পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS शांनिक थंशदौ কলকাতা শহরে, তার মধ্যে তোমার গণশারই কিছু হতে যাবে কি জন্য ? “চিঠিটা ঠিক আছে তো ? গণশার ঠিকানা লেখা চিঠি ? একথা এর মধ্যে কম করে- দশ বারো বার শুধিয়েছে। গণেশের মা । יא ‘বললাম তো ঠিক আছে কত বার। হঁ দ্যাখো-” যাদব ছেড়া কুর্তার পকেট থেকে সন্তৰ্পণে ভঁাজ করা পোস্টকার্ডটি বার করে নিজেও আর একবার দেখে নেয় নিঃসন্দেহ হবার জন্য, যদিও দশ জনকে দিয়ে পডিয়ে পড়িয়ে ঠিকানাটা তার মুখস্থ হয়ে গেছে, চিঠিখান হারিয়ে গেলেও বিশেষ কিছু ক্ষতি নেই। স্টেশন ও স্টেশনের বাইরের অবস্থা দেখে যাদব একেবারে হকচাকিয়ে शांश কিছুক্ষণের জন্য। দু’চার বার সে কলকাতা এসেছে, প্ৰতিবার সে স্টেশনে নেমে মানুষের গমগমে ভিডি আর স্টেশনের বাইরে গাড়ি ঘোড়ার অবিরাম স্রোত দেখেই হ'কচাকিয়ে গেছে ভয়ে বিস্ময়ে, তার তুলনায় ঘুমন্ত পুৱীতে যেন পা দিয়েছে মনে হয় তার আজ। স্টেশনে লোক কিছু আছে, এতটুকু ব্যস্ততা কারো নেই, সবার মুখে যেন গুমোটে মেঘ। বাইরে গাড়িঘোড়ার স্রোতটি অদৃশ্য। যাদবের মনে হয়, একদিন ঘুম ভেঙে উঠে তাদের গায়ের পাশের নদীটি অদৃশ্য হয়ে গেছে দেখলেও বোধ হয় এমন তাজব লাগতি না তার । ‘হেঁটেই যেতে হবে গণশার মা ।” “উপায় কি তবে আর ? হবে তো যেতে, না কি ?” “পথটা শুধোও কাউকে ? রাণী বলে। “পুল পেরোক্ট আগে । তারপর শুধোব।” “তবে সাথে চলে যারা যাচ্ছে দেরি না করে, একলাটি পড়ে গেলে ভাল হবে শেষে ? মোট-ঘাট বিশেষ কিছু নেই, সেও রক্ষা। মেটে হাঁড়িতে দুমুঠো সিদ্ধ করার চাল জুটলে যে ভাগ্য বলে মানে তার আবার মোট-ঘাট । কঁথা বালিশের বাণ্ডিলটা যাদব বঁ হাতের বগলে নেয়, গাড়ির ঝাকানিতে ডান হাতের ব্যথা বেড়ে অবশ অবশ্য লাগছে। মনাকে কঁধে নিয়ে গণেশের মা কাপড়ে বাধা চালের পুটলিটা হাতে নেয়, সের চারেক চাল আর দুটো বেগুন আছে। ক'টা গেলাস বাট আর জামাকাপড়ের বাঁশের ঝাপিটা নেয়। রাণী, দু’বছরের কালীর হাতটা ধরে। ঘুমকাতুরে খিদে-কাতুরে মেয়েটা এত ঘূমিয়ে এত খেয়েও একটানা কেঁদে চলেছে। ‘কোথা যাবে তোমরা ? রাণী মুখ বাকায়। সেই বাবুটা, চশমা কোট পালিশকরা জুতোর সেই বদ