পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিহ্ন SòòS “কি জানি, মাথাটা নিজে থেকে ঘামে।” ভদ্রলোকের মনে অপমানিত বোধ করার ক্রকুট ফুটে উঠতে দেখে ওসমান । যেন খুলীই হয় একটু। সকালে হেমন্ত জামা গায়ে দিচ্ছে বেরোবার জন্য, অনুরূপ সামনে এলেন মুখ । ভার করে । ‘এত সকাল বেরোচ্ছিস যে ? “সীতার কাছে যাব একবার ।” অনুরূপার মুখ আর একটু লম্বা হয়ে যায়। “চা খাবি না ?” ‘সীতার ওখানে খাব।” ‘এসব তোরা কি আরম্ভ করেছিস হেমা ?’ অনুরূপ বলেন দুরন্ত দুঃখের ভাসায়, “খোকা কখন কোথায় চলে গেছে আমাকে কিছু না বলে। তুইও বেরিয়ে যাচ্ছিস । বলে কি যেতে নেই একবার আমাকে ? এতই তুচ্ছ হয়ে গেছি আমি ? “বেরিয়ে তো যাইনি মা এখনো ? বলেই যেতাম তোমাকে ৷” ভুল-ঘরে লাগানো জামার বোতামটা খুলতে খুলতে হেমন্ত বলে অনুযোগের সুরে । সকালে আবার কি প্ৰতিক্রিয়া দেখা দিল মার মনে কে জানে। এত সকালেই সংযম হারিয়ে অনুরূপ মান-অভিমানের পালা গাইতে শুরু করবেন। হেমন্তের বিশ্বাস হতে চায় না । এমন সোজাসুজি জ্বালা বা দুর্বলতা প্ৰকাশ করাও তো মারি স্বভাব নয় ! আবার বলে হেমন্ত সহজ সুরে, “সকালে বেরোবি, তোমায় তো বলাই আছে। একটু তাড়াতাড়ি যাচ্ছি, সীতা হয়তো বেরিয়ে যাবে। তাই ভাবলাম, ওখানেই চা খেয়ে নেবো । চায়ের জল চাপিয়েছ না কি ? তাহলে খেয়েই যাই।” “এক আমি কত দিক সামলাবো হেমা ? কতকাল সামলাবো ? হেমন্তের কথা যেন কানেও যায়নি এমনিভাবে অনুরূপ বলেন, ‘রোজগার করে সংসারও চালাব, তোমাদের কার মাথায় হরদম কি পাগলামি চাপবে তাও খেয়াল রাখবো, অতি আমি পারব না হেমা । এই তোমাকে আমি বলে রাখলাম। বড় হয়েছে, ভাইটার দিকে একটু তাকাতে পারো না ? না বলে কোন ফাকে খোকা কোথায় চলে গেছে। কিছু খায়নি পৰ্যন্ত । খুঁজে ডেকে এনে শাসন করতে পার না একটু । ওকে ?” affêr-( wèi)-->