পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

讀眾莉· পরদিন শীতল শ্যামাকে একশত টাকা ফেরত দিল । चांद्र हे ? बांकि ऐांक कि ऋद्धछ ? আর তুলি নি তো ? তোলো নি ? খাতা কই আমার ? খাতাটা হারিয়ে গেছে শু্যামা, কোনখানে যে ফেললামশুঠাম কঁদিতে আরম্ভ করিয়া দিল, সব টাকা নষ্ট করে এসে আবার তুমি মিছে কথা বলছি, আমি পাঁচশো টাকা সই করে দিলাম। একশো টাকা তুমি কি করে তুললে, মিছে কথাগুলো একটু আটকালো না তোমার মুখে-দোতলায় ঘর তুলিব বলে আমি যে টাকা জমাচ্ছিলাম গো ! শীতল আস্তে আস্তে সরিয়া গেল । এবছর প্রথম স্কুল খুলিলেই বিধানকে শ্যামা স্কুলে ভর্তি করিয়া দিবে। ভাবিয়াছিল, কিন্তু এইসব টাকার গোলমালে ফাস্তুন মাস আসিয়া পড়িল বিধানকে স্কুলে দেওয়া হইল না। শহরতলীর এখানে কাছাকাছি স্কুল নাই, আনন্দমোহিনী মেমোরিয়াল হাই স্কুল কাশীপুরে, প্ৰায় এক মাইল তফাতে । এতখানি পথ হাটিয়া বিধান প্ৰত্যহ স্কুল করিবে, শ্যামার তাহা পছন্দ হইতেছিল না। কলিকাতার স্কুলে ভতি করিলে বিধানকে ট্রামে বাসে যাইতে হইবে, শু্যামার সে সাহস নাই। প্রেসে যাওয়ার সময় শীতল যে বিধানকে স্কুলে পৌছাইয়া দিবে তাহাও সম্ভব নয়, শীতল কোনদিন প্রেসে যায় দশটায়, কোনদিন একটায়। শ্যামা মহা সমস্যায় পড়িয়া গিয়াছিল। অথচ ছেলেকে এবার স্কুলে না দিলেই BDS DD LDE DBDDDSB BBBDBD DS BBBD DBB BDBDB DD DS BBDDD LDB BHD BBB DS K LLLLSL একদিন পরামর্শ জিজ্ঞাসা করিতে গেল বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়ি । বিষ্ণুপ্রিয়া বলিল, এক কাজ কর না ? আমাদের শঙ্কর যেখানে পড়ে তোমার ছেলেকে সেইখানে ভর্তি করে দাও, শঙ্কর তো গাড়িতে যায়, তোমার ছেলেও ওর সঙ্গে যাবে। তবে ওখানে - মাইনে বেশি, বড়লোকের ছেলেরাই বেশির ভাগ পড়ে ওখানে, আর,-ওখানে ভতি করলে ছেলেকে ভাল ভাল কাপড় জমা কিনে দিতে হবে-একদিন যে একটু ময়লা জামা পরিয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠাবে তা পারবে না। হেডমাষ্টার সায়েব কি না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন VEIK বিষ্ণুপ্রিয়া তাজও শ্যামার উপকার করিতে ভালবাসে কিন্তু আসিলে বসিতে বলে না, কথা বলে অনুগ্রহ করার সুরে। বিষ্ণুপ্রিয়ার সেই মেয়েটির বয়স এখন প্ৰায় এগারো, বেণী দুলাইয়া সেও স্কুলে যায়, দেখিয়া এখন আর বুঝিবার উপায় নাই কদৰ্য পাপের ছাপ লইয়া সে জন্মাইয়াছিল, শুধু মনে হয় মেয়েটা বড় রোগ। বিষ্ণুপ্রিয়ার আর একটি মেয়ে হইয়াছে, বছর তিনেক