পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 V মামা, দিও না দোকান, তুমি কোন দোকান চালাতে পারবে ? -क्ऊ प्रेक (ळांक्षांन प्रिल ? মামা বলিল, লোকসান দেব আমি ? কি যে তুই বলিস * ! তাহলে কত টাকা লাভ হ’ল তাই বল ? না লাভ হয় নি, টায় টায় দেনা-পাওনার মিল খেয়েছে, ব্যস। যে দিনকাল পড়েছে শ্যামা, আমি বলে তাই, আর কেউ হ’লে ঘর থেকে টাকা ঢেলে খালি হাতে ফিরে আসত, কত কোম্পানী এবার লালবাতি জেলেছে জানিস ? দোকান বেচিয়া মামা এবার করবে কি ? যে দুৰ্নিনেয় উৎস হইতে দরকার হইলেই দশ বিশটা টাকা উঠিয়া আসে, চিরকাল তাহ" টিকিবে তো ? মামা কিছু বলে না। করুণভাবে মামা শুধু একটু হাসে, উৎসুক চোখে আকাশের দিকে তাকায় । শরৎ মানুষকে ঘরের বাহির করে, বর্ষান্তে নবযৌবন ধারণীর সঙ্গে মানুষের পরিচয় কাম্য, কিন্তু বর্ষ তো এখনো শেষ হয় নাই মামা, ওই দেখো আকাশে নিবিড় কালো সজল মেঘ, শরৎ কোথায় যে তুমি দেশে দেশে নিজের মনের মৃগয়ায় যাইতে চাও ? মামার বিষন্ন হাসি উৎসুক চোখ, শ্যামাকে ব্যথা দেয়। শ্যামা ভাবে, কিছু করিতে না পারিয়া হার মানার দুঃখে মামা ম্রিয়মাণ হইয়া গিয়াছে, ভগ্নীর ভার লইবে বলিয়া অনেক আস্ফালন করিয়াছিল। কিনা এখন তাহার লজা আসিয়াছে। চোরের মত মামা তাই অস্বস্তিতে উসখুসি করে। আহা, বুড়া মানুষ, সারাটা জীবন ঘুরিয়া ঘুরিয়া কাটাইয়া আসিয়া সংসারের পাকা, উপার্জনে অভ্যস্ত লোকগুলির সঙ্গে প্ৰতিযোগিতায় কেন পারিয়া উঠিবে ? টাকা তো পথে ছড়ানো নাই। ঘরে ঘরে যুবক বেকার হাহাকার করিতেছে। যাট বছরের ঘরছাড়া বিবাগী। এতগুলি প্ৰাণীর জীবিকা অজনের পথ খুজিয়া পাইবে কোথায় ? শ্যামা বড় মমতা বোধ করে। বলে, অত ভেবো না মামা ভগবান যাহাকে একটা উপায় করবেন । ভগবান ? মামার বোধ হয়। ভগবানের কথা মনে ছিল না । ভগবান যে মানুষের যাহোক একটা উপায় করেন এও বোধ হয় এতদিন তাহার খেয়াল থাকে নাই। শুষ্ঠামা মনে পড়াইয়া দিলে মামা বোধ হয় নিশ্চিন্ত মনেই শ্যাম ও তাহার চারিটি সন্তানকে ভগবানের হাতে সমৰ্পণ করিয়া ভদ্রের তিন তারিখে নিরুদ্দেশ্য হইয়া গেল । যাওয়ার আগে শুধু বলিয়া গেল, কিছু মনে করিস নে শু্যামা, তোর সেই হাজার টাকাটা খরচ করে ফেলেছি, - শ’ দেড়েক মোটে আছে, নে। বুড়ো মামাকে শাপ দিসনে মা, একটি টাকা মোটে আমি সঙ্গে নিলাম। শাপ শুমা দেয় নাই, পাগলের মত কি যেন সব BBBDDS BDEiB D DDS