পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S& vgve Vitse tys krfi vt. kivi sissa 3 | কথা ৰচিলতে গিয়া তাহার মুখ দিয়া কথা বাহির হয় না। আত্মীয় পরিজন সকলের মুখে অল্পবিস্তর চিন্তার লক্ষণ দেখা দেয়, বয়স্কের মাঝে মাঝে গম্ভীয়ভাবে নানারকম পরামর্শ করেন, মন্থরগতিতে আগামী ঘটনার জন্য প্ৰস্তুত হওয়ার Vigo 5sCVS Nf3F | বিকাশের বিধবা মা, মা কালীর কাছে মানত করেন, তালয় ভালয় একটি খোকা দিও মা, খোকা দিও। জোড়া পাঠা দিয়ে পুজো দেব। কোথা হইতে গোটা তিনেক মাদুলি সংগ্ৰহ করিয়া পুত্ৰবধুর বাহুতে বাধিয়া দিয়াছেন, কিন্তু শুধু কি মাদুলির উপর নির্ভর করিয়া থাকা যায় ? মা কালীর ঘাড়েও দায়িত্ব চাপাইয়া তিনি স্বন্তি খোজেন। কি জানি কি হইবে ? একবার তালয় ভালয় হইয়া গেলে পরের বার অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা চলে। প্ৰথমবারই सख् उम्न । আপিসের কাজে বিকাশের মন বসে না, চলিতে ৰায় বার কলম থামিয়া যায়, সময় যেন ভ্ৰণভারিবাহী মন্থর-গমন অলস বধু। বাহিরে কোনদিন রোদ ওঠে কোনদিন মেঘের ছায়া পড়ে কোনদিন অবিশ্রাম ধারাপাত হয় । ফ্যানের বাতাসে কাগজপত্র মৃদু শব্দ করিয়া নড়িতে থাকে, চোখ বুজিলে মনে হয় কোরা ত’তের সাড়ী পড়িয়া সুলতা কাছে আসিয়া দাড়াইয়াছে। সুলতার নিকট হইতে কয়েক ঘণ্টার জন্য দূরে থাকাটাও বিকাশের কাছে আজকাল অভিনব হইয়া উঠিয়াছে। DgBBD DLK BDBBBK KKD D TgBK tDDDBDB BODDD করিতে পারে, মমতার এমন সল ও ভূতপূর্ব অনুভূতির সন্ধান সে পায় যে তাহার মনে হয় শুধু সুলতার নয় নিজেরও অনেক আশ্চৰ্য্য গোপন পরিচয় ধরা পড়িতেছে। এ অমৃত ষে একদিন ভালবাসার ভিত্তিগত দৈহিক প্রয়োজনেই সীমাবদ্ধ ছিল বিকাশ আর তাহা বিশ্বাস করে না। তাহার মনে হয় বহুকাল ধরিয়া সে শুচি শুদ্ধ তপস্যা করিয়াছিল এতদিনে সিদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়াছে। মানুষেয় প্ৰতি মানুষের যুগ ধৰ্ম্মের প্রতি বিকাশের কৃতজ্ঞতার সীমা থাকে না। স্ত্রীকে সে আজ সত্যই শ্রদ্ধা করে। সুলতার মনে হয় সে বেন নেশা করিয়াছে। আনন্দোয় নেশ আতঙ্কের নেশা প্ৰাণধারণের নেশা । স্বামীর অতিরিক্ত ভালবাসার কথা একান্তে ৰসিয়া ভাবিতে গেলে কোথায় বেনও। তাহার একটু বাধিত, মনে হইত। ইহাকে প্ৰাপ্য মনে করা অনুচিত, এত বেশী করিয়া পাওয়া অন্যায়। আজ আর পাওনার কাছে দাবীকে ছোট মনে