পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা DD S S BBD BOBDDLDBSBDD BBD DD নাই যে সে সাধনা করিতেছে, প্রক্রিয়া সে ঠিক করিয়া গিয়াছে নিজে, ও সব তার কাছে বঁচিয়া থাকারই অঙ্গস্বরূপ। তা ছাড়া, যে রকম সাধনা সে কোনদিন করে নাই, লোকের কাছে নিজেকে সেইরকম সাধক বলিয়া পরিচিত করার ফলে মনে মনে একটা তার ধারণা জন্মিয়া গিয়াছে BDS BD DDLLDD LS BBBDDDS BDDBDB केिलु “আমি যে ফাকিবাজ তাও দেখছি তুমি জানো মহেশ ?” ফাকিবাজ তো আপনি নন প্ৰভু।” সদানন্দ চটিয়া বলে, “এই বলছি লোককে ফাকি দিই, সঙ্গে সঙ্গে আবার বলছ ফাকিবাজ নই, তোমার কথার মাথামুণ্ডু কিছু বুঝতে পারি না भcहों।' "আভেজ্ঞ, দশজনকে জানিয়াছেন, আপনি সাধু --তাতে তো ফাকিবাজি কিছু নেই। দশজনের ভালোর জন্য নিজেকে সাধু ঘোষণা করাও সাধু ছাড়া অন্যের দ্বারা হয় না প্ৰভু। নিজের জন্য তো চান নি, লোকে সাধু ভাবুক, অসাধু ভাবুক, আপনার বয়ে গেল ।” সদানন্দ, সন্দিগ্ধভাবে মাথা নাড়িয়া বলে, “নিজের জন্য চেয়েছিলাম। কিনা কে জানে ৷” 'না, প্ৰভু, না। তাই কি আপনি পারেন ?” খানিক পরে প্রকারান্তরে সদানন্দ মহেশ চৌধুরীকে এখানে শুইয়া থাকার অনুরোধ জানায়, কিন্তু মহেশ রাজী হয় না । বলে যে, ভয়কে এড়াইবার চেষ্টা করিলে তো চলিবে না, ভয়কে জয় করিতে হইবে। মহেশ চৌধুরীর তুলনায় নিজেকে সদানন্দের অপদার্থ মনে হয় । গভীর হতাশায় মন ভরিয়া যায়, রাগের জালায় দেহের মধ্যে কি যেন সব পুড়িয়া যাইতে থাকে। মহেশ চৌধুরীর বাচিয়া থাকার কোন মানে হয় न, धारे श्ब्रंद्र उंडळे ख्रिा घगर्थ श्रां•छफुा কল্পনার আবরণে আসিয়া ভিড় করে। ক্ৰমে ক্ৰমে একটা বড় আশ্চৰ্য্য ব্যাপার সে লক্ষ্য করে। মহেশ চৌধুরীর একটা বড় রকম ক্ষতি করার চিন্তাকে প্রশ্রয় দিলেই হঠাৎ নিজেকে যেন তার সুস্থ মনে হইতে থাকে, দেহ মনের একটা যন্ত্রণাদায়ক অসুস্থ অবস্থা যেন চোখের পলকে জুড়াইয়া যায়। যে S-mo সদানন্দ আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। ԳVO আতঙ্কময় ফাপর ফঁােপর ভাবটা আজকাল তাকে থাকিয়া থাকিয়া আক্রমণ করে, আর যেন তার পাত্তাই পাওয়া যায় না। মহেশ চৌধুরীকে মনে মনে হিংসা করিবার সময়টা জাগ্ৰত স্বপ্নের প্রভাব হইতে সে মুক্তি পায়, মাথার বিমঝিামানি একেবারে বন্ধ হইয়া যায়। বাতাসে ভাসিয়া বেড়ানোর বদলে হঠাৎ যেন শক্ত মাটিতে দাড়াইয়া আছে বলিয়া টের পায়। মহেশ চৌধুরীকে তীব্ৰভাবে ঘূণা করিয়া, দশজনের কাছে তাকে হীন প্ৰতিপন্ন করার সম্ভব অসম্ভব মতলব আঁটিয়া, আর নিজেকে তার চেয়ে ছোট মনে করার প্রতিক্রিয়ায় জর্জরিত হইয়া গিয়া, অন্ততঃ তার তাই মনে হয়। ভয়টা যে এড়ানো যায়, রক্ত চলাচল প্লথ করিয়া দেওয়ার মত উত্তেজনাবিহীন সর্বগ্রাসী ভয়, তাও কি কম ? মহেশ চৌধুরী অবশ্য ভয় এড়ানোর চেষ্টা করিয়াছে, কিন্তু এসব ব্যাপারের সে কি বোঝে, কি দাম আছে তার উপদেশের ? সদানন্দকে উপদেশ দিতে আসে, স্পৰ্দ্ধাও কম নয়। লোকটার । দিন কাটিয়া যায়। মহেশ চৌধুরী শান্ত চোখে সদানন্দের চালচলন আর ভাবভঙ্গি লক্ষ্য করে । yggBD BD DBB D OD DBDL uBDLDD LLL গম্ভীর হইয়া উঠিতে থাকে। একদিন মহেশ চৌধুরী বলে, “প্ৰভু ? সদানন্দ একটা শব্দ করে, যেটা জবাব হিসাবেও DB DS BDDBB BDBBD DBLDLL EK DDLS “আর এগোতে পারছেন না প্ৰভু, না ?” "কিসের এগোতে পারছি না ? কে বললে তোমাকে এগোতে পারছি না ?” মহেশ চৌধুরীর চোখ ছল ছল করিতে থাকে, “এগোতে না পারলে ধৈৰ্য্য ধরে অপেক্ষা করুন, পিছিয়ে আসছেন কেন প্ৰভু ? এখন পিছু হটতে সুরু করলে কি আর উপায় আছে। প্রথমটা একটু ভাল লাগে, কিন্তু দুদিন পরে নিজের হাত পা কামড়াতে ইচ্ছা হবে। এমন যন্ত্রণা পাবেন, এখন তা ভাবতেও পারবেন না ।” “তোমার উপদেশ বন্ধ করা তো মহেশ’’ ‘উপদেশ নয়, কথাটা মনে পড়িয়ে দিচ্ছি। নিজেই বুঝে দেখুন, কি বিপদ ঘটাচ্ছেন নিজের।” সম্পূর্ণ বুঝিতে না পারিলেও সদানন্দ কিছু কিছু বুঝিতে পারে। মহেশ চৌধুরীর সম্মুখ হইতে ছুটিয়া পালানোর এরকম জোরালো ইচ্ছা আগে তার