Stie शांनिरु ठjछ्दळेौ বলার জন্য মনটা ছটফট করছিল ওসমানের । রসুল তার ছেলের মতো, সাহসে তেজে বুদ্ধি-বিবেচনায় ভুল-ভ্রান্তি বােকামিতে, সব দিক দিয়ে টান একটা বরাবর ছিল রসুলের দিকে তার, কিন্তু আজকের মতো সে টানে কখনো টান পড়েনি এত জোরে, আগে শুধু ছিল এই পর্যন্ত । কত ভাবে মনটা আজ তার নাড়া খাচ্ছে, তবু তারি মধ্যে ভেসে ভেসে আসছে পারিবারিক একটা ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার আবছা চিন্তা। পরীবাণু সেয়ানু হয়ে উঠেছে অনেক দিন, এবার তার সাদির ভাবনাটা রীতিমতো গুরুতর হয়ে দাড়িয়েছে। গা থেকে প্রতি পত্রে তাগিদ। আসছে পরীবাণুর মার। এদিক-ওদিক ছেলে খুজিছে ওসমান, আত্মীয়-বন্ধুর কাছ থেকে সন্ধানও আসছে মাঝে মাঝে । কিন্তু পছন্দ যেন তার হচ্ছে না এক জনকেও । হবু জামায়ের কতগুলি রকমারি বৈশিষ্ট্যের মাপকাঠি যেন আগে থেকে মনের মধ্যে তৈরী হয়ে আছে, সেই মাপে খাপ খাচ্ছিল না। একজনও পুরোপুরি। যে ছেলে তার নেই, জামাই খুজছিল। সে সেই ছেলের মতে, - যত দূর সম্ভব সেই ছেলের মতো । এ ধারণা তার কাছে পরিষ্কার নয়, মনের এই খামখেয়ালী আবদার । টের পেলে নিজেকে সে সংযত করে ফেলত সঙ্গে সঙ্গেই। আজও সে বুঝতে পারেনি। কিসে কি ঘটেছে মনে । রসুলের সঙ্গে পরীবাণুর সাদি হলে তো মন্দ হয় না, এই কথাটা মনে পড়ছে ঘুরে-ফিরে মনের গভীর তলানো ইচ্ছার ভাসা ভাসা ইঙ্গিতের মতো । রসুলের বাড়ি বেশী দূরে নয়। এইটুকু পথ যেতে অনেকটা সময় লাগে ওসমানের । ইতিমধ্যেই মানুষ জড়ো হতে আরম্ভ করে দিয়েছে রাস্তায়, বিক্ষোভ প্ৰকাশ করতে আরম্ভ করে দিয়েছে মৃদুভাবে । সমবেত কোলাহলের বিশিষ্ট সুরাটাই বিক্ষোভের । উৎসব-পার্বণে আরও বড় জনতার কারব ওসমান শুনেছে, তার স্বর একেবারে অন্য রকম। কোন রকম গাড়ি-ঘোড়াই এক রকম চলছে না। রাস্তায় । মোড়ে ওসমানের সামনে একটি মোটর গাড়িকে আটকে জবরদস্তি ফিরিয়ে দেওয়া হল । পরীক্ষণে আর একটি গাড়িকে দাড় করানো হল, কিন্তু আরোহীর সঙ্গে দু’একটি কি কথা হবার পর সকলে সরে দাড়িয়ে পথ ছেড়ে দিল, দু’জন যুবক দু’পাশে হেঁটে মোড়ের ভিড়টা পার করে এগিয়ে দিয়ে এল গাড়িটাকে। ডাক্তারের গাড়ি । একজন বলল ওসমানের জিজ্ঞাসার জবাবে । শহরের অন্যান্য জায়গাতেও কি এই রকম শুরু হয়ে গেছে ? - ওসমান ভাবে। রাইফেলধারী পুলিশ-বােঝাই গাড়ি চলে যায়। ধ্বনি উঠে ‘জয় হিন্দ!” ‘ইনক্লাব জিন্দাবাদ !” “সাম্রাজ্যবাদ ধ্বংস হোক । ওসমান আবার ভাবে, কর্তারা যদি ফের
