পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদায়ের ইতিহাস por “কি হয়েছে মা ? 'श्शछ थांभांव्र अष्टे स्त्रांभांब्रcश्रीकृांक्श्रांल!’ কি হইয়াছে বুঝা গেল না বটে, কিন্তু ভয়ানক কিছু যে সত্যই হইয়াছে, সে বিষয়ে আর সন্দেহ রহিল না প্ৰভার। ধৈৰ্য ধরিয়া জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সে মার মুখের দিকে চাহিয়া রহিল! জলভরা চােখের সে দৃষ্টি কামিনী বেশীক্ষণ সহ করিতে পারিলেন না, বলিলেন, “তিষ্ট চাকরী করবে না বলছে।” ‘ও, এই ! তিষ্ট ফাজলামি করছে।” প্রভার স্বামী রমেশের আজ চাকরী নাই তিন বছর, প্ৰভা ভাবিতেও পারে না মানুষ চাকরী পাইয়াও বলিতে পারে, সে চাকরী করিবে না । বাপের সঙ্গে এ ধরনের ফাজলামি করা ত্ৰিষ্টপের স্বভাব নয়, তবু অথাই জলে পড়িলে মানুষ যেমন হাতের কাছে যা পায়। তাই আঁকড়াইয়া ধরে, অবিনাশ ও কামিনীও তেমনি প্রভার কথা শুনিয়া উৎসুকদৃষ্টিতে ছেলের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন আশ্চর্য কি, সকলকে একটু চমক দেওয়ার জন্য খ্রিষ্টপ হয় তো ফাজলামিই করিতেছে। খ্রিষ্টপ কথা বলিল না, সে তখন অবাক হইয়া খোলা দরজা দিয়া ওদিকের রোয়াকে একটা তুচ্ছ ঘটনা লক্ষ্য করিতেছিল। রোয়াকে একটি আধপোড়া বিডি পড়িয়াছিল, কোথা হইতে আসিয়া ঘরে ঢুকিতে গিয়া রমেশ হঠাৎ থমকিয়া দাড়াইয়া বিড়িটা কুড়াইয়া নিয়াছে। বিড়ি নিয়া রমেশ ঘরের মধ্যে চলিয়া গেল, সেখান হইতে ডাক আসিল রাণুর । ঘরে গিয়া সঙ্গে সঙ্গে রাণু ফিরিয়া আসিল । “দেশলাইট দাও না দিদিমা, বাবা চাচ্ছে।” আধপোড়া বিড়ি কুড়াইয়া খায়, তিন বছরে রমেশের এমন অবস্থা হইয়াছে ?” প্রভার জন্য ত্ৰিষ্টপ হঠাৎ গভীর মমতা বোধ করে। রমেশকে আজ আধাপোড়া বিড়ি কুড়াইয়া বেড়াইতে হয় বলিয়াই তো প্ৰভা সারাদিন নালিশ করিয়া কঁাদিবার অজুহাত খোজে। আর কয়েক বছর পরে দু’জনের অবস্থা কি দাড়াইবে কে জানে! অবিনাশ আর ধৈর্য ধরিতে পারিলেন না, একবার একটু কাসিয়া বলিলেন, - 'डी'श्gल फ़ॉन-sिiन क'-' “দাড়াও, আসছি।” ক্রিষ্টপ একেবারে বাড়ীর বাহিরে চলিয়া গেল, গলির মোড়ে গিয়া চুপ করিয়া দাড়াইয়া রহিল। কি করা উচিত তার একবার ভাবিয়া দেখিবার জন্য সে এখানে পলাইয়া আসিয়াছে; কিন্তু ভাবিবার কিছুই খুজিয়া পাইতেছে না। দ্বিধা ও