পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হলুদ পোড়া ፭ዓ নন্দয় কি সে উদারতা আছে ? কথাটা বলা তাহার কোন মতেই উচিত হয় নাই। नगल गठाई ७प'ब्रड नाई, गए कोलूट्रक शगिश cण জৰাব দেয়, ‘সত্যি কোন ক্ষতি নেই ? তবু যদি শেষ্যরাত্রে উঠলেও খাবার হাতে হাজির না হতে ' “আমি রোজ এমনি সময় উঠে।” 'ssi তো ! কে তা অস্বীকার করছে ? কেন ওঠ তাই নিয়ে প্রশ্ন ।” কথায় নন্দর সঙ্গে পারিবার যো নাই। সুমতি মুখ গোজ করিয়া বাহির হইয়া আসে । দুপুরে নন্দ খাইতে আসিলে সামনে বসিয়া খাওয়ায় না। রাত্রে এক ফাকে ঘরে খাবার ঢাকা দিয়া রাখিয়া আসে। ইদুরের কথাটা সে ভোলে না। ঢাকনির উপর একটা দশসেরি শিল চাপাইয়া দেয়। রান্নাঘর হইতে শিলটা নন্দন ঘরে বহিয়া নিয়া যাইতে তাহার যে রীতিমত কষ্ট হয় একথা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। চাকরকে বলিলে সে অবশ্য কাজটা করিয়া দিতে পারে, কিন্তু চাকরকে সুমতি বলে না । নন্দর সঙ্গে তাহার কলহ হইয়াছে, ইহার মধ্যে চাকরকে টানিতে তাহার ইচ্ছা হয় না। পরদিন সকালে খাবারের খবর নিতে গিয়া দ্যাখে অমান ভারি শিলট সরাইয়া ঢাকনি উল্টাইয়। ঘরময় খাবার ছড়াইয়া রাতারাতি ইদুরে কল্পনাতীত অত্যাচার করিয়া গিয়াছে। ঘরের মাঝখানে দাড়াইয়া চারিদিকে চাহিয়া সুমতি হাসিবে DD DBD DBB KBD DDD S SDB BBBBDD DBBDSS SDD করিয়া রাগের জবাব দিতে হয় আজও তা শেখে নাই। ঘরময় মিনতি লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছে,-আমায় প্রশ্ৰয় দিও করুণাময়ী ! অথচ এ যেন খাপ খায় না, এ হেন অর্থহীন । সুমতির চোখে সহসা জল আসিয়া পড়ে। ঘরের কোণে ওই রঙচটা তোরঙ্গ, দেয়ালের গায়ে পেরেকে ঝোলানো আধ ময়লা একটা পাঞ্জাবী, তক্তপোষে পুরাণে তোষকের বিছানা আর বালিশের পাশে ওই এক তাড়া মনিঅৰ্ডারের রসিদ-ছড়ানো খাবারগুলির সঙ্গে এই সবের সামঞ্জস্য নাই যে একেবারেই। সুমতির মনে হয় বজের মত কঠোর ফুলের মত কোমল এই লোকটি যে তাহার জীবনে পদাৰ্পণ করিয়াছে তার মধ্যে প্রচুর অমঙ্গলের সম্ভাবনা লুকানো আছে, ইহাকে তাহার ভয় করিয়া চলা উচিত। এ একদিন তাহাকে বিপন্ন করিবে । নন্দর প্রকৃতির গভীর দিকটার সঙ্গে সুমতির পরিচয় বেশী দিনের নয়। এক সপ্তাহও হয় নাই একদিন ভোরবেলা খাবারের বাটি ও জলের গ্লাসটা টেবিলের উপর ঠিক করিয়া নামাইয়া দিয়া সে বাহির হইয়া যাইতেছিল, ফস করিয়া সুইচ, টিপিয়া aе чоl afери || সুমতি চমকাইয়া বলিল, “ইস। এ আবার কি ?” “একটা কথা আছে সুমতি । আলো না জালালে তো তুমি দাড়াৰে না। অথচ একটা ভয়ানক দরকারী কথা cठांगicक यथन का दलालछे नम्र।' এ ভূমিকা সুমতি চিনিত । নন্দর বক্তব্য অনুমান করিতে তাহার বিলম্ব হইল না। সে বলিল, “পাঁচটা টাকা চাই, এই ত কথা ?” নন্দ অবাক হইয়া বলিল, “কি করে জানলে ?” যেন জানাটা সুমতির পক্ষে আশ্চৰ্য্য ব্যাপার। নন্দর যে দুটিার বেশী জামা নাই, ক্ৰমাগত তালি লাগাইয়া এক জোড়া জুতাই সে যে আজ এক বৎসর ব্যবহার করিতেছে, মাসের দশ দিন না। কাটিতে জলখাবারের কটা পয়সাও যে তাহার হাতে থাকে না, এসব যেন সুমতির অজানা । করেই জানি, টাকা চাই কি না বলুন !” '5 “দিচ্ছি। এনে। কিন্তু মাইনের টাকাগুলো কি করলেন ?” নন্দর চোখ দুটি সহসা স্তিমিত হইয়া গেল।-“দুৱা খেলেছি।” “যাট টাকা জুয়া খেললেন ?” 'না, পঞ্চাশ । দশ টাকা। একজন ধার নিয়েছে।” সুমতি গম্ভীর হইয়া বলিল “শেষটা সত্যি হতে পায়ে, ७४९शb। थ िविशT।' "মিথ্যা নয়। রূপক ।” ‘রূপক না ছাই ৷’’ বলিয়া সুমতি বালিশের তলা হইতে মনিঅৰ্ডারের রসিদের তাড়াটা টানিয়া বাহির করিল । বলিল, ‘কেদার মুকুয্যেকে আপনি প্ৰত্যেক মাসে পঞ্চাশ টাকা পাঠান। মুখুয্যেটি কে ?” নন্দ সংক্ষেপে জবাব দিলে, “ভগ্নীপতি ।” “আমিও ওই রকম একটা কিছু অনুমান করেছিলাম। কিন্তু এ তো ভারী আশ্চৰ্য্য ব্যাপার | সীতা থাকে আপনার কাকার কাছে, মাসে মাসে মাইনের সব টাকাগুলি আপনি পাঠিয়ে দেন ভগ্নীপতিকে । পণের টাকা শোধ হচ্ছে নাকি ? শোধ না হলে সীতা স্বামীর ঘর করতে পাবে না ?” “না। সীতাকে যে স্বামীর ঘর করতে হয় না ও তার দাম সুমতি । ইহার পর নন্দ সব কথা খোলসা করিয়াই বলিয়াছিল। কেদার মুখুষ্যে ছিল নন্দর পিতৃৰন্ধু-নেশার বন্ধু ;-মদের। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর নন্দর বাবার মাথাটাও ৰোধ হয় একটু । খারাপ হইয়া গিয়াছিল। আর কোন ৰোগাযোগ ঘটিয়াছিল क्रिन ५श्न यां छॉनिबांद्र नांदे, खांनिग्रा गांड७ नाहे । কেদারের সঙ্গে হঠাৎ একদিন সীতার বিবাহ হইয়া গেল। নন্দ কিছুই জানিত না। যে রাত্রে সীতার বিবাহ হয় সে রাত্রে কয়েকটি বন্ধুর সঙ্গে সে মহানন্দে থিয়েটার দেখিতেছে। ‘জানো জন্মতি, ওদিকে সীতাহরণ হচ্ছে, অন্ম আৰি