পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক গ্ৰন্থাবলী দারোয়ানজী উদাস ভাবে বলে, “ও হায় কি বাহার গিয়া মালুম নেই। যাও না, উপর চল যাও না ?” গণেশের বাড়ির লোক তার খোজ করতে এসেছে শুনে দাশগুপ্ত বিরক্ত হয়ে নিজেই উঠে আসে। গণেশের কথা কি বলবে মনে মনে তার ঠিক করাই আছে। দোকানের জিনিস নিয়ে গণেশ পালিয়েছে, চোর। পুলিসে খবর দেওয়া হয়েছে, গণেশকে একবার ধরতে পারলে জেল খাটিয়ে ছাড়বে। এ-সব বলে ভড়কে দিতে হবে ওদের, যাতে কোন রকম হাঙ্গামা করতে সাহস না পায়। দাশগুপ্তের অবশ্য ভয়-ভাবনার কিছু আর নেই, তবু সামান্য হাঙ্গামাও সে পোয়াতে চায় না গণেশের বোকার মতো গুলি খেয়ে মরার ব্যাপার নিয়ে। এমনিতেই সর্বদা তাকে ঝঙ্কাট নিয়ে থাকতে হয় । তার ওপর আবার গণেশের সম্বন্ধে খোঁজখবরাতদন্তের জন্য দশটা মিনিট সময় দিতে হবে ভাবলেও তার বিরক্তি বোধ হয়। ফ্ল্যাটের সদর দরজার ঠিক সামনে ঘোষাঘোষি করে তারা দাড়িয়েছিল। ভাইকে কঁাখে নিয়ে রাণী দাড়িয়েছে বঁকা ও পরিস্ফুট হয়ে। তার দিকে নজর পড়তেই দাশগুপ্তের চোখ পা থেকে মাথা পৰ্যন্ত তাকে কয়েকবার দেখে নেয়, রাণীর মুখে যে মৃদু বিরক্তির চিহ্ন ফুটে ওঠে তার চোখে ধরা পডে। চিন্তাধারা সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে শুরু করে দাশগুপ্তের। তাই গোড়াতেই প্ৰেষ্টিজ হারাতে না চেয়ে সে ইচ্ছে করে মস্ত হাই তুলে মুখ-চােখের ভাব বদলে নির্বিকার গাম্ভীৰ্য ফুটিয়ে CVO (6 "গণেশকে খুজতে এসেছে ? शांत्रि दळ, 'आंख्या शै । उभांप्छ ना ?ांtां* ? এ প্রশ্ন এড়িয়ে দিয়ে দাশগুপ্ত বলে, “তুমি কে গণেশের ? গণেশ চুরি করে পালিয়েছে বলে ওদের ভড়কে দিলে চলবে না, অন্য কিছু বলতে হবে। লাগসই কি বলা যায় দাশগুপ্ত ভাবতে থাকে। "গণেশ আমার ছেলে বাৰু। দেশ গা থেকে আসছি আমরা। 'ও'। দাশগুপ্ত বলে উদাসভাবে, “এখন তো গণেশ এখানে নেই।” "কখন ফিরবে। বাবু’ , "গণেশ কি জানো, ছুটি নিয়ে গেছে। ক’দিনের। কোথায় যেন যাবে বলল, নামটা মনে পড়ছে না। কারা সব সঙ্গী জুটেছে, তাদের সঙ্গে গেছে। তিন-চার দিনের মধ্যেই ফিরবে।” হাসপাতালে অথবা মৰ্গে যার মৃত্যু-দেহটায় হয়তো এখন পচন ধরেছে,