পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' नं नैौ . ዓዓ সামনে মেলিয়া ধরে। ভাল করিয়া সুরু করার আগেই শু্যামার মুখের কথাগুলি জমিয়া যায়। শুঠাম হঠাৎ সুর বদলাইয়া সস্নেহে হাসিয়া বলে, আ আবাগের বেট, এই কথাতে চোখে জল এল ! कि च्यांद्र दCब्लछि मा Cठाgक ५a1ा ? চোখ ! অশ্রুসজল চোখকে শুধুম বড় ডরায় । মানুষের LLLLLBB BDBLDB BDB BDBDS SLDDS SDDD S DBD DBK আর চোখ হইয়াছে বকুলের মেয়েটার । শ্যামার মেয়েটি অন্ধ, এত যে আলো জগতে একটি রেখাও তার খুকির চেতনায় পৌছায় না। সজল চোখে চাহিয়া যে-কোন দৃষ্টিমতী শ্যামাকে সম্মোহন করিতে পারে। বড় দেটিানায় পড়িয়াছে শ্যাম । ছেলের বৌটাকে ভালবাসিবে কি বাসিবে না। এমনি মন্দ লাগে না, মায়া করিতে ইচ্ছা হয়, বকুল যে ফাকটী রাখিয়া গিয়াছে সুবৰ্ণকে দিয়া তাহা ভাবিয়া তুলিবার কল্পনা প্ৰিয়ই মনে হয় শ্যামার। কিন্তু হঠাৎ তাহার চমক ভাঙ্গে, উ : একি হিল্লোল তুলিয়া সামনে দিয়া হঁটিয়া গোল বেী, একি আগুন ওর দেহময় ? এমন করিয়া কে ওকে গড়িয়াছিল, রক্তমাংসের এই মোহিনীকে ? সুবৰ্ণ স্মান করে, চাহিয়া দেখিয়া শ্যামার বুকের রক্ত যেন শুকাইয়া যায়। বড় ভয় করে শ্যামার । কে জানে ওরা ওই ভয়ানক সুন্দর দেহের আকর্ষণে কোথা দিয়া অমঙ্গল ঢুকিবে সংসারে। কড়া শীতে যেমন হইয়াছিল, চড়া গরম পড়িতে শ্যামার শরীর আবার তেমনি খারাপ হইয়া গেল। এবার একটা অতিরিক্ত উপসর্গ দেখা দিলে—তিরিক্ষে মেজাজ। অল্পে অল্পে আরম্ভ করিয়া জ্যৈষ্ঠের শেষে বকুনি ছাড়া কথা বলাই যেন সে বন্ধ করিয়া দিল । থাকে থাকে। তেলে-বেগুনে জলিয় ওঠে, যাকেই পায় তাকেই যত পারে বকে, তারপর অদৃষ্টর নিন্দা করিতে করিতে কঁাদিয়া ফেলে। শ্যামার ভয়ে বাড়িশুদ্ধ সকলের মুখ সর্বদা শুকনো দেখায়। সবচেয়ে মুস্কিল হয়। সুবর্ণের। অন্য সকলে শুমার সম্মুখ হইতে পলাইয়া বাচে, তার তো পালানোর উপায় নাই। তার উপর বিধান আবার তাহাকে হুকুম দিয়া রাখিয়াছে, সব সময় কাছে কাছে থাকবে মার, যা বলেন শুনবে, আগুনের আঁচে বেশি যেতে দবে না, ওপোর-নিচ করতে দেবে না, সেবাযত্ন করবে-মারি শরীর ভাল নয় জানত ? বিধান বলিয়া খালাস, সকালে উঠিয়া ছেলে পড়াইতে যায়, বাড়ি ফিরিয়াই ছোটে আপিসে, ফেরে সন্ধ্যার পর, সারাদিন শু্যামা কি কাণ্ড করে সে তো দেখিতে আসে না, সুবর্ণের অবস্থা সে কি বুঝিবে ! কিছু বলিবার উপায়ও সুবর্ণের নাই। কি বলিবে ? যদি বলিতে যায়, বিধানে যে ভাবিয়া বসিবে, দ্যাখে এর মধ্যে লালিশ করা সুরু হইয়াছে। কিন্তু বিধান সব বোঝে। চিরকাল বুঝিয়া আসিয়াছে। সুবৰ্ণ এখনো জানে না যে বুঝিয়াও বিধান কোনদিন কিছু বলে না, চুপচাপ নিজের কাজ করিয়া যায়, চুপচাপ উপায় ঠাওরায় । বনগায় শ্যামা একবার পাগল হইতে বসিয়াছিল এবারও সেই রকম আরম্ভ হইয়াছে দেখিয়া বিধান কম ভয় পায় নাই, প্ৰতিবিধানের কোন উপায় শুধু সে খুজিয়া পাইতেছে না। