পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতু ফো ৭ थ्रांवणें । ब्रांचङ्गमांtद्र cक्षांन गप्नश्रे श्लि नl cवcग अबक ভুল করিয়াছে। এখন তার আতঙ্ক জন্মিয়া গেল যে ভুলগুলি নিশ্চয় সাধারণ তুচ্ছ ভুল নয়, শুমল চোখে আঙ্গুল দিয়া ভুলগুলি দেখাইয়া দিলে তার আর মাথা উচু করিয়া বসিয়া থাকিবার উপায় থাকিবে না। সাংঘাতিক হাস্যকর ভুল না হইলে শ্যামল কি সাহস করিয়া মুখ খুলিতে পারিত ? না জানি কি ভাবিবে। সকলে, মনে মনে কত হাসিবে, তার জ্ঞান বুদ্ধি অভিজ্ঞতার খোলসটা যখন শ্যামল ছিড়িয়া ফেলিতে থাকিবে । রাজকুমারের সর্বাঙ্গ ঘামিয়া গেল। এতদিন সে জানিত, তার সম্বন্ধে মানুষ কি ধারণা পোষণ করে সে বিষয়ে তার কিছুমাত্র মাথাব্যথা নাই, এই সমস্ত অল্পবৃদ্ধি অগভীর নরনারীর মতামতকে সে গ্ৰাহও করে না । এক মুহুৰ্ত্ত আগেও সে নিজের কাছে স্বীকার করিত না বক্তৃতা না জমিলে মন তার খারাপ হইয়া যাইবে । এখন শ্যামলের উদ্যত আঘাতে নিজের বাহাদুরীর প্ৰাসাদ ভাঙ্গিয়া পড়ার উপক্ৰম করিয়াছে দেখিয়া সে বুঝিতে পারিল, লোকে তাকে কি ভাবে তা কত দামী তার নিজের কাছে । অবজ্ঞারি ভয়ে মরণ কামনা করার মত দামী সকলের তাকে বাহাদুর মনে করা । রাজকুমারের অপরিচিত একটি মেয়ে উঠিয়া দা ইয়াছিল, দেখিলেই বুঝা যায়। সে খাটি মাদ্রাজী মেয়ে। আর দশজন মেয়ের মধ্যে বসিয়াছিল বলিয়া এতক্ষণ সে রাজকুমারের নজরে পড়ে নাই, আসরে খাটি একজন মাদ্রাজী মেয়ে উপস্থিত আছে জানিলে রাজকুমারের বক্তৃতাটা আজ কি রকম দাড়াইত Ç ८न ! মেয়েট বলিল, রাজকুমারবাবু নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বলেছেন। ভুল দেখিয়ে দেবার প্রশ্ন ওঠে কি ? এটা ডিবেটিং সোসাইটির মিটিং নয়। আশা করি ? সকলে মুখ চাওয়া-চাওয়ি করিতে লাগিল। ঠিক তো, রাজকুমার যাই বলিখা থাক, তার বক্তৃতায় সমালোচনা করিবার কি অধিকার শ্যামলের আছে ? স্যর কে, এল হাসিমুখে বলিন্সেন, শ্যামল রাজকুমারের ভুল দেখিয়ে দিচ্ছে না, আমাদের যাতে ভুল ধারণা জন্মায়। সেজন্য নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলছে । কি বল শ্যামল ? KDKS BBLDB BDDBS BDD DS S SBBD DDD রাজকুমারবাবু বিশ্বের নারীজাতির বিস্ময়কর মিলের কথা বলেছেন। পৃথিবীর যে কোন একটি দেশের পুরুষের সঙ্গে অন্য যে কোন একটি দেশের পুরুষের যতটা পার্থক্য দেখা যায়, দুটি দেশের মেয়েদের পার্থক্য নাকি তার চেয়ে অনেক কম। কথাটা কি ঠিক ? আমাদের দেশের পুরুষরা যখন বিলাতী পুরুষদের সাজপোষাক চালচলন অনুকরণ কয়ে তখন অতটা Rito cret , fos cac{3 \scC3QC33 -3 করলে সেটা উদ্ভট আর হাস্যকর হয়ে দাড়ায়। ভারতীয় পুরুষ সহজেই সাজপোষাক চালচলনে তো বটেই, প্ৰকৃতিতে ನಿ S86 পৰ্য্যন্ত