ্ধেকের বেশী নিৰুপায় আতঙ্কে কিচির মিচির সুরে আর্তনাদ করিতেছে। কোন অল্পবয়সী। স্ত্রীলোক পুরুষ সঙ্গীর খোজে বিফল দৃষ্টিতে চারিদিকে চাহিতে চাহিতে প্ৰাণপণে চীৎকার করিতেছে বাবাগো মাগো বলিয়া, আর কোন বয়স্ক স্ত্রীলোক বসিয়া বসিয়াই মধুসুদনকে ডাকিতেছে। মেয়েদের অবস্থাই সবচেয়ে সঙ্গীন। আসরের চারিদিকে রাত্রি আর নির্জনতা, পালানোর উপায় নাই। কয়েকজন অবশ্য দাঙ্গার সুচনাতেই উন্মাদিনীর মত যেদিকে পারে ছুটিয়া পালাইয়াছে, সকলে সেরকম উদভ্ৰান্ত সাহস কোথায় পাইবে ? পুরুষ অভিভাবকরা আসিয়া অনেককে উদ্ধার করিয়া নিয়া গিয়াছে, কিন্তু এখন উদ্ধারের কাজটাও হইয়া দাড়াইয়াছে আরও কঠিন। নিজেদের সঙ্কীর্ণ সীমানাটুকুর মধ্যে অনেকে ভয়ের তাড়নায কয়েকটি পলাতক উন্মাদিনীর মতই দিশেহারা হইয়া এদিক ওদিক আরম্ভ করায় নিজেদের মধ্যে নিজেরাই হারাইয়া গিয়াছে। তারপর আছে ছোট ছেলেমেয়ে। তারপর আছে ধাক্কা দেওয়ার, গা মাড়াইয়া দেওয়ার বাচসা আর গালাগালি । যে দু’। একজন অভিভাবক লজ্জা VS TSRS gifs31 LACKPtCl3 CANÇ373 CJ আসিয়া খোজ করিতেছে, খোজ পাইয়া, দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া, কাছে আনাইয়া সঙ্গে করিয়া পালাইতে তারও সময় লাগিতেছে অনেকটা । এই অবস্থায় চ্যাল কাঠগুলি আসিয়া পড়িতে লাগিল তাদের গায়ে মাথায় । কেউ থামানোর চেষ্টা না করিলেও দাঙ্গা আপন হইতেই থামিয়া যায়। কোনটা তাড়াতাড়ি থামে, কোনটার জের চলে এখানে সেখানে ছাড়া ছাড়া হাতাহাতিতে, পিছন হইতে SOS DD DDuBS q EBDBD BB বিপিন। আশ্রমে একটা লুকানো বন্দুক ছিল। বন্দুকের লাইসেন্স ছিল, তবু বন্দুকটা লুকানোই থাকিত। ছুটিয়া গিয়া বন্দুকটা আনিতে বিপিনের সময় লাগিল মিনিট পাঁচেক , আর খানিকটা তফাতে দাড়াইয়া কয়েকবার আওয়াজ করিতে शश्च व्लाँन्ध्नि 'शिनि ।। 6* शिनि ||७|| দরকার ছিল না, এ ধরণের সখের দাঙ্গা থামাইতে একটা বন্দুকে এক মিনিটে যে কটা আওয়াজ করা যায়। তাই যথেষ্ট। দাঙ্গা থামার পরে হাঙ্গামার প্রথম বীভৎস আর বিশৃঙ্খল অবস্থাটাও শেষ হইয়া গেল অল্প সময়ের মধ্যেই। এরকম হাঙ্গামার ডালপালা ছাটিয়া ফেলিতে সদানন্দের আশ্রমবাসী শিষ্যশিষ্যাদের পটুতা দেখা গেল অসাধারণ। পরিচালনার ভারটা নিতে হইল বিপিনকে, সদানন্দের কিছু করার ক্ষমতা ছিল না, সেও মারা খাইয়াছে। মেয়েদের শান্ত করিয়া অভিভাবকদের সঙ্গে মিলন ঘটাইয়া দেওয়া হইতে BBD gBDD BDDDBDBLL sKBBD LDB BDBDDD করা হইল। আধঘণ্টা পরে দেখা গেল আসরে আছে শুধু আশ্রমের লোক, আহত আর নিহতদের আত্মীয়স্বজন, আর আছে গহনার শোকে কাতর কয়েকজন নরনারী । মধ্যে যারা চ্যালো কাঠ D DBBDuDBS D LDBLB BD LLL সে কাজটা বন্ধ করিয়া মেয়েদের ভিড়ে ঢুকিয়া কয়েকজনের গলার হার কাণের মাকড়ি, হাতের চুড়ি ছিনাইয়া নিয়া তারা সরিয়া পড়িয়াছিল। সকলে পলাইতে পারে নাই, একটা চ্যােলা কাঠ কুড়াইয়া নিয়া রত্নাবলী দু’জনের মাথা ফাটাইয়া CMS88 Gf ge{\S QfSGCK Mff ARECS অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া আছে। আনকোরা নূতন আঘাতের রক্তমাখা চিহ্ন KBD SD DDDDBS KBD BBLE LBDBLDLDDB ব্যাণ্ডেজ বাধা চিহ্ন গায়ে নিয়া মহেশ চৌধুরী, জড় ভরতের মত একরকম কাছাকাছিই বসিয়া আছে-বিভূতির গা ঘোষিয়া। দাঙ্গা শেষ হওয়ার একটু আগে অথবা সঙ্গে সঙ্গে অথবা একটু পরে বিভূতি মরিয়া গিয়াছে। এক মিনিট স্তব্ধতার আগের তিন মিনিট আর পরের সাত মিনিট, মোট দশ মিনিটের দাঙ্গায় মায়া গিয়াছে চার জন। গুরুতর আঘাত পাইয়াছে সাত জন আর