বয়স। বিষ্ণুপ্রিয়া এখন আবার সাজগোজ করে, তবে আগের মত দেহের চাকচিক্য তাহার নাই, এখন চকচক করে শুধু গহনা-অনেকগুলি । A ية ভাবিয়া চিন্তিয়া শুষ্ঠামা বিধানকে শঙ্করের স্কুলেই ভৰ্তি করিয়া দিল। শঙ্কর বিষ্ণুপ্রিয়ার খুড়তুতো বোনের ছেলে, এবার সেকেণ্ড ক্লাশে উঠিয়াছে। বয়সের আন্দাজে ছেলেটা বাড়ে নাই, বিধানের চেয়ে মাথায় সে সামান্য একটু উচু, ভারি মুখচোরা লাজুক ছেলে, গায়ের রঙটি টুকটুকে । যত ছোট দেখাক সে সেকেণ্ড ক্লাশে পড়ে, স্কুলের অভিজ্ঞতাও। তাহার আছে, বিধানকে শ্যামা তাহার জিম্বা করিয়া দিল, চিবুক ধরিয়া চুমা খাইয়া ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য শ্যামা তাহাকে এমন করিয়াই বলিল যে লজ্জায় শঙ্করের মুখ রাঙা হইয়া গেল। সারাদিন শ্যামা অন্যমনস্ক হইয়া রহিল। ভাবিবার চেষ্টা করিল, বিধান স্কুলে কি করিতেছে। শ্যামার একটা ভয় ছিল স্কুলে বড়লোকের ছেলের সঙ্গে বিধান মানাইয়া চলিতে পারি কিনা, গরীবের ছেলে বলিয়া ওকে সকলে তুচ্ছ করিবে না। তো ? একটা ভরসার কথা, শঙ্করের সঙ্গে ওর ভাব হইয়াছে, শঙ্করের বন্ধু বলিয়া সকলে ওকে সমানভাবেই হয়ত গ্ৰহণ করিবে, হাসি-তামাসা করিবে না । ফাঙ্ক্ষ্মনের দিনটি আজ শ্যামার বড় দীর্ঘ মনে হয়। একদিনের জন্য ছেলে তাহার বাড়ি ছাড়িয়া কোথাও গিয়া থাকে নাই, অপরিচিত স্থানে অচেনা ছেলেদের মধ্যে দশটা হইতে চারটে পৰ্যন্ত সে কি করিয়া কাটাইবে কে জানে । বিকালে বিধান ফিরিয়া আসিলে শুগামা তাহার মুখখানা, ভারি শুকনো দেখিল। টিফিনের সময় খাবার কিনিয়া খাওয়ার জন্য শ্যামা তাহাকে চাের আনা পয়সা দিয়াছিল, বিধান লজ্জায় কিছু খাইতে পারে নাই ভাবিয়া বলিল, ও খোকা, মুখ শুকিয়ে গেছে কেন রে ? খাসনি কিছু কিনে টিফিনের সময় ? বিধান বলিল খেয়েছি তো, পেট ব্যথা করছে মা । শ্যামা বলিল, কেন খোকা, পেট ব্যথা করছে কেন বাবা ? কি খেয়েছিলি কিনে ? পেটের ব্যথায় বিধান নানারকম মুখভদি করে। চোখে ፴ማ Qሻቒ] Qሻዟ ! শ্যামা ধমক দিয়া বলে, কি খেয়েছিলি বল । ফুলুরি। আর কি ? আর বালবড়া । তাহলে হবে না তোমার পেট ব্যথা, মুখপোড়া ছেলে । ভাল খাবার থাকতে তুমি খেতে গেলে কিনা ফুলুরি। আর ঝালবড়া ! কেন খেতে গেলি ওসব-? শঙ্কর খাওয়ালে মা। শঙ্কর বলে, বাড়িতে ওসব তো ' খেতে দেয় না, শুধু দুধ আর সন্দেশ খেয়ে মর, তাই- . শঙ্কর ছেলেটা তো তবে কম দুষ্ট নয় ? বাড়িতে যা निcवर्ष कब्रिबl cपत्र, ब्रि कब्रिश डारे क्रश्न ? ७म जछ মেলামেশা করিয়া বিধানের স্বভাব খারাপ হইয়া যাইবে না।