পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অহিংসা পরিধি বাড়াইয়া চলা। দু'টি অংশের একত্ব আবিষ্কার করিয়া, দুটি আংশিক সমগ্ৰতাকে এক করিতে পারিলে জ্ঞানের পথে, চরম বা পরম সত্য আবিষ্কারের পথে, এক পা অগ্রসর হওয়া গেল। আজ পৰ্য্যন্ত কেউ বিশ্বের সমগ্রতাকে নিজের ব্যক্তিগত একটিমাত্ৰ সমগ্ৰতায় পরিণত করিতে পারিয়াছে কি না, ভবিষ্যতে কোনদিন পরিবে কি না, জানি না। তবে, সীমাবদ্ধ জ্ঞান মানুষকে এমনি ভাবে সংগ্ৰহ করিতে হয়, সঙ্কীর্ণ জীবনের তুচ্ছ সমস্যার বিচারও করিতে হয় এমনি ভাবে। তাছাড়া আর উপায় নাই। জন্ম হইতে সকলে আমরা করিয়াও আসিতেছি। তাই। শৈশবেও সমস্যার মীমাংসা করিয়াছি, আজও করিতেছি। তখন যেটুকু জ্ঞান আয়ত্তে ছিল কাজে লাগাইতাম, আজ যেটুকু জ্ঞান আয়তে আছে কাজে লাগাই। তখনকার জ্ঞান হয় তো ছিল মোটে কয়েকটি টুকরা জ্ঞানের যোগফল, আজকের জ্ঞান হয় তো অনেক বেশী টুকরার মিলিত পরিণাম, কিন্তু তখনও যেমন আর টুকরাগুলির জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে মাথা ঘামাইতাম না, আজও ঘামাই না। জলের সঙ্গে জল মেশার মত, আলোর সঙ্গে আলো মেশার মত, মিলিত আংশিক জ্ঞানের পার্থক্য ঘুচিয়া গিয়াছে। DBBD DDDS DDBB DBL BBD KK LBBDS সাময়িক ঘুক্তি বা সত্যোপলব্ধির সম্পত্তি দিয়া তার বিচার করে এবং সঙ্গে সঙ্গে তার জবাবও পায়। জবাব না মানা আর নিজের মনের সঙ্গে লড়াই করা আজ নিজের ভবিষ্যৎ পরিবর্জিত যুক্তি বা সত্যোপলব্ধির কাছে আপীলের ভরসা করা অবশ্য ভিন্ন কথা। তবে সাধারণ আপীলের ফলটাও হয় cठा भन भांनिcड 5ांग्र नi-coब शुखि बl cअंस সত্যের আদালত খুজিয়া মরিতে হয় । সীমাবদ্ধ সংক্ষিপ্ত জ্ঞানের জগতের সমগ্ৰতার আশীৰ্বাদ মানুষ ক্রমে ভুলিয়া যাইতেছে। সংশয়বাদের রোগ ধরিয়াছে মানুষকে ৷ প্ৰত্যেক প্রশ্নের বিচার করিতে আজ তাকে সেই প্রশ্নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের খোজ করিতে হয়। কে জানে এমন একদিন আসিবে কি না, যে দিন কেহ আমার এই উপন্যাসটি পড়িতে বসিয়া প্ৰথম লাইনটি পড়িয়া ভাবিতে আরম্ভ করিবে, লাইনটির যে অর্থ মনে আসিয়াছে তাই কি ঠিক, অথবা প্ৰত্যেকটি শব্দের আর প্রত্যেকটি অক্ষরের অর্থ বিশ্লেষণ করিয়া, ব্যাকরণের নিয়মকানুনগুলি ভাল করিয়া S) &0 ঘাটিয়া, শব্দতত্ত্ব সম্বন্ধে আর ভাষাতত্ত্ব সম্বন্ধে জ্ঞান অৰ্জন করিয়া লাইনটির মানে যাচাই করা উচিত ? ] * একটি দুপুর তো বিভূতির মাধবীলতার সঙ্গে অপরিসীম আনন্দে কাটিয়া গেল, কিন্তু রাত্ৰি ? পরের দিনের দুপুরটা ? তার পরের দিনরাত্রিগুলি ? দুপুরটা যেন ছিল মাতালের মাঝরাত্রির মত, শেষ হওয়ার সঙ্গে জীবনের আর কিছুই যেন রহিল না। তারপর কয়েকদিন ধরিয়া মাতলামির ক্ষুধায় ভিতরটা যেন জ্বলিয়া যাইতে লাগিল। কিন্তু স্নায়বিক বিকারের ভাটিখানায় বড় বেশী খামখেয়ালী 57 তাই আর কোন কারণ, কোন তুচ্ছতম নুতন ঘটনা, না ঘটিলেও মাধবীলতার উপর অবিশ্বাসে বিভূতির যেন প্ৰায় বিশ্বাস জন্মিয়া গেল। অনেক যুক্তিই মনে আসিতে লাগিল, তার মধ্যে সর্বপ্রধান, সে নিজে অতি অপদার্থ, আকর্ষণহীন, কুৎসিত পুরুষ। কেবল তাকে নিয়া খুলী থাকা মাধবীলতার পক্ষে কি সম্ভব ? হঠাৎ আবার একদিন বিভূতি জেরা আরম্ভ করে, “কই, সেদিন আশ্রমে গিয়েছিলে কেন, ठ८छ नव्व् ना ? মাধবীলতা ভয় পাইয়া বলে, “বললাম যে ?” “কই বললে ?” “ওই যে সেদিন বললাম।” ‘হু” বলিয়া বিভূতি চুপ করিয়া যায়। গভীর বিতৃষ্ণায় পিছন ফিরিয়া সে শুইয়া থাকে, মাধবীলতা মৃদুস্বরে ডাকিলে বলে বড় ঘুম পাইয়াছে। ঘুম কিন্তু আসে না, মনের অস্বস্তি দেহের একটা অপরিচিত যন্ত্রণার মত তাকে चांशईब्रा ब्रांत्थ। भान श्न, कि 5ांगज़ांद्र नौ5 সর্বাঙ্গে পেটের অম্বলের জালা যেন ছড়াইয়া গিয়াছে আর বাহিরের গুমোটে তাতিয়া উঠিয়াছে মাথাটা ৷ অথচ এমন আশ্চৰ্য্য ব্যাপার, শেষ রাত্রে ঘুমাইয়া পরদিন যখন অনেক বেলায় ঘুম ভাঙ্গে, মনের অবস্থাটা একেবারে বদলাইয়া গিয়াছে। পাশে যে অসতী স্ত্রী ছিল গতরাত্ৰে, অবিশ্বাসের সব কিছু বাড়িয়া ফেলিয়া আজি M3 GM CR Cst VivC Rito করিতে গিয়াছে। আগের রাত্রের ধারণা আজ বিভূতির নিছক ছেলেমানুষী মনে হয়। এমনি लूञ्छ श८न श्त्र कथंll cव, ७ दिक्षश्च ७थक ष्ठि করাটাও তার কাছে পরিশ্রমের অপচয়ের সামিল হইয়া দাঁড়ায়। দুঃস্বপ্ন দেখিয়া যেন বিচলিত