পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরা-বাধা জীবন একদিনে ভূপেনের বৌ আর ছেলে মরিয়া গেল, কিন্তু ভূপেন কঁাদিল না। প্ৰথমে মরিল তার বীে, কয়েক ঘণ্টা পরে ছেলেটা। ভূপেনের আর ছেলেমেয়ে নাই। বছর দু'য়েক বয়স হইয়াছিল ছেলেটার। মাসখানেক আগে তার টাইফয়েড হয়। ছেলের সামান্য কিছু হইলেই ভূপেনের বৌ বড় অস্থির হইয়া পড়িত। ভাবিয়া ভাবিয়া এবং কারও বারণ না মানিয়া দিনরাত ছেলের সেবা করিয়া সে বড়ই কাবু হইয়া পড়িয়াছিল। আরও বড় একটা কারণ ছিল তার কাবু হইয়া পড়ার। মারা সে গেল সেই কারণটির শেষ ধাক্কায়-মরা একটা মেয়েকে জন্ম দিতে গিয়া । @षम बब्रॉठे श्रश्न घरो, लून चांनप्न একটা সিগারেট ধরাইয়া মেয়েদের কায়ার শব্দ कां८१ चांगा गांख चांक्ष८°ांफुा गिां८ब्रछें छूख्रिश्न ফেলিয়া দিয়াছিল। ছেলের মরার সময়ও সে তেমনি আনমনে একটা সিগারেট ধরাইল এবং মেয়েদের কায়ার শব্দ নূতন আবেগে উচ্ছসিত হইয়া ওঠামাত্র আবার সিগারেটটা ফেলিয়া দিল । বন্ধু ও প্রতিবেশী ভদ্রলোকেরা আসিয়াছিল। ভূপেনের বৌ মারা গেলে তারা ভাবিল, ছেলের DBDBD LLLD DDDD D B BBLDDSLS পরে কঁদিবে, ছেলের একটা কিছু হইয়া গেলে। ছেলেটা মারা যাওয়ার পর তারা ভাবিল, পর পর Y BBDBD DDDD t BBB BBDDDS থতমত ভাবটা কাটিয়া গেলেই সে পাগলের মত মাথা কপাল কুটিয়া কঁদোকাটা করিতে থাকিবে। কিন্তু অল্পে অল্পে সময় কাটিয়া গেল, দেহ দুটিকে শ্মশানে নেওয়ার আয়োজন প্ৰায় সম্পূর্ণ হইয়া আসিল, ভূপেন কঁাদিল না। না কঁদিলে যে সব श्रां•ांठांौ कद्रांद्र औष्ठेि चांश, q उंत्रशुांव्र cग রকম কোন পাগলামীও করিল না। কেবল মুখখানা তার দেখাইতে লাগিল অস্বাভাবিক রকম বিবর্ণ। কদিন দাড়ি কামায় নাই, স্নান হয় নাই দু'তিন দিন, ভূপেনের মুখখান এমনিই শোকাতুর মানুষের মুখের মত হইয়া গিয়াছিল। সকলে তাই আরও বেশী অস্বস্তির সঙ্গে ভাবিতে লাগিল, মুখে যার গভীর মৰ্ম্মান্তিক শোকের এমন স্পষ্ট ছাপ পড়িয়াছে, সে কঁদে না কেন ? দুটি মানুষ যে বাড়ীতে মারা গিয়াছে। সদ্য সদ্য, সে বাড়ীতে অসাধারণ একটা অবস্থা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক, সে জন্য কিছু আসিয়া যায় না, অস্বাভাবিক কিছু ঘটিলেই মানুষ পীড়া বোধ করে। ভূপেনের চুপচাপ থাকা ছাড়া এবাড়ীতে আর সব ঠিক মানানসই আছে। ভূপেনের মা আর পিসীমা চীৎকার করিয়া মারাকান্না কঁাদিতেছে, ভূপেনের দিদি বিমলার ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফিট হইতেছে, ভূপেনের ছোটবোন মেঝেতে বা দেয়ালে মাথা किमा कि भाथ शादिनांद्र 65छे चांद्रछ कब्रांब পাড়ার একটি বেী দুহাতে তাকে জড়াইয়া ধরিয়া আছে, ভূপেনের বৌদিদি ভিতরের বারান্দায় দেয়ালের দিকে মুখ করিয়া গা এলাইয়া পড়িয়া আছে আর মৃদু ও মিহি গলায় গানের মতো সুর করিয়া কঁদিতেছে, ভূপেনের দাদা পাগলের মত একবার ভিতর ও একবার বাহির করিতে করিতে হায় হায় করিতেছে। আর শোকের এই সমস্ত প্ৰকাশ্য অভিব্যক্তির মধ্যে চলিতেছে মরণের পরবত্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আয়োজন। কোমরে গামছা জড়াইয়া আটদশ জন উৎসাহী ও অভিজ্ঞ মানুষ জুটিয়া গিয়াছে। হরদম বিড়ি সিগারেট পুড়িতেছে ; বয়স্ক ভদ্রলোকদের মুখে নানা রকম দার্শনিক মন্তব্য শোনা যাইতেছে : वैीळ, भद्रांद्र ऐश्रद्र गांधारपद्म नादि कांना इंख्ि নাই, ভগবান কেন যে দেন। আর কেন যে কাড়িয়া নেন, তিনিই জানেন, যাইতে আমাদের সকলকেই হইবে, দুদিন আগে আর পরে। এ সমস্তের মধ্যে ভূপেনের নিঃশব্দ শোক বড়ই খাপছাড়া মনে হইতে লাগিল। প্ৰসন্ন