পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরা-বাধা জীবন Se ঠেলিয়া উঠিতে থাকে। প্ৰভা সরমার অভাব মিটাইতে পাৰিবে না, প্রভার কাছে সে তা চায় না। কিন্তু নন্তকেও সে ফিরিয়া পাইবে না ? নন্তকে আনিয়া দিতে হইলে নিজেকে প্রভার মরিতে হুইবে ? আট বছর প্রভার সঙ্গে যে সম্পর্ক সে মানিয়া আসিয়াছে, যার মধ্যে সে পাইয়াছে মনো বিশ্রাম, জীবনের বৈচিত্ৰ্য, কল্পনার আশ্রয়, তার সমাপ্তির সম্ভাবনাতেই ভবিষ্যৎ তার কাছে কেমন যেন নীরস হইয়া গিয়াছে। প্রভার সঙ্গে এক বাড়ীতে দিন আর এক শয্যায় রাত্ৰি কাটানোর কল্পনা পৰ্য্যন্ত তেমন উল্লাস ও উত্তেজনা জাগাইতে পারিতেছে না । নন্তুর মত আরেকজনকে পাওয়ার আশি প্রভার কাছে করা চলিবে না ভাবিয়া ভূপেন আরও বিষয় হইয়া যায়। এ যেন আরও একটা প্ৰমাণ যে আট ন' বছর যে ভাবে তারা কাটাইয়াছে তার কোন রকম পরিবাৰ্ত্তন তাদের সহিবে না । লাভ হইবে না কিছুই, নষ্ট হইয়া যাইবে তাদের অমূল্য বন্ধুত্ব। প্রভাও মুখ নীচু করিয়া ভাবিতেছিল, মৃদুস্বরে সে বলিল, “এই একটা অসুবিধা আছে।” ভূপেন বলিল, “তুমি কি এইজন্য সেদিন বলেছিলে, তোমার ভয় করছে ?” “ঠিক এই জন্য নয়। কি হবে ঠিক বুঝতে পারছি না। আমরা যদি মানিয়ে চলতে না পারি ?” আগে ভূপেন হয় তো সঙ্গে সঙ্গে এ কথার প্ৰতিবাদ করিত, হাসিয়া উড়াইয়া দিত কথাটা । তারা মানাইয়া চলিতে পরিবে না, সে আর প্রভা ! এখন সে জোর করিয়া কিছু বলিতে পারিল না, দ্বিধা ভরে শুধু বলিল, “ঝগড়া আমাদের কখনো হবে না প্ৰভা ৷” প্ৰভা একটু হাসিল, “ঝগড়া ? ঝগড়ার কথা কে ভাবছে ? ঝগড়া হবে বৈ কি-হওয়াই ভাল। আমি ভাবছি অন্য কথা। মনে মনে হয়তো দুজনেই বিরক্ত হব, হয়তো মনে হবে বেশ ছিলাম। আমরাদুজনে স্তব্ধ হইয়া বসিয়া থাকে। দুজনের মনেই যে আশঙ্কা পাক খাইয়া বেড়াইতেছিল, ভাষার মধ্যে স্পষ্ট হইয়া এতদিনে প্ৰকাশ পাইয়াছে। অস্বীকার করিবার ক্ষমতা নাই, তুচ্ছ করিবার evभि नाहै। অনেকক্ষণ পরে ভূপেন বলিল, “ওসৰ ভয় সবারি হয় প্রভা। হয় তো সব ঠিক হয়ে যাবে।” প্ৰভা বলিল, “আগে হলে সব ঠিক হয়ে যেত । আমরা যে বুড়ো হয়ে গেছি।” • একথাও অস্বীকার করিবার উপায় নাই। দুজনে তারা সত্যই বুড়ো হইয়া পড়িয়াছে। নুতন অ্যাডভেঞ্চার সুরু করিবার বয়স তাদের আর নাই। তীব্ৰ জ্বালা বোধের সঙ্গে ভূপেনের মনে হয়, তাঁদের এত ভয়-ভাবনার কারণও হয়তো তাই। “ জীবনের সব চেয়ে বড় সার্থকতা হাতের মুঠায় আসিয়া পড়িলেও গ্ৰহণ করিতে তারা যে ইতস্তত করিতেছে, হিসাব করিতে বসিয়াছে ভবিষ্যতে কতখানি লাভ আর কতখানি লোকসান দাড়াইবে, সে শুধু বয়স তাদের বেশী বলিয়া । “ওসব ভাবনা চুলোয় যাক প্রভা। যা ঘটবার ঘটবে, এখন থেকে ভেবে কোন লাভ নেই।” “তুমি তো বলছি লাভ নেই। আমি যে না ভেবে পারি না। ’ কথাটা ভূপেনকে আঘাত করে। এতক্ষণে তারা যেন খেয়াল হয়, ভয় ভাবনা শুধু তার একার নয়, প্ৰতার মনেও তারই মত দ্বিধা জাগিয়াছে। নিজের পক্ষে তার কাছে যা ছিল একান্ত ন্যায়সঙ্গত চিন্তা, প্রতার মনে তার অস্তিত্ব তার অন্যায় মনে হয়। আনন্দে অধীর হইয়া দিন গোণার বদলে প্ৰভা তবে হিসাব করিতেছে সুবিধার ও অসুবিধার ? তার কথা আলাদা। তার সরমা ও নন্তু ছিল, বহুদিন সে বাধ্য হইয়া একটা বিশেষ জীবন যাপন করিয়াছে, প্রভার সঙ্গে আবার সেই পুরাণো ধাঁচের জীবন নুতন করিয়া আরম্ভ করিবার আগে নানা কথা মনে আসার তার যুক্তি আছে। প্ৰভাৱ, কেন ভয় হুইবে, ভাবনা জাগিবে ? এতকাল একা একা নিজের ব্যর্থ অসম্পূৰ্ণ জীবন টানিয়া চলিয়া তার যখন সার্থকতার, পরিপূর্ণতার সময় আসিয়াছে ? “তোমার ভাবনার কি আছে বুঝতে পারি না (2उों।' ‘বুঝতে পারবে না। তুমি শুধু নিজের কথা ख्दछ ।" “হঠাৎ রাগ হল কেন ?" "রাগ নয়। সেদিন রাগ হয়েছিল, কোথাও কিছু নেই হঠাৎ সেদিন এসে বলেছিলে, এক মাসের মধ্যে বিয়েটা সেরে ফেলি এসো। ও বিষয়ে যেন আমার কিছু বলারও নেই, করারও নেই। আমার মত चicछ किना, चिलग कब्रिांझ७ पद्मकांद्म भcन कद्ध नि।' “আমি ধরে নিয়েছিলাম তোমার মত আছে (2थंडा ।'