পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SV2byr शांनिक @jइांदऔ হেমন্ত শান্ত কণ্ঠে বলে, “ঘটনা সব জানো। কাল একটা প্রোটেস্ট মিটিং হবে, আমি তাতে যোগ দিতে চাই। মিটিং-এর পর আর একটা প্রোসেসনও হয়তো বার হবে, তাতেও আমি থাকেত চাই। এখন তুমি যা বল।’ “তুই কি লেখা পড়া করতে চাস না ? ‘কেন ? তার মানে কি ? ? “এ সব করে বেড়ালে লেখাপড়া হবে কি করে ? ‘ও ! এই কথা। হেমন্ত এবার হাসে, রোজ এ সব করে বেড়াব না কি ? এ সব করা মানে তো শুধু এই যে, একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্ৰতিবাদ জানাচ্ছি। ওটুকু না করলে কি মনুষ্যত্ব থাকে ? লেখাপড়ার অজুহাতে মনুষ্যত্ব ছোট ফেলতে পারি না মা, তুমি যাই বলে । হাঙ্গামা যে হচ্ছে, সে দোষ আমাদের নয়।” “কিন্তু হচ্ছে তো । আজ সামান্য চোট লেগেছে, কাল তো মারা যেতে পারিস।’ - সোজাসুজি মৃত্যুর কথাটা বলে যান অনুরূপা, গলায় আটকায় না, কিন্তু তঁর মুখ দেখে হেমন্ত বুঝতে পারে যে, কথাটা বলতে কি উগ্ৰ আতঙ্কে মড় মড় कन्न ऐóएछ ऊँान्न 6ाश्-भन । হেমন্ত মৃদু স্বরে বলে, “হয়তো-সম্ভব । তোমায় মিথ্যে ভরসা দেব না ।” “তবে ? “শোন। তবে বলি তোমায়, হেমন্ত যেন দম বন্ধ করে কথা বলে, “এই ভাবের ভয়ভাবনার জবাবটা আজ পেয়েছি মা, এতদিন পরে! লেখাপড়ার জন্য কি সব ছাড়া যায় ? তোমাকে কিংবা রমাকে যদি একটা গুণ্ড আক্রমণ করে, আমি যদি স্পষ্ট বুঝতে পারি তোমাদের বঁাচাতে গেলে লাঠির ঘায়ে মাথা ফেটে যাবে, ব্রেনটা খারাপ হয়ে যাবে, জীবনে লেখাপড়া কিছু আর হবে না। আমার – তাই ভেবে কি তখন চুপ করে থাকব ? কি হবে সে লেখাপড়া দিয়ে আমার। তবে এটাও ঠিক যে, ও হল বিশেষ অবস্থা ! অবস্থাবিশেষে লেখাপড়ার কথা ভাবারও মনে হয় না। লেখাপড করাই যার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই বলে সাধারণ অবস্থায় লেখাপড়া করব না কেন ? তাই তো কাজ আমার।’ অনুরূপ গুম খেয়ে থাকেন । 'যাকগে, হেমন্ত স্বাভাবিক গলায় বলে, “বলেছি তো তোমার সঙ্গে তর্ক করব ना। छूमि शी वन-शै। किरदा ना !’’ “মরতে পারিস জেনেও ই বলতে পারি। আমি ? অনুরূপ আর্ত কণ্ঠে প্ৰায় शै९कान्न काद्ध €र्छन ।