BDD DBBDD BDDB মামাকে ওসব কথা বলে না। ক্যান্বিশের ব্যাগটি হাতে भांनिक्-यंत्री করিয়া কম্বলের গুটানো বিছানাটা বগলে করিয়া মামা যখন চলিয়া গেল, শ্যামা তখন পাগলের মত কি সব যেন বলিতেছে । उड পরের বছর শরৎ কালে,--শ্যামা প্ৰথম সন্তানের জননী হওয়ার সময় পৃথিবীতে শরৎ কালটা যেমন ছিল এখনো তেমনি থাকার মত আশ্চর্য শরৎকালে,-ছেলেমেয়েদের সঙ্গে লইয়া শ্যামা বনগা গেল। বলিল ঠাকুরবি, আমার আর তো কোথাও আশ্রয় নেই, খেতে না পেয়ে আমার ছেলেমেয়ে মরে যাবে, ওদের তুমি গুটি দুটি খেতে দাও, আমি তোমার বাড়ি দাসী হয়ে থাকব। মন্দা মুখ ভার করিয়া বলিল, এসেছ থাকো, ওসব বোলো না বােঁ । তোমামুদে কথা আমি ভালবাসি নে। শ্যাম বনগাঁয়ে রহিয়া গেল । শ্যামার গত বছরের ইতিহাস বিস্তারিত লিখিলে DBDBD DBB D DDBDD BDDB DBDBBBO SSAB দারিদ্রোর কাহিনী নয়। শ্যাম যে একবার দুদিন উপবাস করিয়াছিল সে কথা লিখিয়া কি হইবে ? ব্ৰত-পূজা করিয়া কত জননী অমন অনেক উপবাস করে, শ্যামা খাদ্যের অভাবে করিয়াছিল বলিয়া তো উপবাসের সঙ্গে উপবাসের পার্থক্য জন্মিয়া যাইবে না ? শ্যামার গহনাগুলি গিয়াছে। বিবাহের সময় মামা শ্যামাকে প্ৰায় হাজার টাকার গহনাই দিয়াছিল, নিজের প্রেস বিক্রয় করিয়া শীতলের দীর্ঘকাল বেকার বসিয়া থাকার সময় চুড়ি হার বালা আর নাক ও কানের দুটি একটি ছুটকে গহনা ছাড়া বাকি সব গিয়াছিল, কমল প্রেসের চাকরীর সময় দোতলায় ঘর তুলিবার ঝোকে শ্যাম টাকা জমাইয়াছে, হাঙরমুখে পুরানো প্যাটানের বালা ভাঙিয়া আর একটু ভারি তারের বালা গড়ানো ছাড়া নূতন কোন গহনা সে কখনো করে নাই। এক বছরের তাই ঘরের বিক্রয়যোগ্য আসবাবের সঙ্গে শু্যামার গহনাগুলিও গিয়াছে। থাকিবার মধ্যে আছে একটি আংটি আর দু'হাতে शांछि फ़ि। বিধানকে বড়লোকের স্কুল হইতে ছাড়াইয়া কাশীপুরের সাধারণ স্কুলটিতে ভৰ্তি করিয়া দিয়াছিল, বিধান হাঁটিয়াই স্কুলে যাইত। ধোপার সঙ্গে শুমা কোন সম্পর্ক রাখিত না, বাড়িতে সিদ্ধ করিয়া কাপড় জামা সাফ করিত,- কাপড় জমা দুই সে কিনিত কম দামি, মোটা, টিকিত অনেক দিন। খোকার জন্য দুধ কিনিত এক পোয়া, দু' বছর বয়সের আগেই খোকা দিব্যি ভাত খাইতে শিখিয়াছিল, পেট ভরিয়া খাইয়া টিং টিংএ পেটটি দুলাইয়া দুলাইয়া শ্যামার পিছু পিছু সে হাঁটিয়া বেড়াইত,--শ্যামা তাহাকে স্তন দিত সেই অপরাহে, সারাদিন বুকে যে দুখটুকু জমিত বিকালে