পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፵ ሚሻ Cማ† ♥] হইৰে, ছেলের বৌ বাচিবে কি মরিাৰে ঠিক নাই, স্বাশুড়ী BM S DDDS DE YY STB DBBBDBDS D BDB তারই স্বামী মাথায় ঘাম পায়ে ফেলিয়া রোজগার করে। প্ৰথমেই পাওনা নিয়ে গোল বাধিলে দাই কি আর মন দিয়া নিজের কৰ্ত্তব্য করিবে ? আর্থিক ক্ষতির প্ৰতিশোধটা দাই যদি তার উপরেই নেয় ? সুলতার মনে হইল, পরমাত্মীয়ের মৃত্যুকালে এ যেন জীবনের মূল্য নিয়া ধন্বন্তরির সঙ্গে দর কষাকষি করা !! মনে মনে সে স্থির করিয়া ফেলিল, দাইকে এক সময় চুপি চুপি জানাইয়া দিবে, টাকার ব্যাপারে তাহার কোন দোষ নাই। দাই যত টাকা চায় সুলতা গোপনে তাহার হাতে দিবে, সে যেন তাহার সমস্ত কলাকৌশল প্ৰয়োগ করিতে কৃপণতা না করে, এবারের মত সে যেন তাহাকে বঁাচাইয়া দেয়। ভবিষ্যতে মা আর মরিয়া গেলেও হইবে না। বয়স্কোপ নয়, বিকাশ পোলা দেখিতে গিয়াছিল, বাড়ী ফিরিতে তাহার সাতটা বাজিযা গেল । কাল ও যে খেলা দেখিযা এমনি সময়ে সে বাড়ী ফিরিয়াছিল। সে কথা বিকাশের মনে পড়িল না, বিশেষ করিয়া আজকার দিনটিতে দেৱী করার জন্য মনে মনে সে ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল। বিরক্তি গোপন করিবার কোন চেষ্টাই সে করিল না । “আমায় একটা খবর পাঠাতে পারলে না কেউ ? কি ८। जब लन्दश्। cडशिांनद्ध।” মা বলিলেন “খবর পাঠাবার যখন দরকার হ’ল বাবা, তোর ছুটির সময় হয়েছে। কোথায় তোকে খুঁজে বেড়াত ? বিকাশ যেন এই কৈফিয়ৎ চাহিয়ালি ! মা আবার বলিলেন “এই তো গেল আঁতুড়ে, এখনো কিছুই নয়।’ বিকাশ জামা কাপড় ছাডিল না, বিরস মুখে জলচৌকীতে বসিয়া রহিল। এখানে কিছুই নয় সত্য, কিন্তু তাহার দুঃখ অন্য কারণে। সুলতার সঙ্গে একটা কথা বলিবার সুযোগও তাহার হইল না। এমন ক্ষতি এ জীবনে আর সম্ভব নয়। ও ঘরে ঢুকিবার আগে তাঙ্গার নিকট হইতে শেষ সান্তুনা সংগ্ৰহ করিয়া নিবার কি অধীর ভাবেঃ না জানি সুলতা প্ৰতীক্ষা করিয়াছিল ! তাহাকে এতখানি প্রয়োজন আর কোনদিন একটি সংক্ষিপ্ত মুহূৰ্ত্তের জন্যও কি সুলতার হইবে ? সুলতার নির্ভরশীলতার চরম অভিব্যক্তি অগোচরে ব্যর্থ হইয়া গেল ভাবিয়া বিকাশের ক্ষোভের সীমা রহিল না। ও ঘর হইতে সুলতা বাছির হইবে সম্পূর্ণ নূতন হইয়া, তানের জননী এই পরিচয়ের কাছে তাহার প্ৰিয়া ও পত্নী LSLS DB DDD DBDBS BDBS BD DBBB DS BD ই মহেন্দ্ৰক্ষণ সদিকট হইলে