পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

फ्रिङ् tè মতো বেহায়া আর কেউ নেই। আর সকলে কাজ করে দেয় সে জন্য টাকা নেয়, কিন্তু এখানে যা খরচ করে তা দেয়। ঘোষের সেটুকু চামড়াও নেই চোখে । ব্যাটা পেয়ে বসবে, কিন্তু বুঝতে পারছে তো, ওরা খোলবার আগে মালটা সরিয়ে আনা চাই। এমনি কোন ভাবনা ছিল না । ছোড়া গুলি খেয়ে মরল। কিনা, মুশকিল। সেখানে ৷” চন্দ্রর মনটা তৰু খুঁত-খুঁত করে। ঘোষ সায়েব যে শুধু তেতিলার ভোগ সুখ আৱাম বিরামের জন্য খরচা পৰ্যন্ত দেয় না তা নয়, চন্দ্রর ব্যক্তিগত পাওনাও তার কাছ থেকে জোটে যৎসামান্য, একটা সাধারণ বয়-এর বকশিশের মতো। এটা যেন তারই বাড়ি, সবাই তার মাইনে-করা চাকর, এমনি ব্যবহার করে ঘোষ नigद । “এক কাজ করলে হয় না ?” ‘বলো কি করব!” দাশগুপ্ত খুন্সী হয়, “দেখি আমাদের চন্দরের বুদ্ধির দৌড়।” “আপনি নিজে গিয়ে যদি গণিশাকে চিনে দেন। আর মালটা দাবি করে নিয়ে আসেন ? মালটা সরিয়ে আনার পর ওতে কি ছিল কে জানবে, আপনি যা বলবেন তাই ।” দাশগুপ্ত সত্যই আশ্চর্য হয়ে যায়, মনে মনে তারিফ করে চন্দ্রের বুদ্ধির। নিজেকে কূটবুদ্ধি খাটাতে হয় দিবারাত্রি, জীবনে একমাত্র অবলম্বন এই বুদ্ধি খাটিয়ে সাফল্য লাভের মাদক গর্ব, অন্যের কাছে সামান্য একটু ধূৰ্ততার পরিচয় পেলেই তাই আশ্চৰ্য মনে হয় দাশগুপ্তের। “আমিও তা ভেবেছি চন্দর। ওই যে বললাম, খুনের ব্যাপার, মালের গায়ে কোন ছাপ নেই। দাবি করলেই কি ছাড়বে ? চেনা অফিসার কেউ থাকলে <{{R-” ‘পিটার সায়েবের একখানা চিঠি নিয়ে যান না ?” ‘ওকে জানাতে চাই না । হাজার টাকা চেয়ে বসবে।” ‘জানাবেন কেন। মাল আপনাকে দিয়ে দেবার জন্য চিঠি তে চাইবেন না। কি দরকার ? শুধু আপনি অমুক লোক, আপনাকে ও চেনে এই বলে একটা চিঠি দেবে। বাস। বলবেন, যদি দরকার লাগে। তাই দু’লাইন সার্টিফিকেটটা রাখছেন। এক বোতল স্কচ দিলেই খুন্সী হয়ে লিখে দেবে।’ চন্দ্রের বুদ্ধিতে এবার এত বেশী আশ্চর্য হয়ে যায় দাশগুপ্ত যে, ঈর্ষায় জলে যায় তার বুকটা ! সত্যই যায়। চন্দ্র তার চাকর, সে তাকে বাবু বলে, তবু । কয়েক