পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रिङ् S) e ዓቢ যখন বঁাচাতে পারি নি, তখন আজ থেকে, এই মুহূর্ত থেকে আমার জীবনপণ ব্ৰত হল দেশকে স্বাধীন করা । তোমরা অনেক বক্তৃতা শুনেছি, আমি ভাল বক্তৃতা দিতে পারি না, কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি ভাই সব, বক্ততার দিন আর নেই, এখন আমরা সবাই মিলে- * অরুণা অসহায়ের মতো হঠাৎ থেমে যায়। চল্লিশ কোটি কালে নরনারী তার বক্ততা শুনছিল। হঠাৎ সামান্য একটা কারণে, নিজের মুখ থেকে বার করা “সবাই মিলে” কথাটার প্রতিক্রিয়াগত সাংঘাতিক আঘাতে সে মরণাপন্নের মতো কাবু হয়ে যায়। স্বামীর জীবনকে সার্থক করা গেল না। বসে বসে তাকে যদি বক্ততা শেখাতে হয় স্বামীকে, এতক্ষণ শেখাবার পর এখন যদি আবার বলে দিতে হয় নিজের কথা সংশোধন করে যে, না, সবাই মিলে এ কথাটা বলে না, তবে সে কি করতে পারে, সামান্য সে মেয়ে মানুষ ! এতক্ষণ পাবে বীণা কথা বলে, “কি হল মা ? তোমার সেই হার্টের ব্যথাটা হয় নি তো ? ডাক্তার বছর দেড়েক আগে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে গিয়েছিলেন অরুণার হার্টের ব্যথাটা আবার যদি জাগে জীবনের সহজ নিয়ম রীতিনীতি পালন না করার জন্য, তবে জগতের কোন ডাক্তার এ দায়িত্ব নিতে পারবেন না যে, হার্টফেল করে মিসেস অরুণা মজুমদারের আকস্মিক মৃত্যু ঘটবে না ! “আমি ঠিক আছি”, অরুণা বলে, “যাবে তুমি ? যাবে ? পারবে এ সুযোগ নিতে ? দশ বছর কাঙালের মতো যা চেয়েছ, আজ তা আদায় করে নিতে পারবে ? যাবে কি না বলে ।” “যাচ্ছি। যাচ্ছি, অমৃত বলে, “এখুনি যাচ্ছি।” ‘বীণা হালিমকে বল গাড়ি বার করুক -এই দণ্ডে । খেতে বসে থাকলে বলবি পৌছে দিয়ে এসে খাবে। যদি না ওঠে, কাল থেকে বরখাস্ত। যাও না তুমি ? দশ বছরে মুটিয়েছ। বেলুনের মতো, একটা দিন একটু খাটাে ?”

  • षाञ्छि, शाष्छि, ७थूनि शांष्छि', दीव्न ज्ञभूऊ । হালিম খেতে বসেনি। তার যৌবনান্তের দিনগুলিতেও অনেক সমস্যা । আজ সে অনেক ঘুরেছে গাড়ি নিয়ে - এত পেট্রোল বাবু কোথা থেকে যোগাড় করেন। তার মাথায় ঢোকে না। বড় বড় লোকের সঙ্গে কারবার বাবুর, বাবুর কথাই বােধু হয় আলাদা। অন্যদিন হয়তাে রাগ করত। হালিম এত খাটুনির পর আবার এখন গাড়ি বার করবার হুকুম শুনলে, আজ সে কথা কয় না, অমৃতকে