পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

уNe भांनिक-ajहांदली ওদের মধ্যে বকুলের স্বাস্থ্যই আশ্চৰ্য রকমে ভাল। জন্মিয়া অবধি একদিনের জন্য সে অসুখে ভোগে নাই, মোটা মোটা হাত পা, ফোলা ফোলা গাল-দুরস্তের একশেষ । শ্যামা তাহার মাথার চুলগুলি বাবরি করিয়া দিয়াছে। খাটো জাঙ্গিযা-পরা মেয়েটি যখন একমুহূত স্থির হইয়া দাড়াইয়া বাঁকুড়া চুলের ফাক দিয়া মিটমিট করিয়া তাকায়, দেখিলে চোখ জুড়াইয়া যায়। বুকুর রঙও হইয়াছে বেশ মজা। রৌদ্রোজ্জল প্ৰভাতে তাহার মুখখানা জ্বলজ্বল করে, ধূসর সন্ধ্যায় স্তিমিত হইয়া আসে-সারাদিনের বিনিদ্র দুরন্তপনার পর নিদ্রাতুর চোখ দুটির সঙ্গে বেশ মানায়। কিন্তু দেখিবার কেহ থাকে না । শ্যাম রান্না করে, শামার কোল জুড়িয়া থাকে ছোট খোকামণি । বুকু পিছন হইতে মার পিঠে বুকের ভর দিয়া দাড়াইয়া থাকে। মার কাধের উপর দিয়া ডিবারির শিখাটির দিকে চাহিয়া থাকিতে থাকিতে তাহার চোখ বুজিয়া श्श । শ্যামা পিছনে হাত চালাইয়া তাহাকে ধরিয়া রাখিয়া एठांकि, 6शांक अ cशांक ! বিধান আসিলে বলে, ভাইকে কোলে নিয়ে বোসে তো বাবা, বুকুকে শুইয়ে দিয়ে আসি। বিধানের হাতে খড়ি হইয়া গিয়াছে, এখন সে প্ৰথমভাগের পাঠক ! ছেলেবালা হইতে লিভার খারাপ হইয়া শরীরটা তাহার শীর্ণ হইয়া গিয়াছে, মাঝে মাঝে অসুখে ভোগে । মুখখানি অপরিপুষ্ট ফুলের মত কোমল। শরীর ভাল না। হোক, ছেলেটার মাথা হইয়াছে খুব সাফ। বুলি ফুটিবার পর হইতেই প্রশ্নে গ্রশ্নে সকলকে সে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিয়াছে, জগতের দিকে চােখ মেলিয়া চাহিয়া তাহার শিশু-চিত্তে যে সহস্র প্রশ্নের সৃষ্টি হয়, প্ৰত্যেকটির জবাব পাওয়া চাই। মনোজগতে সে দুর্জেয় রহস্য থাকিতে দিবে না, তাহার জিজ্ঞাসার তাই সীমা নাই। সবজান্ত হইবার জন্য তাহার এই ব্যাকুল প্ৰয়াসে সবজান্তারা কখনো হাসে, কখনো বিরক্ত হয়। বিরক্ত বেশি হয় শীতল, বিধানের গোটা দশেক কেনর জবাব দিয়া পরবর্তী পুনরাবৃত্তিতে সে ধমক লাগায়। শ্যামার ধৈৰ্য অনেকক্ষণ বজায় থাকে। অনেক সময় হাতের কাজ করিতে করিতে যা মনে আসে জবাব দিয়া যায়, সব সময় খেয়ালও থাকে না, কি বলিতেছে। বিধানের চিন্তাজগত মিথ্যায় ভরিয়া ওঠে, মনে তাহার বহু অসত্যের ছাপ লাগে। দিনের মধ্যে এমন কতগুলি প্রহর আছে, শুষ্ঠামাকে যখন যাচিয়া ছেলের মুণে মুখরতা আনিতে