পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 90 সবাই জানে। কি আস্পদ লোকটার, এমনভাবে তার সঙ্গে কথা কয়, এমন ভাসা ভাসা উদাসীনভাবে, অবজ্ঞার সঙ্গে । আর নয়। আর একটি কথা সে বলবে না। ওর সঙ্গে । নাই পেলে এরা বেড়ে যায়। কৃপাময়ের দিকে প্ৰায় পিছন ফিরে ভূধর এবার মাটিতে থুতু ফেলে। কৃপাময় একটু ইতস্ততঃ করে। তার কি উচিত লোকটাকে একটু সাবধান করা ? ফল হয় তো কিছুই হবে না, তবু বলতে বোধ হয় দোষ নেই। দালানের ঘরের জানােলা দিয়ে উকি মারছে এক জোড়া বুভুক্ষু চোখ, ভূধরের সেজ ছেলে সুরেশ । তাকিয়ে সে আছে দালানের দক্ষিণে <tcots &terical 33rtcë, (retCat (zy pikë \yti: Ç'ët(si মতে, কিংবা শুধু খানিকটা লজ্জা ঢেকে এসেছে গায়ের ক'জন মেয়ে, না এসে যাদের উপা" নেই, নিরুপায় হয়েও ক'দিন পরে হয়তো যারা আসতেই পারবে না । "একটা কথা আপনাকে বলি সরকারমশায় ।” ‘হম।” ভূধর ফিরেও তাকায় না। “আপনার ছেলেকে একটু সাবধান করে দেবেন, ঘোষপাড়ায় যেন না যায়। সবাই-ক্ষেপে আছে ওরা, কি করে বসে ঠিক নেই। বৌ-ঝি নিয়ে টানাটানি ওরা সইবে না, এবার পা ৬ায় গেলে হয়তো-" “কোন ছেলে ? আমার কোন ছেলে বৌ-ঝি নিয়ে টানাটানি করে ?” গির্জন করে ঘুরে দাড়িয়ে কৃপাময়ের দৃষ্টি অনুসরণ করে ঘাটে বীে-ঝিদের নাইতে ও জল নিতে এবং উপরের ধাপে বসে সুরেশকে সিগারেট ফুকতে দেখে ভূধর আবার নিজীব হয়ে যায়। “আপনি যদি কথা দেন ছেলেকে সামলাবেন, আমি ওদের বলতে পারি। নয় তো আমি যদর জানি ছেলে अloनाद्र थून ३८४ २cन ।" "ছেলেটা গোল্লায় গেছে, সামন্ত ।” কৃপাময়ের হাতের চাপে নরম মাটিতে লাঠির ডগায় টোল পড়ে কয়েকটা। গোল্লায় যাক, চুলোয় যাক। খুন DD DDDDD DBBBD DDE DB BDBD BKLK uDBB BBD মনে আপশেষ করে । ‘ওকে সহরে পাঠিয়ে দেব আজকালের মধ্যে মেজ ছেলের ७२८न्न ।।' p “সেই ভালো।” পরামর্শ দিচ্ছে, উপদেশ ! যেন, মহাজন, যেন গুরুঠাকুর, যেন মাষ্টার । ভয় দেখাচ্ছে, যেন পুলিশের দারোগা ! কৃপাময়কে সে কি ভয় করে ? কোনো কারণ তো নেই ওকে, তার ভয় করার 1 তার সম্পদ আছে, লোকজন আছে -কৃপাময় গরীব একা। ছেলের বৌ আর ছেলেমানুষ নাতিটা ছাড়া ওর কেউ নেই। ওরা অধোক জমি তার কাছে दांथा। देश्। कमल ७एक 6ण মানিক-গ্ৰন্থাৰলী 'চললে নাকি সামন্ত ? একটা লাউ ছেয়েছিলে, নেবে তো নিয়েই যাও আঞ্জ ।” “আজ্ঞে ঠিক চাইনি, তবে দ্যান যদি-” “দশজনকে দিয়েই তো খাব হে। নইলে এত লাউ দিয়ে করব কি ? ওটা নাও, বড়ও হবে, কচিও আছে।” প্ৰথম সোনালী রোদ এসে পড়েছে মাটির পথে, মাঝে মাঝে গাছের ছায়া। বর্ষায় পরিপুষ্ট সবুজ গ্ৰাম । শ্যাম মাইতি আর গোকুল দাসের পোড়া বাড়ির কালো কাঠ-বাঁশছাই আজও শু,প হয়ে পড়ে আছে, বর্ষাও ধুয়ে নিয়ে যায়নি, নতুন কুটিরও ওঠেনি। কোথায় চলে গেছে ওরা, ফিরে এসে নিশ্চয় আবার ঘর তুলবে। AP কৃপাময়ের বাড়ির কাছাকাছি সোনা জেলের বীে কাতু এইটুকু মোটা কাপড়ে তার যৌবন-উথলানো তাজা দেহটা কতটা ঢাকল কেয়ার না করে মাথায় মাছের চুপড়ি বসিয়ে তার নিজস্ব কোমরদোলানো ছন্দে হন হন করে চলে, কৃপাময়কে পেরিয়ে গিয়ে থামে। ফিরে এসে আবার তার siव् ८ ।। বলে, “খাসা লাউটি বাঃ । কত নিলে গা ?” ‘সরকার মশায় দিলেন, কাতু।” ‘ওমা, হঁা নাকি ? দুটি চিংড়ি দি তবে তোমাকে । চুপড়ি নামিয়ে একটা কচু পাতা ছিড়ে কাতু এক খাবলী চিংড়ি তুলে দেয়। কৃপাময় বলে, "পয়সা নেই। কাতু।” কাতু বলে, "পয়সা কিসের ? তুমি আমার বাপ। তোমার ছেলে মোকে বাচালে মিলিটারি থেকে। তোমায় দুটি চিংড়ি দিয়ে পয়সা নোবা ? ধৰ্ম্মে সাইবে মোর ?” কাতু আরও কিছু চিংড়ি কচু পাতায় তুলে দেয়। "ছেলে ছাড়া পাবে কবে গো সামন্তমশাই ?” “কতবার শুধোবি কাতু ? দেৱী আছে, এখনো দেৱী আছে ।” “মাকে বলবে, ছেলে কবে আসবে মোকে বলবে । ছেলেকে তোমার রুই খাওয়াবো, পাকা রুই, গোটা রুই আদমুণি । তোমার ছেলে যদি না মোকে বঁাচাত গো সামন্তমশাই-” কাতুর ওখলানো যৌবনের অশ্লীলতা পর্যন্ত যেন ঢেকে DBDS DBBD SL0LD DYYBD DBBD LLLD SS TuBBuB DDBBD একদণ্ড তার দিকে তাকাতে পারে । ‘আয়তো কাতু, খানিকটা লাউ কেটে দি তোকে। দুটি প্ৰাণী, এ লাউয়ের আধখানাও খেতে পারব না।’ লাউয়ের ফালি নিয়ে চলে গেলে কৃপাময় বলে ছেলের বৌকে, “লাউ চিংড়ি তো রাধবে বাছা, তেল কি আছে ?” ‘আছে একটুখানি, বলে ধ্রুপাময়ের ছেলের ছেড়া সেলাই-করা গেঞ্জি গারে আর কোমরে ভাঁজ খোলা কঁথার সুন্দি-জড়ানো বেী।