পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা [লেখকের মন্তব্য : মহেশ চৌধুরীর এই অস্পষ্ট আর অসমাপ্ত চিন্তাকে মহেশ চৌধুরীর চিন্তার শক্তি ও ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখিয়া স্পষ্টতর করিয়া তুলিতে গেলে অনেক বাজে বকিতে হইবে, সময়ও নষ্ট হইবে অনেক । আলপিন ফুটাইয়া খাড়ার পরিচয় দেওয়ার চেয়ে মন্তব্যের এই ভোতা ছুরি বেশী কাজে লাগিবে মনে R | মোট কথা, মহেশ চৌধুরীর মনে হইয়াছে, পৃথিবীর সমস্ত মানুষ অনেকদিন হইতে রোগে DBBDD SS DBBD DBBD gDBDB DBBBDD এবং সব সময় অনেক ছোটখাট মহাপুরুষ এই রোগ সারানোর চেষ্টা করিয়াছেন, এখনও করিতেছেন, কিন্তু সে চেষ্টায় বিশেষ কোন ফল হয় নাই, এখনও হইতেছে না। কারণ, তাদের চেষ্টা শুধু ভালর আড়ালে মন্দকে চাপা দেওয়ার, কেবল দুধ ঘি খাওয়াইয়া রুগীকে স্বাস্থ্যবান করার । মানুষের রোগের কারণ তারা জানে না, অর্থ বোঝে না, চিকিৎসার পথও খুজিয়া পায় না। তারা নিজেরাও রুগী। না হইয়া উপায় কী ? भाछ्ष ठूछेgठ cष शाश्cषद्र छन्म, माछCषद्र काछ হইতে খুটিয়া খুটিয়া যার আত্মসংগ্ৰহ, মানুষের যা BDDDB DBS DDD DBBB BD BD DS 0D GDE পাইবে ? উপাদানগুলি সেই এক, ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। শুধু নিজের মধ্যে ভিন্নভাবে আত্মচিন্তার খিচুড়ি রাধে। তাই মানুষের রোগের চিকিৎসার উপায় কেউ খুজিয়া পায় না, পাওয়া সম্ভবও নয়। তাই মানুষকে সুস্থ করার সমস্ত চেষ্টা গরীবকে স্বপ্নে বড়লোক করার চেষ্টার মত দাড়াইয়া যাইতেছে। ব্যর্থ পরিহাসে । জগতের কোটি কোটি অন্ধকে অন্ধের পথ দেখানোর চেষ্টার করুণ দিকটা মহেশ চৌধুরীকে একেবারে অভিভূত করিয়া ফেলে। হতাশায়, অবসাদে সমস্ত ভবিষ্যৎ তার অন্ধকার মনে হয়। কেউ খুজিয়া পাইবে না, মানুষের মুক্তির পথ কেউ খুজিয়া পাইবে না। মনুষ্যত্বকে অতিক্ৰম করিয়া মানুষের নিজেকে छांनियांद्र, बिछद्म यांद्र विश्व्र गगल भांशgसन মুক্তির পথ খুজিয়া পাওয়ার, একটা উপায়ের কথা যে শাস্ত্রে লেখা আছে, মহেশ চৌধুরীও তা জানে, আমিও জানি। তবে, শুধু লেখা আছে, এইটুকুই আমরা দুজনে জানি । ] S) ON) দাঙ্গাহাঙ্গামার জের চলিতে লাগিল, মহেশ চৌধুরীও বিষাদ ও অবসাদের ভারে জীর্ণ শীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল। মানুষের মুক্তি নাই, . মানুষের ভাল নাই, একথা ভাবিলেই তার মনে হয় পৃথিবীশুদ্ধ আত্মভোলা লোক ভাল মন্দে জড়ানো জীবন নিয়া মনের আনন্দে বঁচিয়া আছে, সেই কেবল পশুর খাচায় আটক পড়িয়াছে। সকলে ভাবে পুত্ৰশোকে মহেশ কাতর, মহেশ ভাবে, পুত্ৰশোকে সে যদি সকলের মত রীতিমত কাতর হইতে পারিত। একটি মাত্র ছেলে, তার শোকেও আত্মহারা হইতে পারিতেছে না, একি ভয়ানক অবস্থা তার ? শোক বাড়ানোর জন্যই মহেশ সর্বদা বিভূতির কথা ভাবিতে চেষ্টা করে, গৃহ কেমন শূন্য হইয়া গিয়াছে অনুভব করার চেষ্টা করে, বিভূতির স্মৃতিচিহ্নগুলি ঘাটাঘাটি করে, বারবার মাধবীলতার নুতন বেশের দিকে তাকায়। কেবল শোক বাড়ানোর জন্য । অন্য কোন <iठूC° ०ाप्र ! মহেশ চৌধুরীর শোক দেখিয়া বাড়ীর লোকের বুক ফাটিয়া যায়। বিভূতির মা মাথা নাড়িয়া বলে, “ও আর বাঁচবে না। না বাচুক, আর বেঁচে কি श्८ ? ७ं अ८°शे cषन उषiभि cषtठ °il,ि cश् । কালী, ওর আগেই যেনি-তোর মত বেশ যেন আমায় ধরতে না হয় রাক্ষসী।” মাধবীলতার শোকটা তেমন জোরালো মনে হয় না। তাকে কেবল একটু বেশী করম রুক্ষ দেখায়,-তেল মাখিয়া মান না করার রুশতা নয়, ভিতর হইতে রস শুকাইয়া যাইতে থাকিলে যেমন 豪昭| অনেক ভাবিয়া একদিন সে মহেশ চৌধুরীর সামনে জোড়াসন করিয়া বসে, আগে মাথার ঘোমটা ফেলিয়া দিয়া বলে, “ওই লোকটাই খুন করেছে बांदा ।' “স্বামীজী ? '७छे cलाका' बलिष्ठ भांक्षदौलडा cय कicक বুঝাইতেছে, অনুমান করিতে মহেশের দ্বিধা পৰ্য্যন্ত করিতে হয় না । “፷፱1 |' “তুমি জানলে কি করে, তুমি যাও নি।” ‘লোকের কাছে শুনেছি। আপনিও তো জানেন। ওই তো সকলকে ক্ষেপিয়ে দিল, সকলকে ডেকে খুন করতে বলল-” “খুন করতে বলেননি, বলেছিলেন-”