হয় না। নিজের মূল্য নিজের কাছেই মুলতার আজ অসম্ভৰ ৰাড়িয়া গিয়াছে। দুপুৱােটা ঘরে বসিয়া কঁথা সেলাই করিতে করিতে मानिक-dहाबली অলসভাবে দেয়ালে ঠেলি দিয়া সুলতা চোখ বোজে। এই ঘরে সে তিন বছর ধরিয়া বাস করিতেছে, তিন বছরের ইতিহাসে এ ঘর যেন ঠাসা, বাতাসে যেন পুরানো মাটির গন্ধ। এই ঘরে তার প্রথম স্বামী-স্পর্শ জুটিয়াছিল। সেদিনের বুক দুরু-দুরু পুলক আবার ফিরি, আসিয়াছে। আকাশের অশ্র-ছাকা সুৰ্য্যালোক যেমন আকাশের গায়েই রামধনু আঁকিয়া দেয়, আত্মীয়-বিচ্ছেদ-বেদনায় পরমাত্মীয়দের সোহাগ মনে সেদিন তেমনি রঙ মিশাইয়াছিল ; ভ্ৰণস্পন্দনে৷ ” যেন তাহারই চঞ্চল চেতন । তারপর একদিন দুপুরে খাইতে gBBBiK D SDDBS SD DD পাংশুমুখে হাত গুটিাইয়া বসিয়া রহিল । মৃন্ময়ী বলিল ‘ওকি বৌ ? খাও ? ভারি মাসে আবার কিসের অরুচি ৷” স্নেহলেশ-শূন্য কণ্ঠ। এবং তাঁহাতে বিস্ময়ের কিছু নাই ! আর হৃদয়ে স্নেহ নাই, মমতা নাই, ঘুমানো আগ্নেয়গিরির মত তার বুকভরা শুধু জ্বালা । স্বামী তাছাকে নেয় না, এই সেদিন পাঁচ বছরের ছেলেটা মরিয়াছে। সহের অতিরিক্ত বলিয়া তাহার শোক আজি আর বেদনার ব্যাপার নয়-মনের বিকার, হৃদয়ের রূক্ষতা । সুলতা বলিল “আমার গা কেমন করছে। ঠাকুরবিবডড খারাপ লাগছে ? ‘বলো কি বৌ’ বলিয়া মৃন্ময়ীর যেন বিস্ময়ের সীমা রহিল। না। ক্ষণকাল একাগ্র দৃষ্টিতে সে ভ্রাতৃবধুর মুখখানি নিরীক্ষণ করিল। - কতকাল পরে তাহার শুষ্ক চোখ দুটি আজ আবার জলে ভরিয়া উঠিতে চায়। মুখ ফিরাইয়া নিয়া হঠাৎ অনাবশ্যক শব্দ সহকারে মৃন্ময়ী হাৰুিল ‘ওমা ! মা ! শুনিছ ? বৌ এর শরীর কেমন कद्भ८छ् q८५ & ।।' মা পূজায় বসিয়াছিলেন, তাড়াতাড়ি একটা প্ৰণাম সারিয়া উঠিয়া আসিলেন। বলিলেন ‘কি বৌমা, কি ? কি ब्रकम 6वां कद्धछ ?' কি রকম যে বোধ করিতেছে। সুলতা নিজেই তাহা বোঝে না, শাশুড়ীকে বলিবে কি। দেহের প্রত্যেকটি অণু ৰেন আপনাকে কেন্দ্ৰ করিয়া পাক খাইতে আরম্ভ করিয়াছে, মাথাটা এমন ভারি যে মাটিতে না নামাইলে খসিয়াই পড়িবে ৰোধ হয়, অজস্র এলোমেলো চিত্বা জড়া জড়ি করিয়া মনের মধ্যে আস যাওয়া সুরু করিয়াছে । সে করুণস্বরে বলিল, “কেমন যেন লাগছে মা অস্থির অস্থির করছে।” মা চিৰ্তিত মুখে বলিলেন, “কি জানি, এখনো কিছু বলা যায় না। ঘরে গিয়ে তুমি বরং শুয়েই থাক বোমা, খেয়ে আর কাজ নেই। ব্যথা ট্যথা টের পাওয়া মাত্র আমায় কিন্তু বসিয়া সুলতা করিল, শেষে