প্রিয়ার বিবৰ্ণ কপোলে যে AG: ক্ষুদ্র একটি চুম্বন দেওয়া হয় নাই সে আপশোষ এ জীবনে আর ঘুচিবে না। সুধাকে ঈঙ্গিতে কাছে ডাকিয়া বিকাশ বলিল 'বৌদিকে বলগে আমি এসেছি।” সুধা আঁতুড় ঘরে ঢুকিল এবং ফিরিয়া আসিফা বললি 'বৌদি জানে।” জানে। কেমন করিয়া জানিল ? সে জোরে কথা বলে নাই, শব্দ করিয়া হঁটে নাই, তবু খবর পৌছিল ? বিকাশ চাহিয়া দেখিল ঘরে কি আলো জ্বালা হইয়াছে জানালাটা পৰ্য্যন্ত তাল করিয়া আলো হয় নাই। আলোর কার্পণ্যে তাহার রাগ হইয়া গেল। সে ভাবিল, আর আধঘটার মধ্যে ও ঘর যদিই তারা ভাল ভাবে আলোকিত না করে সে নিজে ডে লাইট ভাড়া করিয়া আনিবে । “তেরে কে আছে রে সুধা ?” “মা ও বাড়ীর পিসীমা আর দাই ।” "fly "দিদির শরীর ভাল নয়, শুয়েছে।” বিকাশের বুকের মধ্যে ছ্যাৎ করিখ । উঠিল। এ সংবাদ শুভ নয়। মৃন্ময়ীকে সে ভালবাসে, তাহার জীবন সবদিক দিয়া ব্যর্থ হইবাব পর করুণার রসে সে মমতা বাড়িষাই গিযাছিল। সুলতার সন্তান-সম্ভাবনার কথা প্ৰকাশ পাইবার পর তাহার মধ্যে যে ভাবান্তর দেখা দিয়াছিল অন্ত কাহারো কাছে ধরা না পড়িলেও তাহা বিকাশের চোখ এড়ায় নাই। আজি হঠাৎ মৃন্ময়ীর শরীর খারাপ হওয়ায় সবটুকু ইতিহাস অনুমান করিয়া। তাছার মন খারাপ হইয়া গেল। সুলতার শুভাকর বিপদে একি অমঙ্গলের ছায়াপাত ! জুতা খুলিয়া বিকাশ বারান্দার একপাশে রাখিয়া দিল। জামা খুলিয়া কলতলায় মুখহাত ধুইয়া আবার জলচোকীটাতেই বসিল । তাহার ভয়ানক ক্ষুধা পাইয়াছে। তামাকের তৃষ্ণাও যেন ক্ষুধার মতই অবুঝ। আপিস যাওয়ার সময় সুলতাকে সে নারকেল কোরাইতে দেখিয়া গিয়াছিল। তিক্তি টক্তি কিছু করিতে পারিয়াছিল কিনা কে জানে। করিয়া থাকিলেও চাহিয়া খাইতে বিকাশের ইচ্ছা হইল না। ক্ষুধার জ্বালা সীমান্য, সুলতা অনুমন কষ্ট পাইতেছে সামান্য ক্ষুধার জন্য সে ব্যস্ত হইবে ? সুলতার যন্ত্রণা তাহার খাওয়া না খাওয়ার উপর নির্ভর করে না, খাওয়ার স্বপক্ষে এ ছাড়া আর কি মুক্তিই বা আছে। রান্নার ভারটা এবেলা সুধার উপরেই পড়িয়াছিল। মুখ তাছার গম্ভীর ও চিন্তা-ভারাক্রান্ত । একটা বাটিতে মুড়ি আর কয়েকটা নারকেল সন্দেশ আনিয়া সে দাদার হাতে দিল, তামাক ও সাজিয়া আনিল । তার পর অন্তরঙ্গ বান্ধবীর মত চাপা গলায় জিজ্ঞাসা করিল 'বৌদিকে একবার দেখবে দাদা ? সারাক্ষণ তোমায় খুজছিল।” বলিতে বলিতে দাদার প্রতি উচ্ছসিত মমতায় কটি CC3b3 c5 e vf ou -