পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y (te মানিক @छादर्ली নিরাপদ।। দরকারের সময় তেতলার খুঁটিনাটি কাজ সে গণেশকে দিয়ে করিয়েও নিয়েছে কয়েক বার। ম্যাকারণ টেলিফোনে যা বলেছে তাতে বোঝা যায় মরবার আগে গণেশ কিছু বলে যেতে পারেনি, তা হলে তার নাম-ঠিকানা-পরিচয় জানিবার জন্য ম্যাকরণের কাছে খোজ নেওয়া হত না । কিন্তু গুলি লেগে যদি এ ভাবে মরে না যেত গণেশ, সজ্ঞানে যদি সব কথা বলে যেতে পারত, হয়তো তেতলার ব্যাপারও তা হলে ফ্ৰাস করে দিয়ে যেত। ভাবলেও শিউরে ওঠে। fategg ካ ‘গণেশের খবর পেয়েছি চন্দর। একটা মুশকিল হয়েছে। কে কে এসেছে আজ ? "অনেকে আসেনি। হাঙ্গামাটা হল। দত্ত সায়েব, বিনয়বাবু, পিটার সায়েব, রায়বাবু, ঘোষ সায়েব ‘ঘোষ সায়েব এসেছেন ?? “হঁ্যা । ছোট একটা মেয়েকে এনেছেন, পনের হবে কি না। এক চুমুক খেয়ে বমি করে দিল।” চন্দ্রর মুখে অদ্ভুত একপেশে হাসি ফোটে, ‘গণেশের ব্যাপারটা বি বাবু?” “বোকা পাঠা তো, হাঙ্গামার মধ্যে গিয়েছিল । গুলি খেয়ে মরেছে। এখন মালটা সুদ্ধ হাসপাতালে আছে। নাম-ঠিকানা খুজিছে, ম্যাকরণকে ফোন করেছিল, গণেশ দু’বার গেছে ম্যাকারণের বাড়ি, শ্লিপে ঠিকানা লিখে দেবার কি দরকার ছিল ? সুধীর একটা গাধা ।” চন্দ্ৰ প্ৰায় নির্বিকারভাবেই সব জেনে নেয় এবং মেনে নেয়। “কি করবেন ঠিক করলেন বাবু? ‘ঘোষকে বলব ভাবছি। ঘোষ চেষ্টা করলে মালটা সরিয়ে ফেলে সামলে নিতে পারবে ।” চন্দ্রকে চিন্তিত দেখায়। ‘তা নয় পারবেন, আজও কিন্তু উনি সেবারেরটা ভাঙিয়ে চালাচ্ছেন! এমন তুখোড় লোক আর দেখিনি। সামান্য বাপাের, কি আর করতে হয়েছিল। ওনার! তাই টানছেন আজ পর্যন্ত । মদের দামটা পৰ্যন্ত আদায় করা যায় না । ফের। ওঁকে কিছু করতে বললে পেয়ে বসবেন একেবারে ।” মাথা ঝুকিয়ে ঝুকিয়ে সায় দেন দাশগুপ্ত, জ্বালার সঙ্গে বলে, “কি করা যায় বলো, এ সব লোকের কত ক্ষমতা, এদের হাতে না রাখলে কি ব্যবসা চলে। ঘোষের