সায়েব হতে পারে, কিন্তু ভারতীয় মেয়েরা কোনদিন মেমসায়েব হতে পারে না। রাজকুমারবাবু যে বিশ্বের নারীজাতির কথা বলেছিলেন তার কারণ বিশ্ব শব্দের একটা মোহ আছে, প্ৰথমে সকলে বিশ্বের কথাটা মনে পড়িয়ে দিলে সকলের মন উদার হয়ে যায়, বাজে কথাও সকলে বড় বড় BBB sDBS DBB S SDgS SsDS Y DD D S झांत्रिकूबांद्रबांबू गांझांद्यौ cभcबठेि चांदांद्र ऐठिंबा नैफुद्देश्या জানাইল, এটা কি ব্যক্তিগত আক্রমণ হচ্ছে না ? স্যর কে, এল হাসিমুখেই সায় দিয়া বলিলেন খানিকটা হচ্ছে বৈকি ! শ্যামল জোর দিয়া বলিল, না না, ব্যক্তিগত আক্রমণ হবে কেন, রাজকুমারবাবুর সঙ্গে তো আমার শত্রুতা নেই। আমি বলছিলাম, মাদ্রাজের নারীদের অবস্থা সম্বন্ধে রাজকুমায়বাবুর ধারণা খুব স্পষ্ট নয়, তিনি তাই বিশ্বের নারীজাতির কথা তুলেছিলেন, সমগ্ৰতার অস্পষ্টতায় যাতে খুঁটিনাটির অভাবটা চাপা পড়ে যায়। মাদ্রাজের নারীরাও বিশ্বের নারীজাতীয় অন্তর্গত বৈ কি । মাদ্রাজের নারীদের সম্বন্ধে রাজকুমারবাবু যে সব কথা বলেছেন তার অধিকাংশ বিশ্বের যে কোন দেশের নারীজাতির সম্বন্ধে বলা যায়। মাদ্রাজী মেয়েদের একটিমাত্র বৈশিষ্ট্যের কথা রাজকুমারবাবু স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, যুগোপযোপী সংস্কারকে অত্যন্ত সহজে গ্ৰহণ করবার অশিক্ষিত পটুতা তাদের নাকি বিস্ময়কর। স্কুল কলেজের শিক্ষার হিসাবে তারা নাকি ভারতের অন্যান্য প্ৰদেশ, বিশেষ করে বাংলার তুলনায় অনেক পিছনে পড়ে আছেন, কিন্তু জীবন-যাত্রাকে নতুন ছাঁচে ঢালবার চেষ্টায় সব প্রদেশকে হার মানিয়েছেন। এ ধারণা রাজকুমার বাবু যে কোথায় পেলেন কল্পনা করা কঠিন। মাদ্রাজের মেয়েরা তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে বিশেষ কোন সংস্কারের আমদানী করেছেন, অথবা ও বিষণে তাদের উল্লেখযোগ্য উৎসাহ দেখা গিয়েছে २ळ cउl भरन श्ब नl । नडून यांन! c5रिश् व्णांशी चांद्र সেই আলোয় নতুন দৃষ্টিতে জীবনকে যাচাই করার অসুবিধা ও সুযোগের অভাব অন্য সব প্রদেশের মত মাদ্রাজের 6भC02७ केि छूभांप्य कभ नभ । রাজকুমার চুপ করিয়া শুনিতেছিল এবং ভাবিতেছিল, এইবার সে উঠিয়া দাড়াইল। সব সময় তার মুখে যে মৃদু। একটু বিবর্ণিতার ছাপ থাকে, রাগে এখন তাহা মুছিয়া গিয়াছে। তবু সে শান্ত কণ্ঠেই বলিল, আমার কথা তুমি ঠিক বুঝতে পারনি শু্যামল । আমি বলেছি অন্য প্রদেশের চেয়ে মাদ্রাজে মেয়ের পরিবর্তনকে গ্ৰহণ করছে একটু ব্যাপকভাবে, সামান্য হলেও তার ব্যাপ্তি আছে। বাংলায় মেয়েদের খুব সামান্য একটা অংশ অনেক এগিয়ে গেছে, তাদের সংখ্যা এত কম যে ধৰ্ত্তব্যের মধ্যেঈ বলা চলে না। বাকী সকলে অর্থাৎ বাংলা দেশের মেয়ে বলতে যাদের বুঝায়। তায় পড়ে আছে প্ৰতিবাদ