হয়। বিধান মাঝে মাঝে গভীর হইয়া থাকে। গম্ভীর অন্যমনস্কতায় ডুবিয়া গিয়া সে স্থির হইয়া বসিয়া থাকে, চোখ দুটি উদাসীন হইয়া যায় ; প্রিংএর মোটরটি পাশে পড়িয়া থাকে, ছবির বইটির পাতা বাতাসে উন্টাইয়া যায়, সে চাহিয়া দেখে না। ছেলের মুখ দেখিয়া খামার বুকের মধ্যে কেমন করিয়া ওঠে। যেন ঘুমন্ত ছেলেকে ডাকিয়া তুলিতেছে এলূর সে ডাকে, খোকা, এই খোকা । আয় তো আমার কাছে। করছি । বিধান কাছেও আসে, জামাও দ্যাখে। কিন্তু তাহার কোন রকম উৎসাহ দেখা যায় না। শ্যাম উদ্বিগ্ন হইয়া বলে, কি ভাবছিস রে তুই ? কার কথা ভাবছিস ? किष्क, उादछि ना 6ङा ! মোটরটা চালা না খোকা, মণি কেমন হাসবে দেখিস। বিধান মোটরে চাবি দিয়া , ছাড়িয়া দেয়। মোটরটা চক্রাকারে ঘুরিয়া ওদিকের দেয়ালে ঠোকর খায়। শু্যামা নিজেই উচ্ছসিত হইয়া বলে, যা, তোর মোটরের কলিশন হয়ে গেল । বিধান বসিয়া থাকে, খেলনাটিকে উঠাইয়া আনিবার সম্পূহ তাহার দেখা যায় না। সেলাই বন্ধ করিয়া শ্যামা ছুচটি কাপড়ে বিধাইয়া রাখে। বিধানের হঠাৎ এমন মনমরা হইয়া যাওয়ার কোন কারণই সে খুজিয়া পায় না। বুড়ো মানুষের মত একি উদাস গাম্ভীৰ্য অতটুকু ছেলের ? খিদে পেয়েছে তোর ? বিধান মাথা নাড়ে। তবে তোর ঘুম পেয়েছে খোকা । আয় আমরা শুই । ঘুম পায় নি তো ! ওরে দুৰ্ত্তেয়, তবে তোর হইয়াছে কি ! তবে চল, ছাদ থেকে কাপড় তুলে আনি। সিড়িতে ছাদে শ্যামা অনর্গল কথা বলে। বিধানের জীবনে যত কিছু কামা আছে, জ্ঞানপিপাসার যত কিছু বিষয়বস্তু আছে, সব সে তাহার মনে পড়াইয়া দিতে চায়। ছেলের এই সাময়িক ও মানসিক সন্ন্যাসে শচীমাতার মতই তাহার ব্যাকুলতা জাগে। কাপড় তুলিয়া কুচাইয়া সে বিধানের হাতে দেয়। বিধান কাপড়গুলি নিজের দুই কঁধে জমা করে। কাপড় তোলা শেষ হইলে শ্যামা আলিসায় vsta (Si3 vCy Coo urja • ভর দিয়া রাস্তুর দিকে চাহিয়া বলে, কুল্লিবরফ খাবি খোকা ? এমনি ভাবে কথা দিয়া পূজা করিয়া, কুল্পিবরফ ঘুষ দিয়া শুষ্ঠামা ছেলের নীরবতা ভঙ্গ করে। বিধান জিজ্ঞাসা করে, কুল্পিবরফ কি করে তৈরি করে মা ? শুষ্ঠামা বলে, হাতল ঘোরায় দেখিস নি ? বরফ বেটে চিনি মিশিয়ে ওর ওই যন্ত্রটার মধ্যে রেখে হাতল ঘোরায়, তাইতে কুল্পিবরফ হয়। চিনি তো সাদা, রঙ কি করে হয় ? একটু রঙ মিশিয়ে দেয় । কি রঙ দেয় মা ? আলতার রঙ ? দূর | আলতার রঙ বুঝি খেতে আছে ? অন্য রঙ দেয়। कि अ७ ?