পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brኬም बॉनिक्-अंशबगो নাই, এভাবে তার সদানন্দের হাতে পায়ে ধরিয়া সাধিতে যাওয়ার কোন অর্থ হয় না ? তার ভালর জন্য গিয়াছিল ? তার বিপদের ভয়ে দিশেহারা হইয়া ? কথাটা ভাবিতে ভাল লাগে। কিন্তু বিশ্বাস যে করা যায় না । দিশেহারা আতঙ্ক ছাড়া আর কিছুতেই প্ৰকাশ পায় না। সে আবার কোন দেশী সৃষ্টিছাড়া প্ৰেম, সে প্ৰেম মাধবীলতা পাইলই বা BDB S DD D LDDD DDBYB DBDB BBD লক্ষণ তো তার মধ্যে দেখা যায় নাই ? মনটা এমন খারাপ হইয়া গেল বিভূতির বলিবার নয়। আটক থাকার সময় প্রায়ই যেমন মনে হইত। সব ফাকি আর সব ফাক, কঁটা বিছানো বিছানায় এপােশ ওপাশ করাটাই জীবন আর মেশানো আলো অন্ধকারের আবছা অর্থহীন উপমার মত স্মৃতি-কল্পনা আশা-নিরাশা সুখ-দুঃখের খিচুড়ি পাকানো ভোতা অনুভূতিগুলির মাথার মধ্যে মাথাধরার মত টিপ, টিপ, করাটাই বাচিয়া থাকার একমাত্র অভিব্যক্তি, আজ তেমনি মনে হইতে লাগিল, মাধবীলতাও যে তার আপনি নয়, এই সত্যটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হইতে স্পষ্টতর হওয়াটাই তাকে আপন করিতে চাওয়ার একমাত্র সম্ভবপর পরিণতি। আটক থাকার সঙ্গে মাধবীলতা আপন নয়। ভাবার পার্থক্য অনেক, কিন্তু মন খারাপ হওয়াটা একরকম কেন, এই দার্শনিক সমস্যাটা মনে উদয় হওয়ায় বিভূতি একটু অন্যমনস্ক হইয়া গেল এবং সকল অবস্থার সুখদুঃখ একই রকম কিনা। এই কথাটা ভাবিতে আরম্ভ করায় আধা ঘণ্টার মধ্যে ঘটিয়া গেল স্মায়ৰিক বিপৰ্য্যায়। তখন, মৃদুস্বরে সে ডাকিল, “মাধু ? আজ অবসাদ কমিয়াছে, কারণ বিভূতির রকম সকম দেখিয়া অল্প অল্প ভয়ের উত্তেজনা আসিয়াছিল। ঘুম তাই একেৰায়েই আসে নাই। ঘুমের ভাণে মাধবীলতা এমন ভাবেই সাড়া দিল যে, পরমুহূৰ্ত্তে আকস্মিক আবেগে বিভূতি তাকে জড়াইয়া ধরিল। কিন্তু কি মৃদু আর সশঙ্ক সে আলিঙ্গন, পাজার যদি মাধবীলতার পাটখড়ির হইত। তবু ভাঙ্গিবার কোন उच्च छिच्ण ना । অনেকগুলি দিন কাটিয়া গেলে হয়তো আবার একদিন আশ্রমে যাওয়ার সাধটা মাধবীলতার অদম্য হইয়া উঠিত। কিন্তু কয়েকটা দিন কাটিবার আগেই একদিন মহেশ চৌধুৰী বলিল, “চল মা, একবার আশ্রম থেকে ঘুরে আসি।” . না গেলেও চলিত, খুব বেশী ইচ্ছাও ছিল না। যাওয়ার, তবু মাঘৰীলতা শ্বশুরের, সঙ্গে আশ্রমে বেড়াইতে গেল। তখন সকাল বেলার মাঝামাঝি, BDDDL DBB BDS BBDD DDD DBBBDBDBB উপদেশ শোনার চেয়ে এক বছর আশ্রমে পায়চারি করিলে প্ৰকৃতির প্রভাবেই মনের বেশী উন্নতি হয়। মহেশ চৌধুরীকে একটু চিন্তিত দেখাইতেছিল। চিন্তা মহেশ চৌধুরী চিরকালই করিয়া থাকে। কিন্তু বেশ বুঝা যায় যে এখন তার মুখের ছাপটা দুর্ভাবনার। কি হইয়াছে কে জানে । । গাছতলায় আশ্রমের সকলে সদানন্দকে ঘিরিয়া বসিয়াছে। প্ৰাচীন ভারতের তপোবনে শিষ্যবেষ্টিত ঋষির ছবি যার কল্পনায় আছে, দেখিলেই তার মনটা ব্যাকুল হইয়া উঠিবে। মহেশ চৌধুরী ভুরু কুঁচকাইয়া বিস্ময়ের সঙ্গে চাহিয়া থাকে। আর মৃত্যুর মধ্যে জীবনের কতখানি শেষ হইয়া যায় সকলকে তার হিসাব বুঝাইতে বুঝাইতে হাসিমুখে সদানন্দ মাথাটা হেলাইয়া তাকে অভ্যর্থনা জানায়। মাধবীলতা রত্নাবলীর কাছে গিয়া বসে আর সদানন্দের ইঙ্গিত উপেক্ষা করিয়া মহেশ চৌধুরী বসে সকলের পিছনে। কয়েক মিনিটের মধ্যে বেশ বুঝিতে পারা যায় একমনে সে সদানন্দের কথা শুনিতেছে, অসম্ভব কিছু সম্ভব হইতে দেখিবার বিস্ময়ের সঙ্গে। অন্য সকলের, পুরুষ ও নারীদের, বিস্ময় নাই। সকলে মুগ্ধ, উত্তেজিত। কথা শেষ করিয়া সদানন্দ হাসিমুখে উঠিয়া দাঁড়ায়, ধীরে ধীরে একা নদীর দিকে আগাইয়া যায়। যে মৃদু গুঞ্জনধ্বনি ক্ষণকালের স্তব্ধতার শেষে সুরু হয়, তার মধ্যে অনেকগুলি আত্মসমাপিত মনের সার্থকতার আনন্দ যেন রবীন্দ্ৰনাথের গানের সুরের মত প্ৰাঞ্জল মনে হয়। অন্ততঃ মহেশের যে মনে হয় তাতে সন্দেহ নাই, কারণ সে আরও বেশী থাতমত খাইয়া সদানন্দের গতিশীল মূৰ্ত্তির দিকে স্থা করিয়া তাকাইয়া থাকে। রত্নাবলীর সঙ্গে তার কুটীরে যাওয়ার আগে মাধবীলতা তাকে খবরটা দিতে আসিল, ফিরিবার D DLDLL DDB gO BDBDBB DD K DLLDE S মহেশ চৌধুৰী বলিল, “আমরা আজ এখানে থাকৰ মাধু।” “সারা দিন ? “সারা দিন তো বটেই, সারা রাতও থাকতে 에f I' बांषदौलठा (अरे पैड निकाहलम्र कांब्रों জানিবার চেষ্টা আরম্ভ করার আগেই মহেশ চৌধুৰী উঠিয়া চলিতে আরম্ভ করিয়া দিল। সদানন্দ তখন চোখের আড়ালে চলিয়া গিয়াছে। নদীর ধারে