পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 8 মানিক গ্ৰন্থাবলী দিন কলের মত সুবোধ সুশীল ভাল মানুষ হইয়া থাকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে । বিছানা ছাড়িয়া উঠিয়া দাড়ান মাত্র মাথা ঘুরিয়া পড়িয়া যাওয়ার উপক্রম হয়, বইয়ের সেলফটা ধরিয়া ক্রিষ্টপ ভাবে, তা হােক। এ দুর্বলতা কিছু নয়। মন তার সবল হইয়াছে। আর কোন দিন সে হতাশ হইবে না । হতাশা বোধ করিলেও আসিয়া যাইবে না কিছুই, সে শুধু হইয়া থাকিবে হৃদয় মনের একটা বদ অভ্যাস। যতদিন সে পৃথিবীতে বাচিয়া থাকিবে, তার লড়াইয়ের ক্ষমতা আর কিছুতেই নষ্ট হইবে না। নিজের সমস্ত পাওনা আদায় করার চেষ্টা ছাড়া অন্য কোন লড়াই 6कॉन नि उलि७ व्लादि ना । নিচে নামিতেই সে সামনে পড়িয়া গেল অবিনাশের। ক্ষুব্ধ দৃষ্টিতে তার দিকে একবার চাহিয়াই নীরবে সরিয়া গেলেন । রাণু জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার অসুখ করেছে, মামা ? প্ৰভা খোটা দিয়া বলিল, “তুমিও এমনি করে গোল্লায় যাবে, তা আমি আগেই জানতাম । চাকরী বাকরী করে নিজের ভাগ্নীকে একটা জামা পৰ্যন্ত যে কিনে দেয় नों, शा नi cथल 6न थांय केि !' অবিনাশ আড়াল হইতে হুঙ্কার দিয়া উঠিলেন, "চুপ কর প্রভা, জুতিয়ে মুখ ছিড়ে দেব। পাড়াশুদ্ধ, লোককে শুনিয়ে চিল্লাচ্ছেন মেয়ে, বােকা বজ-জাত কোথাকার ।” উনানে কেটলী চাপাইয়া মা রান্নাঘর হইতে বাহির হইয়া আসিলেন । প্ৰথমে প্রভাকে বলিলেন, “জামাই তো চুণকালি নিয়েছে মুখে, ভায়ের একদিনের বদখেয়ালটা চেপেই। যা না বাছ ?” তারপর কঁাদ-কঁাদ হইয়া ত্ৰিষ্টপকে বলিলেন, ‘না বাবা, তুই লজ্জা করিস নে। মুখ-হাত ধুয়ে চা খেয়ে-শুনার পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে নিবি যা । তোর কিছু দোষ ছিল না, পোড়ারমুখে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে' — অবিনাশ ইতিমধ্যে আড়াল হইতে সামনে আসিয়াছিলেন, বলিলেন, “থাক থাক, ওসব কথা বলে আর কি হবে ? টাকা যা আছে, দাও তো ক্রিষ্ট। সব উড়িয়ে দাওনি তো ?’ ক্রিটুপ সমস্ত টাকা আনিয়া অবিনাশের হাতে দিল। মোটে গোটা তের টাকা কম দেখিয়া অবিনাশ স্বস্তি বােধ করিলেন। কিছুক্ষণ ইতস্ততঃ করিয়া পাঁচটি টাকা ক্রিষ্টপকে ফিরাইয়া দিয়া বলিলেন, ‘দরকার হলে চেয়ে নিও।” ক্রিটুপ কিছুই বলিল না। বেলা তিনটার পর জামা কাপড় পরিয়া সে বাহির হইয়া গেল। কুন্তলার