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যঘটিত, শ্যামাকে লইয়া কোথাও চেঞ্জে যাইতে পারিলে ভাল হইত, কোন ঠাণ্ড দেশে, দাজিলিং অথবা সিমলা । সে অনেক টাকার কথা। অত টাকা কোথায় পাইবে সে ? সংসার চালানোর ভাবনাতেই এই ব সে সে বৃড়ো হইয়া গেল। এ বাড়িতে সে ছাড়া আর সকলেই বোধ হয় ভুলিয়া গিয়াছে বাটিা পৰ্যন্ত তাদের নয়, মাসে মাসে ভাড়া গুণিতে হয় বিধানকে । সত্যই কি শু্যামার আবার সেইরকম হইতেছে, বনগায়ে যেমন হইয়াছিল, যেজন্য পড়া ছাড়িয়া চাকরি লইতে হইয়াছিল বিধানকে ? শ্যামার চোখের দিকে তাকাও, বাহিরে দুরন্ত রোদের যেমন তেজ তেমনি জ্বালা শ্যামার চোখে । এ বুঝি, জীবনব্যাপী দুঃখের অভিশাপ । আজীবন শান্ত আবেষ্টনীর মধ্যে সুরক্ষিত আশ্রয়ের আড়ালে বাস করিতে না পারিলে এমনি বুঝি হইয়া যায় অসহায়া নারী, আজীবন দুঃখ দুৰ্দশার পীড়ন সহিয়া শেষে যখন সুখী হওয়ার সময় আসে তখন তুচ্ছ আবহাওয়ার উত্তাপেই গলিয়। ষায়। আঁচল গায়ে জড়াইয়া শ্যামা কত শীত কাটাইয়া দিয়াছে, তিনটি উনানের অ্যাচে বসিয়া পার করিয়া দিয়াছে কত গ্রীষ্ম। এবার সে এত কাবু হইয়া গেল ! তারপর একদিন আকাশে ঘনঘটা আসিল। মাটি জুড়াইল, জুড়াইল মানুষ। বিকারের শেষের দিকে ধীরে ধীরে চুপ করিয়া মানুষ যে ভাবে ঘুমাইয়া পড়ে শুষ্ঠামাও তেমনি ভাবে ক্ৰমে ক্ৰমে শান্ত ও বিষন্ন হইয়া আসিল ।

  • ८व्ल हैंश् छ्ॉफ्रेिञ् दॆ5ि ।। তৰু সুবৰ্ণকে শ্যামা পুরাপুরি সুনজরে দেখিতে পারিল না। একটা বিদ্বেষের ভাব রহিয়াই গেল। বিধান কত আদরের ছেলে শ্যামার, সাত বছর বন্ধ্যা থাকিয়া, প্ৰথম সন্তানকে বিসর্জন দিয়া ওকে খ্যামা কোলে পাইয়াছিল,- সুবৰ্ণ তার বেী ! তবু সুবৰ্ণকে বুকের মধ্যে গ্ৰহণ করিতে পারিল না, কি দুৰ্ভাগ্য শ্যামার।

শীতল তেমনি অবস্থায় এখনো বঁচিয়া আছে, ডাক্তারের ভবিষ্যদ্বাণী বুঝি ব্যর্থ হইয়া যায়। এতদিনে তার মরিয়া যাওয়ার কথা। মৃত্যু। কিন্তু দু'টি একটি অঙ্গ গ্ৰাস করিয়া, সর্বাঙ্গের প্রায় সবটুকু শক্তি শুষিয়া তৃপ্ত হইয়া আছে, হঠাৎ কবে। আবার ক্ষুধা জাগিবে এখনো কেহ তাহা বলিতে 9tts a শুষ্ঠামা বলে, হ্যা গা, বড় কি কষ্ট হচ্ছে ? কি করবে বল দেখি ? বৌমা বসবে একটু কাছে ? গায়ে হাত বুলিয়ে দেবে ? কোনখানে কষ্ট তোমার ? ও মণি ডাকতো তোর ሖ