পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R O R মানিক গ্ৰন্থাবলী ছোকরা কোথা হইতে একটা ভঁাজ করা চেয়ার আনিয়া ছোট একটু ফাকের মধ্যে গুজিয়া দিল । “একজন আজ একশ টাকা ঠকিয়েছে, তিষ্ট।” ‘কে ?” ‘তুমি চিনবে না। পাল চৌধুরী কোম্পানীর পালবাবু।” “চিনি। একবার চাকরীর খোজে দেখা করেছিলাম।” ‘ওর একশ লাখ টাকা আছে। আমার একশটা টাকা কি করে আদায় করা যায় বসে বসে ভাবছিলাম।” ব্যাপারটা আগাগোড়া শুনিয়া ত্ৰিষ্টপ বলিল, “ও টাকার আশা ছেড়ে দিন। ভেবে আর কি করবেন ?” মণীশ মৃদু হাসিল । — ‘‘ভেবে আর কি করব, টাকা আদায় করব।” টাকার জন্য মণীশকে একটু বিচলিত মনে হয় না। পালবাবু টাকাটা না দেওয়ায় সে যেন খুন্সী হইয়াছে - আদায়ের জন্য লড়াই করিতে পরিবে । মণীশের প্ৰকৃতির এই দুর্বল দিকটা ত্ৰিষ্টুপ ঠিক বুঝিয়া উঠিতে পারে না। পাওনা আদায়ের জন্য লড়াই করিতে সে যদি ভালবাসে, সামান্য কয়েকটা টাকার জন্য একজনের সঙ্গে শুধু লড়াই না করিরা অনেক টাকার জন্য অনেকের সঙ্গে লড়াই করে না কেন ? সে কি মনে করে সে যা পায়, তার বেশী আর কিছু তার পাওনা নাই ? উপার্জন বাড়ানোর জন্য সে তার অসাধারণ শক্তিগুলি কাজে লাগাইতে অবহেলা করে ; কিন্তু কেউ একটি পয়সা ফাকি দিলে নির্মম ধৈর্যের সঙ্গে সেই পয়সাটি ছিনাইয়া আনিবার জন্য প্ৰায় সাধনা সুরু করিয়া দেয় । ‘কদিন যাওনি কেন, তিষ্ট ?” “খুব ব্যস্ত ছিলাম।” মণীশ আর কিছুই বলিল না । তার আগ্রহের অভাবে ক্রিটুপও একটু আহত হইয়া চুপ করিয়া রহিল। খানিক পরে রাস্তায় নামিয়া হঠাৎ সে বলিল, “কুন্তলার যদি বিয়ে দেন - “ ক্রিষ্টপের দুই কান গরম হইয়া উঠিল। কথায় কথায় মণীশের কাছে কুন্তলার বিবাহ সম্পর্কে একটা প্ৰস্তাব উত্থাপন করিবে ভাবিয়া রাখিয়াছিল, বিনা ভূমিকায় এমন ভাবে কথা তুলিবার কোন ইচ্ছা তার ছিল না। মণীশ জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে bांश्चिा ब्रश्लि। ‘কুন্তলার বিয়ে দেবেন না ?